ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালের উজিরপুরে”মাদক থেকে দূরে রাখতে বিএনপি নেতাদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ সাপে কেটেছিল, বাঁচানো যেত—এন্টিভেনোম না থাকায় মৃত্যু রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মাঝে সাইকেল বিতরণ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন টরন্টোতে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল মোঃ ফারুক হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা ঝিনাইদহে জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) পথস/ভা অ’নু’ষ্ঠি’ত শাল্লায় মেডিকেলের ছাড়পত্র জাল তৈরীর অপরাধে মামলার বাদী কারাগারে বাকৃবিতে রোভারদের পিআরএস কর্মশালা ও সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড আগৈলঝাড়ায় কোটি টাকা ব্যয়ের নির্মাণ সড়ক এখন মানুষের জনদুর্ভোগ প্রেরণার উদ্যোগে স্যানিটারী ন্যাপকিন তৈরীর উপকরণ সামগ্রী বিতরণ

স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে সড়কে ঘুরে স্ত্রী’র মাইকিং

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে সড়কে ঘুরে স্ত্রী’র মাইকিং

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ-

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী দেবপ্রসাদ কর্মকারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে হ্যান্ড মাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে প্রচারনা চালাচ্ছেন নিহতের স্ত্রী শাবানা কর্মকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসকাব ও আদালতপাড়াসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়কে ঘুরে ঘুরে হ্যান্ডমাইক নিয়ে মাইকিং করেন তিনি। ঘটনার তিন বছর পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তিনি স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছেন। শাবানা কর্মকার জানান, ২০২১ সালের ৪ মার্চ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তার স্বামী দেবপ্রসাদ মজুমদার। নিখোঁজের চারদিন পর বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের একটি বাগানে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার মেয়ে এলিজাবেথ কর্মকার বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত ৪ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ফিরোজ ভাট্টিকে। ফিরোজ আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের আব্দুল কাদের ভাট্টির ছেলে।
শাবানা কর্মকার বলেন, নিহত দেবপ্রসাদ কর্মকারের সাথে একই এলাকার কাদের ভাট্টির ছেলেদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। সেই ঘটনায় জেরধরে নিখোঁজ হন দেবপ্রসাদ মজুমদার। নিখোঁজের চারদিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একাধিক ছায়া তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তদন্ত শেষে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও আসামি পক্ষ এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় সঠিক বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তারা এখন আতঙ্কিত। তাই গ্রেপ্তারকৃত আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে সড়কে ঘুরে স্ত্রী’র মাইকিং

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে সড়কে ঘুরে স্ত্রী’র মাইকিং

আশরাফ উদ্দিন বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ-

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী দেবপ্রসাদ কর্মকারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে হ্যান্ড মাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে প্রচারনা চালাচ্ছেন নিহতের স্ত্রী শাবানা কর্মকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসকাব ও আদালতপাড়াসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়কে ঘুরে ঘুরে হ্যান্ডমাইক নিয়ে মাইকিং করেন তিনি। ঘটনার তিন বছর পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তিনি স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছেন। শাবানা কর্মকার জানান, ২০২১ সালের ৪ মার্চ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তার স্বামী দেবপ্রসাদ মজুমদার। নিখোঁজের চারদিন পর বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের একটি বাগানে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার মেয়ে এলিজাবেথ কর্মকার বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গত ৪ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ফিরোজ ভাট্টিকে। ফিরোজ আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের আব্দুল কাদের ভাট্টির ছেলে।
শাবানা কর্মকার বলেন, নিহত দেবপ্রসাদ কর্মকারের সাথে একই এলাকার কাদের ভাট্টির ছেলেদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। সেই ঘটনায় জেরধরে নিখোঁজ হন দেবপ্রসাদ মজুমদার। নিখোঁজের চারদিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একাধিক ছায়া তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তদন্ত শেষে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও আসামি পক্ষ এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় সঠিক বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তারা এখন আতঙ্কিত। তাই গ্রেপ্তারকৃত আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।