ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাতক্ষীরার চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা আগৈলঝাড়া মসজিদের ইমামের উপর প্রতিপক্ষের হামলা রাণীশংকৈলে অসময়ে বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি.. হতাশাগ্রস্ত কৃষক সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ কার্তিকের অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে অসহায়, সহযোগিতা কামনা ফেনী পৌরসভার মধ্যম বিরিঞ্চির আব্দুস সোবহান মুন্সীর ইন্তেকাল দুমকিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ ‎উপজেলা পর্যায়ে গ্ৰাম আদালত কার্যক্রমের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ‎ কোয়েপাড়ায় সর্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহোৎসব অনুষ্ঠিত জাতীয় রক্তদাতা দিবসে ফেনীর সেরা রক্তদাতা সংগঠক হিসেবে নুর নবীকে সম্মাননা

সড়কের পাশে গৃহবধু বন্যার হত্যাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার কৌশল

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে ট্রাক চাপায় বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক নারীর মৃ/ত্যু হয়েছে প্রচার হচ্ছে।
তবে কখন মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে কোন স্পষ্ট ধারণা করা যাচ্ছে না রোববার সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কানাপুকুরিয়া এলাকায় মহা সড়কের পাশে একজন নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায় যে তার নাম বন্যা খাতুন। সে শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদি গ্রামের সোহান আলীর স্ত্রী।

তবে বন্যার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হ/ত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে এক ব্যক্তি জানায়, অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বন্যা খাতুন ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলো। তার পেছনে একটি ট্রাক ছিলো। কিছুদুর যাওয়ার পর তারা এসে দেখে বন্যার লা/শ পড়ে আছে। আর যে মোটরসাইকেলে বন্যা যাচ্ছিলো সেটা আবার ফিরে যায়।

নি/হ/তের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন দাবী করেন, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। দুই দিন আগেও তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে আত্ম/হ/ত্যার চেষ্টা করে বন্যা। আমরা মনে করছি তাকে এখানে এনে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

জনমনের প্রশ্ন উঠেছে বন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে সে কি এই রাত্রিবেলা সড়কে হেঁটে হেঁটে বেড়াচ্ছিল ! কিংবা যদি কোন পরিবহনে সে এসে থাকে তাহলে সেই পরিবহন কোথায ? একটি হত্যাকান্ড কে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া নয়তো? বন্যার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক তদন্তে বন্যা হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে সড়ক দূর্ঘটনা মনে হলেও আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে আর তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে বলা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

সড়কের পাশে গৃহবধু বন্যার হত্যাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার কৌশল

আপডেট সময় : ১০:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

রাসেল হোসেন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে ট্রাক চাপায় বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক নারীর মৃ/ত্যু হয়েছে প্রচার হচ্ছে।
তবে কখন মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে কোন স্পষ্ট ধারণা করা যাচ্ছে না রোববার সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কানাপুকুরিয়া এলাকায় মহা সড়কের পাশে একজন নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায় যে তার নাম বন্যা খাতুন। সে শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদি গ্রামের সোহান আলীর স্ত্রী।

তবে বন্যার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হ/ত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে এক ব্যক্তি জানায়, অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বন্যা খাতুন ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলো। তার পেছনে একটি ট্রাক ছিলো। কিছুদুর যাওয়ার পর তারা এসে দেখে বন্যার লা/শ পড়ে আছে। আর যে মোটরসাইকেলে বন্যা যাচ্ছিলো সেটা আবার ফিরে যায়।

নি/হ/তের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন দাবী করেন, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। দুই দিন আগেও তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে আত্ম/হ/ত্যার চেষ্টা করে বন্যা। আমরা মনে করছি তাকে এখানে এনে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

জনমনের প্রশ্ন উঠেছে বন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে সে কি এই রাত্রিবেলা সড়কে হেঁটে হেঁটে বেড়াচ্ছিল ! কিংবা যদি কোন পরিবহনে সে এসে থাকে তাহলে সেই পরিবহন কোথায ? একটি হত্যাকান্ড কে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া নয়তো? বন্যার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক তদন্তে বন্যা হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে সড়ক দূর্ঘটনা মনে হলেও আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে আর তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে বলা যাবে।