ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গ্রাম শাল্লায় কালনী নদীর গ্রাসে ভিটা হারালো ১০ পরিবার, মাদ্রাসা ও বাজার বিলীন হওয়ার শঙ্কা আগৈলঝাড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন রাণীশংকৈলে ১১ হাজার ৫০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ সাতক্ষীরা জেলার ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার কান্ডারীর যারা সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যু ফেনী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী মিন্টুকে অভিনন্দন জানিয়ে সোনাগাজীতে আনন্দ মিছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফেনী-০১ আসনে প্রার্থী মনোনীত করায় ছাগলনাইয়ায় বিজয় মিছিল রায়পুরায় নির্বাচনপূর্ব শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় চরাঞ্চলে কেন্দ্র পরিদর্শক দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে পবিপ্রবিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত 

সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যু

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন,সাতক্ষীরা;সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেলিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি গ্রামের মোঃজুয়েল গাজীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে সেলিনা আক্তার নামে এক গৃহবধু সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়, তার তিনটি সন্তানও আছে।

মৃত সেলিনা আক্তারের ছোট বোন সাথী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “আমার বোনকে গত রাতে মারধর করে হাসপাতালে আনা হয়। সকালে জানতে পারি, সে মারা গেছে।” সাথী আক্তার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের ওকে নির্যাতন করে মো: জুয়েল গাজী।

এ সময় সেলিনার বাবা মো. সেলিম শেখ (গ্রাম: পূর্ব সারলিয়া, থানা: মোড়লগঞ্জ, জেলা: বাগেরহাট) জানান, “আমার মেয়েকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার আগে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। পরে শুধু মৃত্যুর খবর জানানো হয়। হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।

তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে মরা দেহটি রেখে সবাই চলে গেছে, এবং এর আগে কয়েকবার এই মেয়ের ওপরে নির্যাতন করা হয়, তা নিয়ে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়, পরবর্তীতে পুলিশের সালিশে মীমাংশ করানো হয়, এরপরেই আবারও মারধর করার পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করানো হয়, এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আমি এখানে এসে যেটা জানতে পেরেছি।

চাচাতো বোন বৃষ্টি বলেন, “সেলিনা আমার চাচাতো বোন এবং দুই জা। আমরা দুই বোনের দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছি। ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, শুধু হাসপাতালে এসে সব দেখি।”

উল্লেখিত সেলিনা আক্তারের তিন বছরের মেয়ে বলেন আমার চোখের সামনেই বাবা, তাঁকে অসহায়ভাবে মারধর করেন এবং জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে দেন এটি ছিল এক বর্বরতম নির্যাতন। তিনিই আবার লোক-দেখানো জন্য মাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান এটি ছিল তাঁর অপরাধ ঢাকার অপচেষ্টা। “কিন্তু সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে, মা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত এবং বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড, যার একমাত্র কারণ আমার বাবার পৈশাচিকতা। “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার বাবার এই জঘন্য কাজের জন্য সর্বোচ্চ আইনি শাস্তি প্রাপ্য। আমি দেশের আইন ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমার বাবা যেন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধী হিসেবে বিচারের সম্মুখীন হন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন,সাতক্ষীরা;সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেলিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি গ্রামের মোঃজুয়েল গাজীর স্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে সেলিনা আক্তার নামে এক গৃহবধু সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়, তার তিনটি সন্তানও আছে।

মৃত সেলিনা আক্তারের ছোট বোন সাথী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “আমার বোনকে গত রাতে মারধর করে হাসপাতালে আনা হয়। সকালে জানতে পারি, সে মারা গেছে।” সাথী আক্তার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের ওকে নির্যাতন করে মো: জুয়েল গাজী।

এ সময় সেলিনার বাবা মো. সেলিম শেখ (গ্রাম: পূর্ব সারলিয়া, থানা: মোড়লগঞ্জ, জেলা: বাগেরহাট) জানান, “আমার মেয়েকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার আগে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। পরে শুধু মৃত্যুর খবর জানানো হয়। হাসপাতালে এসে দেখি মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।

তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে মরা দেহটি রেখে সবাই চলে গেছে, এবং এর আগে কয়েকবার এই মেয়ের ওপরে নির্যাতন করা হয়, তা নিয়ে কলারোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়, পরবর্তীতে পুলিশের সালিশে মীমাংশ করানো হয়, এরপরেই আবারও মারধর করার পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করানো হয়, এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আমি এখানে এসে যেটা জানতে পেরেছি।

চাচাতো বোন বৃষ্টি বলেন, “সেলিনা আমার চাচাতো বোন এবং দুই জা। আমরা দুই বোনের দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে করেছি। ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, শুধু হাসপাতালে এসে সব দেখি।”

উল্লেখিত সেলিনা আক্তারের তিন বছরের মেয়ে বলেন আমার চোখের সামনেই বাবা, তাঁকে অসহায়ভাবে মারধর করেন এবং জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে দেন এটি ছিল এক বর্বরতম নির্যাতন। তিনিই আবার লোক-দেখানো জন্য মাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান এটি ছিল তাঁর অপরাধ ঢাকার অপচেষ্টা। “কিন্তু সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে, মা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত এবং বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড, যার একমাত্র কারণ আমার বাবার পৈশাচিকতা। “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার বাবার এই জঘন্য কাজের জন্য সর্বোচ্চ আইনি শাস্তি প্রাপ্য। আমি দেশের আইন ও প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমার বাবা যেন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধী হিসেবে বিচারের সম্মুখীন হন।”