ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভার আশুলিয়ায় ৭ নারীকে জিম্মি করে ডাকাতি, ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে

রাজ রোস্তম আলী,স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ
আশুলিয়ায় একটি বাড়ির তিন পরিবারের ৭ জন নারী সদস্যেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেছে ডাকাতরা। ঘটনার সময় ৯৯৯ সেবায় ফোন করেও পুলিশি সেবা পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা লুট করে ডাকাতরা।

ভুক্তভোগী মারধরের শিকার মুন্নী আক্তার বলেন, আমার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক, তার দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও মো. জহির একতলা বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করি। আমার স্বামী ও তার বড় ভাই সামাদ প্রবাসে থাকেন। মেজ ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তিনি বাড়িতেই থাকেন। কিন্তু গতকাল তিনি তাবলিগের কাজে ঢাকায় কাকরাইল মসজিদে যান। যাওয়ার সময় তার বড় বোনকে আমাদের বাড়িতে রেখে যান। পরে রাত ২টার দিকে ১০-১৫ জনের একদল ডাকাত বাড়ির পেছনের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে এবং সিঁড়িঘরের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। অস্ত্রধারী ডাকাতরা একই সময় অন্যান্য ঘরে ঢুকে বাড়ির আরও ৬ নারী সদস্যেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে আমার মেয়ের কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে সবগুলো ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ও ওয়ারড্রব ভেঙে আমাদের তিন পরিবারের প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণ ও আড়াই লাখ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জহির বলেন, আমি গতকাল আমার বোনকে রেখে ঢাকায় আসি। ভোর বেলা ফজরের নামাজের সময় বাড়ির পাশের মাদরাসার শিক্ষক আমাকে ডাকাতির কথা জানায়। এরপরেই আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা জরুরি ছাড়া পুলিশ পাঠাতে পারবে না বলে জানিয়ে আশুলিয়া থানার নম্বর দেয়। পরে আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করলে তারাও ঘটনাস্থলে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, কাঠগড়া এলাকায় ডাকাতির খবর শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাভার আশুলিয়ায় ৭ নারীকে জিম্মি করে ডাকাতি, ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

রাজ রোস্তম আলী,স্টাফ রিপোর্টার সাভার ঢাকাঃ
আশুলিয়ায় একটি বাড়ির তিন পরিবারের ৭ জন নারী সদস্যেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেছে ডাকাতরা। ঘটনার সময় ৯৯৯ সেবায় ফোন করেও পুলিশি সেবা পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা লুট করে ডাকাতরা।

ভুক্তভোগী মারধরের শিকার মুন্নী আক্তার বলেন, আমার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক, তার দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও মো. জহির একতলা বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করি। আমার স্বামী ও তার বড় ভাই সামাদ প্রবাসে থাকেন। মেজ ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তিনি বাড়িতেই থাকেন। কিন্তু গতকাল তিনি তাবলিগের কাজে ঢাকায় কাকরাইল মসজিদে যান। যাওয়ার সময় তার বড় বোনকে আমাদের বাড়িতে রেখে যান। পরে রাত ২টার দিকে ১০-১৫ জনের একদল ডাকাত বাড়ির পেছনের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে এবং সিঁড়িঘরের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে আমার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। অস্ত্রধারী ডাকাতরা একই সময় অন্যান্য ঘরে ঢুকে বাড়ির আরও ৬ নারী সদস্যেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে আমার মেয়ের কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে সবগুলো ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ও ওয়ারড্রব ভেঙে আমাদের তিন পরিবারের প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণ ও আড়াই লাখ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জহির বলেন, আমি গতকাল আমার বোনকে রেখে ঢাকায় আসি। ভোর বেলা ফজরের নামাজের সময় বাড়ির পাশের মাদরাসার শিক্ষক আমাকে ডাকাতির কথা জানায়। এরপরেই আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা জরুরি ছাড়া পুলিশ পাঠাতে পারবে না বলে জানিয়ে আশুলিয়া থানার নম্বর দেয়। পরে আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করলে তারাও ঘটনাস্থলে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, কাঠগড়া এলাকায় ডাকাতির খবর শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।