ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাতুভুঁইয়া ইউনিয়নের মমরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০বছর রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয় রাজাপুরে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী আহাদ শিকদারের পক্ষে গনসংযোগ ফেনীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ৯দিনের ছুটি শেষে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস দেবহাটা বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হেলাল উদ্দিন ও সাদিয়া অনৈতিক অবস্থায় জনগণের হাতে আটক স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব

হরিপুরে হিসাবরক্ষণ অফিসার ও অডিটরের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

গোলাম রব্বানী,হরিপুর রিপোর্টারঃ-ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে হিসাবরক্ষণ অফিসে ভুক্তভোগীদের ঘুষের লেনদেন ও ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ঘুষের লেনদেন এতটাই বেপরোয়া যে প্রকাশ্য চুক্তি না হলে  ফাইনাল কাজে হয়রানির শিকার হতে হয়।। অবসর জনিত ফাইল, টিএ, ডিএ, বিল  বিভিন্ন দপ্তরের  কন্টিনজেনসি বিল সব কিছুতেই অবৈধ লেনদেন । ভুক্তভোগী  মোছাঃ জোহরা খাতুন স্বামী মোঃ জয়নাল আবেদিন, গ্রামঃ আমবাড়ী হরিপুর ঠাকুরগাঁও। তিনি ১১-৭- ১৯৯১ সাল থেকে হরিপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মচারী ছিলেন । চাকুরী থেকে  ১১-৭-২০২৩ তারিখে অবসরে যান। তার ব্যাংক একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০। তিনি  দীর্ঘদিন ধরে  অফিসে ঘুরে ঘুরে  অবসরের টাকা উত্তোলনের জন্য জুতা ক্ষয় করেছেন। তিনি তখন অফিসের অডিটর মো,মজিবর রহমান কে জিজ্ঞেস করেন, কিভাবে টাকা উত্তোলন করা যাবে, তিনি তাকে  জানান,  হিসাবরক্ষণ অফিসারের সাথে কথা বলতে হবে। মো,মজিবর  অফিসারের সাথে কথা বলে তাকে জানান, ১,৫০,০০০ টাকা দিলে কাজ করতে পারবে। ভুক্তভোগী  নিরুপায় হয়ে কিছু টাকা দিতে রাজি হয়।

 ইতিপূর্বে তার নিজ ছেলের অবসর জনিত ফাইলে ও এক লক্ষ টাকা  ঘুষ প্রদান করে অবসরে টাকা উত্তোলন করেন। 

ভুক্তভোগী মোছাঃ জোহরা খাতুনের আর এক ছেলে মো,জহিরুল ইসলাম জানান, আমার মায়ের অবসর জনিত ফাইলে কাজ করে দিবে মর্মে তারিখ ১৪/৮/২০২৪ ইং তারিখে সোনালি ব্যাংক শাখা হরিপুর, নগদ এক লক্ষ টাকা  চেক প্রদান করি, যাহার পাতা নং ২০০৯৪০৪৬৫ ও একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০ এর পরেও কুড়ি হাজার টাকা দেই যেটি ফোনালাপে স্পষ্ট বুঝা যায়। তারপরও আমি উক্ত কর্মকর্তার নিকট  অপমানিত হই, চেক ও টাকা প্রদানে  ভয়েস কল রেকর্ড আছে। ইতিপূর্বে আমার ভাইয়ের অবসর জনিত ফাইলেও নগদ একলক্ষ  টাকা প্রদান করি তারপর আমরা  টাকা তুলতে পারি।
নব্য হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে সদ্য  ১,৭০,০০০ টাকার  ঘুষের বিনিময়ে  কাজ করেন। এমনটাই ২২-৮-২০২৪ তারিখে  ২৭ জন ভুক্তভোগী  অভিযোগ করেছেন, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক বরাবরে, মাধ্যম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরিপুর ঠাকুরগাঁও । এরকম দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো, মজিবর রহমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করেন।

আরও জানা যায়, ইতিপূর্বে নব্য  মোসলেম উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারীগণের নিকট থেকে  মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে  ফাইল পাশ করেছেন। সর্বোপরি অভিযোগ এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৭ জন ব্যক্তিবর্গ দূর্নীতির অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। মহা ঘুষখোর এর  বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি নচেৎ আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাবে এটাই সূধীমহলের আকাঙ্ক্ষা। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

হরিপুরে হিসাবরক্ষণ অফিসার ও অডিটরের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

গোলাম রব্বানী,হরিপুর রিপোর্টারঃ-ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে হিসাবরক্ষণ অফিসে ভুক্তভোগীদের ঘুষের লেনদেন ও ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ঘুষের লেনদেন এতটাই বেপরোয়া যে প্রকাশ্য চুক্তি না হলে  ফাইনাল কাজে হয়রানির শিকার হতে হয়।। অবসর জনিত ফাইল, টিএ, ডিএ, বিল  বিভিন্ন দপ্তরের  কন্টিনজেনসি বিল সব কিছুতেই অবৈধ লেনদেন । ভুক্তভোগী  মোছাঃ জোহরা খাতুন স্বামী মোঃ জয়নাল আবেদিন, গ্রামঃ আমবাড়ী হরিপুর ঠাকুরগাঁও। তিনি ১১-৭- ১৯৯১ সাল থেকে হরিপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মচারী ছিলেন । চাকুরী থেকে  ১১-৭-২০২৩ তারিখে অবসরে যান। তার ব্যাংক একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০। তিনি  দীর্ঘদিন ধরে  অফিসে ঘুরে ঘুরে  অবসরের টাকা উত্তোলনের জন্য জুতা ক্ষয় করেছেন। তিনি তখন অফিসের অডিটর মো,মজিবর রহমান কে জিজ্ঞেস করেন, কিভাবে টাকা উত্তোলন করা যাবে, তিনি তাকে  জানান,  হিসাবরক্ষণ অফিসারের সাথে কথা বলতে হবে। মো,মজিবর  অফিসারের সাথে কথা বলে তাকে জানান, ১,৫০,০০০ টাকা দিলে কাজ করতে পারবে। ভুক্তভোগী  নিরুপায় হয়ে কিছু টাকা দিতে রাজি হয়।

 ইতিপূর্বে তার নিজ ছেলের অবসর জনিত ফাইলে ও এক লক্ষ টাকা  ঘুষ প্রদান করে অবসরে টাকা উত্তোলন করেন। 

ভুক্তভোগী মোছাঃ জোহরা খাতুনের আর এক ছেলে মো,জহিরুল ইসলাম জানান, আমার মায়ের অবসর জনিত ফাইলে কাজ করে দিবে মর্মে তারিখ ১৪/৮/২০২৪ ইং তারিখে সোনালি ব্যাংক শাখা হরিপুর, নগদ এক লক্ষ টাকা  চেক প্রদান করি, যাহার পাতা নং ২০০৯৪০৪৬৫ ও একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০ এর পরেও কুড়ি হাজার টাকা দেই যেটি ফোনালাপে স্পষ্ট বুঝা যায়। তারপরও আমি উক্ত কর্মকর্তার নিকট  অপমানিত হই, চেক ও টাকা প্রদানে  ভয়েস কল রেকর্ড আছে। ইতিপূর্বে আমার ভাইয়ের অবসর জনিত ফাইলেও নগদ একলক্ষ  টাকা প্রদান করি তারপর আমরা  টাকা তুলতে পারি।
নব্য হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে সদ্য  ১,৭০,০০০ টাকার  ঘুষের বিনিময়ে  কাজ করেন। এমনটাই ২২-৮-২০২৪ তারিখে  ২৭ জন ভুক্তভোগী  অভিযোগ করেছেন, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক বরাবরে, মাধ্যম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরিপুর ঠাকুরগাঁও । এরকম দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো, মজিবর রহমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করেন।

আরও জানা যায়, ইতিপূর্বে নব্য  মোসলেম উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারীগণের নিকট থেকে  মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে  ফাইল পাশ করেছেন। সর্বোপরি অভিযোগ এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৭ জন ব্যক্তিবর্গ দূর্নীতির অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। মহা ঘুষখোর এর  বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি নচেৎ আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাবে এটাই সূধীমহলের আকাঙ্ক্ষা।