ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান

হরিপুরে ট্রেন জাল দিয়ে দেশীয় মাছের প্রজনন ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

‎গোলাম রববানী(বিএসসি) হরিপুর প্রতিনিধিঃ

‎ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নদী,নোনা ও খাল-বিল । দেশীয় মছের শত্রু চায়নাদুয়ারী জাল বা ট্রেন জাল, শয়তানজাল, ঘাতক জাল দিয়ে বর্তমান বর্ষার প্রাক্কালে মাছের ব্রিডিং সিজনে ফাঁদ পদ্ধতিতে ডিম ওয়ালা মাছ ও পোনা ধরে বাজারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। এই নিষিদ্ধ জাল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহাসিক হাটগুলোতে মঙ্গলবার যাদুরানী ও শনিবার কাতিহার ও রবিবার নেকমরদে চায়নাদুয়ারি(শয়তান/ঘাতক) জাল ও কারেন্ট জাল দেদারসে বিক্রি করছে। এসব জাল বিক্রি রোধ করতে না পারলে জেলার বিভিন্ন ডোবা, নদী, নালা-খাল ও বিলের দেশি বা পোনা মাছ প্রজনন ধংস হয়ে যাবে। এসব জাল জব্দ কিংবা নিধন করা অতীব জরুরী। জেলা ও উপজেলার প্রশাসন কঠোরভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে এসব জাল বিক্রেতাদের ধরা,জাল জব্দ ও নিধন অভিযান অতীব জরুরি । অপরদিকে হরিপুর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের এ ব্যপারে মোটেও কোন প্রদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাহলে কি উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতা কিংবা সময়ের অজুহাতে দেশীয় বিভিন্ন জাতের ছোট মাছ জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দেশি মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে ? এখনো খাল, বিল, নদী, নোনা, সব জায়গায় এই শয়তান জাল / চায়নাদুয়ারী জাল পানিতে ফাঁদ পাততে দেখতে পাওয়া যায়। তবে মৎস অধিদপ্তরের লোকবলের চোখে পড়েই না।জাল হাটে বিক্রি বা পানিতে ফাঁদ পদ্ধতিতে মাছ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করলে হয়তো দেশীয় মাছের প্রজনন ধংসই হয়ে যাবে। এভাবেই চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে দেশীয় প্রজাতির মাছ বাজারে চোখেই পড়বে না। সুধীমহলের দাবি এই সমস্ত জালের ফাঁদ থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছকে রক্ষা করা হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

হরিপুরে ট্রেন জাল দিয়ে দেশীয় মাছের প্রজনন ধ্বংস

আপডেট সময় : ০৪:২৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

‎গোলাম রববানী(বিএসসি) হরিপুর প্রতিনিধিঃ

‎ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নদী,নোনা ও খাল-বিল । দেশীয় মছের শত্রু চায়নাদুয়ারী জাল বা ট্রেন জাল, শয়তানজাল, ঘাতক জাল দিয়ে বর্তমান বর্ষার প্রাক্কালে মাছের ব্রিডিং সিজনে ফাঁদ পদ্ধতিতে ডিম ওয়ালা মাছ ও পোনা ধরে বাজারে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। এই নিষিদ্ধ জাল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহাসিক হাটগুলোতে মঙ্গলবার যাদুরানী ও শনিবার কাতিহার ও রবিবার নেকমরদে চায়নাদুয়ারি(শয়তান/ঘাতক) জাল ও কারেন্ট জাল দেদারসে বিক্রি করছে। এসব জাল বিক্রি রোধ করতে না পারলে জেলার বিভিন্ন ডোবা, নদী, নালা-খাল ও বিলের দেশি বা পোনা মাছ প্রজনন ধংস হয়ে যাবে। এসব জাল জব্দ কিংবা নিধন করা অতীব জরুরী। জেলা ও উপজেলার প্রশাসন কঠোরভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে এসব জাল বিক্রেতাদের ধরা,জাল জব্দ ও নিধন অভিযান অতীব জরুরি । অপরদিকে হরিপুর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের এ ব্যপারে মোটেও কোন প্রদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাহলে কি উপজেলা প্রশাসনের উদাসিনতা কিংবা সময়ের অজুহাতে দেশীয় বিভিন্ন জাতের ছোট মাছ জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দেশি মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে ? এখনো খাল, বিল, নদী, নোনা, সব জায়গায় এই শয়তান জাল / চায়নাদুয়ারী জাল পানিতে ফাঁদ পাততে দেখতে পাওয়া যায়। তবে মৎস অধিদপ্তরের লোকবলের চোখে পড়েই না।জাল হাটে বিক্রি বা পানিতে ফাঁদ পদ্ধতিতে মাছ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করলে হয়তো দেশীয় মাছের প্রজনন ধংসই হয়ে যাবে। এভাবেই চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে দেশীয় প্রজাতির মাছ বাজারে চোখেই পড়বে না। সুধীমহলের দাবি এই সমস্ত জালের ফাঁদ থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছকে রক্ষা করা হোক।