ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে

হরিণাকুন্ডুতে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:০৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি –

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামে পরকীয়ার জেরে চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলায় স্ত্রী রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় ঘোষনা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দন্ডিত রিতা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জয়নাল মন্ডলের মেয়ে এবং তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক কৌশলে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে জসিম উদ্দিনকে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করে। পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিশ মন্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত উল্লেখিত রায় দেন।

রায়ে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদাণ্ড দেন আদালত। বাদীপক্ষে এ্যাড. রবিউল ইসলাম, এ্যাড. নেকবার ও এ্যাড রিমা ইয়াসমিন এবং আসামী পক্ষে এ্যাড আনোয়ার হোসেন ও এ্যাড গৌতম কুমার মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায় ঘোষনার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, আসামীদের ফাঁসি হলে আরো খুশি হতাম। তিনি বলেন, দন্ডিত আসামী তার ভাবি রিতা ও আব্দুল মালেক পরিকল্পিত ভাবে তার ভাইকে হত্যা করেছে, যা আমরা প্রমান করতে সমর্থ হয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

হরিণাকুন্ডুতে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৫:০৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

রাসেল হোসেন ঝিনাইদহ প্রতিনিধি –

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামে পরকীয়ার জেরে চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলায় স্ত্রী রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় ঘোষনা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দন্ডিত রিতা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জয়নাল মন্ডলের মেয়ে এবং তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক কৌশলে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে জসিম উদ্দিনকে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করে। পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিশ মন্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত উল্লেখিত রায় দেন।

রায়ে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদাণ্ড দেন আদালত। বাদীপক্ষে এ্যাড. রবিউল ইসলাম, এ্যাড. নেকবার ও এ্যাড রিমা ইয়াসমিন এবং আসামী পক্ষে এ্যাড আনোয়ার হোসেন ও এ্যাড গৌতম কুমার মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায় ঘোষনার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, আসামীদের ফাঁসি হলে আরো খুশি হতাম। তিনি বলেন, দন্ডিত আসামী তার ভাবি রিতা ও আব্দুল মালেক পরিকল্পিত ভাবে তার ভাইকে হত্যা করেছে, যা আমরা প্রমান করতে সমর্থ হয়েছি।