ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

স্থানীয়করণের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিতে ফিরতে টেকসই সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

জাকারিয়া মোহাম্মদ ইমন:-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবে বর্তমান প্রজন্ম যখন নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, তখন স্থানীয়করণের মাধ্যমে কৃষি, দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতি ও টেকসই সমাজ গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে ঢাকার রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে উদযাপিত হলো বিশ্ব স্থানীয়করণ দিবস।

সোমবার (২৩ জুন, ২০২৫) ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ (আইডাব্লিউবি) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় কমিউনিটির বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দেশীয় ফলমূল ও শাকসবজির প্রদর্শনী। শিশুদের কাছে বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির ফল ও শাকসবজি পরিচিত করানো হয়। পাশাপাশি, ঔষধি গাছের গুণাবলি সম্পর্কে জানাতে প্রতিটি গাছের পাশে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। প্রদর্শনীতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীসহ নানা ঐতিহ্যবাহী উপকরণ স্থান পায়।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়াতে একটি কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ, এর কৃষি, শিল্প ও ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে নানা প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করা হয়।

বিশ্ব স্থানীয়করণ দিবসের গুরুত্বকে রূপ দিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্কুল গার্ডেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আয়োজক সংস্থার সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাগানে নানা ধরনের দেশীয় শাকসবজির চারা রোপণ করে।

সমাপনী বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের শিশুরা অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারছে। কিন্তু তাদের এই জানাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার কারণ তারা তাদের দেশ সম্পর্কে অনাগ্রহী। দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি বিষয়ে অবগত নয়। এখন সময় এসেছে তাদের এসকল বিষয় জানানোর। তাই স্থানীয়করণ দিবসের এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আশা করি, শিশুরা নিজেদের দেশকে চিনবে এবং দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষি সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরবে।”

ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার বরনী দালবত ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজনে অনুষ্ঠানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

স্থানীয়করণের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতিতে ফিরতে টেকসই সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

জাকারিয়া মোহাম্মদ ইমন:-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবে বর্তমান প্রজন্ম যখন নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, তখন স্থানীয়করণের মাধ্যমে কৃষি, দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতি ও টেকসই সমাজ গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে ঢাকার রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে উদযাপিত হলো বিশ্ব স্থানীয়করণ দিবস।

সোমবার (২৩ জুন, ২০২৫) ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ (আইডাব্লিউবি) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় কমিউনিটির বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দেশীয় ফলমূল ও শাকসবজির প্রদর্শনী। শিশুদের কাছে বিলুপ্তপ্রায় নানা প্রজাতির ফল ও শাকসবজি পরিচিত করানো হয়। পাশাপাশি, ঔষধি গাছের গুণাবলি সম্পর্কে জানাতে প্রতিটি গাছের পাশে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। প্রদর্শনীতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীসহ নানা ঐতিহ্যবাহী উপকরণ স্থান পায়।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়াতে একটি কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ, এর কৃষি, শিল্প ও ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে নানা প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করা হয়।

বিশ্ব স্থানীয়করণ দিবসের গুরুত্বকে রূপ দিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্কুল গার্ডেনিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আয়োজক সংস্থার সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাগানে নানা ধরনের দেশীয় শাকসবজির চারা রোপণ করে।

সমাপনী বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের শিশুরা অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারছে। কিন্তু তাদের এই জানাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার কারণ তারা তাদের দেশ সম্পর্কে অনাগ্রহী। দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি বিষয়ে অবগত নয়। এখন সময় এসেছে তাদের এসকল বিষয় জানানোর। তাই স্থানীয়করণ দিবসের এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আশা করি, শিশুরা নিজেদের দেশকে চিনবে এবং দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষি সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরবে।”

ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার বরনী দালবত ও কমিউনিকেশন অফিসার মাহামুদুল হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজনে অনুষ্ঠানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।