ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ কবর জিয়ারত ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের খোঁজখবর নিলেন দুমকি  উপজেলা বিএনপি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলে আশেকদের মন উৎফুল্লতায় ভরে উঠে- মাওলানা মনসুর পটুয়াখালীতে জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কু পি য়ে জ-খ-ম চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সোনাগাজী টিমের প্রস্তুতি দেখতে মাঠে নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার

সাড়ে পাঁচ হাজার সার্টিফিকেট দিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তা, জানতেন ঊর্ধ্বতনরাও

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তৌহিদ ইসলাম বাপ্পি
খুলনা দৌলতপুর ক্রাইম রিপোর্টার:-

জধানীর পীরেরবাগ থেকে টাকার বিনিময়ে আসল সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের অপকর্মের বিষয়ে জানতেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা তার কাছ থেকে আর্থিক ভাগ নেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। এই সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয়, বরং সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন।
রেজাল্ট অনুযায়ী তিনি টাকা নিতেন, তবে ৩৫ হাজারের কমে কাজ করতেন না। সার্টিফিকেট বানানোর পর সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, আবার অনেকে চাকরি করছেন। এভাবে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করা হতো, এ প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করা হতো। এমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানতেন। অনেকে তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটি ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই ম্যানেজ হয়ে যেত। সবকিছুই তদন্ত করছি। শামসুজ্জামানের অপকর্মের বিষয়ে কারা তদন্ত করতে গিয়ে চুপ হয়ে গেছেন তাদেরও আমরা খুঁজছি। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সবার নাম প্রকাশ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সাড়ে পাঁচ হাজার সার্টিফিকেট দিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তা, জানতেন ঊর্ধ্বতনরাও

আপডেট সময় : ০৪:০৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ তৌহিদ ইসলাম বাপ্পি
খুলনা দৌলতপুর ক্রাইম রিপোর্টার:-

জধানীর পীরেরবাগ থেকে টাকার বিনিময়ে আসল সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের অপকর্মের বিষয়ে জানতেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা তার কাছ থেকে আর্থিক ভাগ নেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কয়েক দিন আগে পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিলাম। এই সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয়, বরং সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন।
রেজাল্ট অনুযায়ী তিনি টাকা নিতেন, তবে ৩৫ হাজারের কমে কাজ করতেন না। সার্টিফিকেট বানানোর পর সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। এই সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, আবার অনেকে চাকরি করছেন। এভাবে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ তৈরির কাগজ কীভাবে বের করা হতো, এ প্রশ্নের জবাবে শামসুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করা হতো। এমনকি তার এই সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও জানতেন। অনেকে তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, শামসুজ্জামানের অবৈধভাবে সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বোর্ডের কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ফলে সেটি ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কম্পিউটার কাউন্সিলে। তারাও চুপ হয়ে যায়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান আমাদের বলেছেন, সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সবাই জানতেন। টাকার বিনিময়ে সবাই ম্যানেজ হয়ে যেত। সবকিছুই তদন্ত করছি। শামসুজ্জামানের অপকর্মের বিষয়ে কারা তদন্ত করতে গিয়ে চুপ হয়ে গেছেন তাদেরও আমরা খুঁজছি। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই করে কোন কোন রাঘব বোয়াল জড়িত, সবার নাম প্রকাশ করা হবে।