ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির

সড়কের পাশে গৃহবধু বন্যার হত্যাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার কৌশল

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ১১১ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে ট্রাক চাপায় বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক নারীর মৃ/ত্যু হয়েছে প্রচার হচ্ছে।
তবে কখন মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে কোন স্পষ্ট ধারণা করা যাচ্ছে না রোববার সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কানাপুকুরিয়া এলাকায় মহা সড়কের পাশে একজন নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায় যে তার নাম বন্যা খাতুন। সে শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদি গ্রামের সোহান আলীর স্ত্রী।

তবে বন্যার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হ/ত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে এক ব্যক্তি জানায়, অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বন্যা খাতুন ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলো। তার পেছনে একটি ট্রাক ছিলো। কিছুদুর যাওয়ার পর তারা এসে দেখে বন্যার লা/শ পড়ে আছে। আর যে মোটরসাইকেলে বন্যা যাচ্ছিলো সেটা আবার ফিরে যায়।

নি/হ/তের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন দাবী করেন, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। দুই দিন আগেও তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে আত্ম/হ/ত্যার চেষ্টা করে বন্যা। আমরা মনে করছি তাকে এখানে এনে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

জনমনের প্রশ্ন উঠেছে বন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে সে কি এই রাত্রিবেলা সড়কে হেঁটে হেঁটে বেড়াচ্ছিল ! কিংবা যদি কোন পরিবহনে সে এসে থাকে তাহলে সেই পরিবহন কোথায ? একটি হত্যাকান্ড কে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া নয়তো? বন্যার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক তদন্তে বন্যা হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে সড়ক দূর্ঘটনা মনে হলেও আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে আর তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে বলা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সড়কের পাশে গৃহবধু বন্যার হত্যাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার কৌশল

আপডেট সময় : ১০:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে ট্রাক চাপায় বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক নারীর মৃ/ত্যু হয়েছে প্রচার হচ্ছে।
তবে কখন মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে কোন স্পষ্ট ধারণা করা যাচ্ছে না রোববার সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কানাপুকুরিয়া এলাকায় মহা সড়কের পাশে একজন নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায় যে তার নাম বন্যা খাতুন। সে শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদি গ্রামের সোহান আলীর স্ত্রী।

তবে বন্যার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হ/ত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে এক ব্যক্তি জানায়, অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বন্যা খাতুন ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলো। তার পেছনে একটি ট্রাক ছিলো। কিছুদুর যাওয়ার পর তারা এসে দেখে বন্যার লা/শ পড়ে আছে। আর যে মোটরসাইকেলে বন্যা যাচ্ছিলো সেটা আবার ফিরে যায়।

নি/হ/তের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন দাবী করেন, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। দুই দিন আগেও তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে আত্ম/হ/ত্যার চেষ্টা করে বন্যা। আমরা মনে করছি তাকে এখানে এনে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

জনমনের প্রশ্ন উঠেছে বন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে সে কি এই রাত্রিবেলা সড়কে হেঁটে হেঁটে বেড়াচ্ছিল ! কিংবা যদি কোন পরিবহনে সে এসে থাকে তাহলে সেই পরিবহন কোথায ? একটি হত্যাকান্ড কে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া নয়তো? বন্যার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক তদন্তে বন্যা হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে সড়ক দূর্ঘটনা মনে হলেও আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে আর তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে বলা যাবে।