শ্রীমঙ্গলে নবনির্মিত শ্রীশ্রী ‘জগদ্বন্ধু’র আশ্রম ও মিশনের দ্বারোদঘাটনের মধ্যে দিয়ে ৪ দিনের অনুষ্ঠানমালা
- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
শ্রীমঙ্গলে নবনির্মিত শ্রীশ্রী ‘জগদ্বন্ধু’র আশ্রম ও মিশনের দ্বারোদঘাটনের মধ্যে দিয়ে ৪ দিনের অনুষ্ঠানমালা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নবনির্মিত শ্রীশ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু আশ্রম ও মিশন-এর শুভ দ্বারোদঘাটন ও শ্রীশ্রী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা মহোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আগত মহারাজ ও কয়েক সহশ্রাধিক ভক্তদের অংশগ্রহণে নগর সংকীর্তন ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে কয়েক হাজার ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে এক বিশাল নগর সংকীর্তন ও শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলার উত্তরসুর এলাকার মন্দির প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে প্রায় তিন কিলোমিটার শহরে প্রবেশ করে। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শোভাযাত্রা সমাপ্ত হয়।
পরে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচ্য বিষয় ‘মানবধর্ম ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণে শ্রীশ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের অবদান’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।’ রাতে মহোৎসব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
চার দিনব্যাপী উদ্বোধনী মহোৎসবের দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাছাড়া পূর্ব ঘোষিত গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই উদ্বোধনী মহোৎসব চলবে শনিবার ২ মার্চ পর্যন্ত।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে শ্রীশ্রী জগদ্বন্ধুর বিগ্রহের অভিষেক ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাতে চৌদ্দমাদলে বাদ্য যন্ত্রে সন্ধ্যারতি অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া, গত (২৮ ফেব্রুয়ারি) বুধবার রাতে শ্রীশ্রী জগদ্বন্ধু মন্দির ও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা নিমিত্তে নামযজ্ঞের শুভ অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে ভক্তিগীতি অনুষ্ঠান পরে সকাল ১০ টার দিকে সাধু সম্মেলন ও সাধুদের প্রবচন প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১ টায় সাধু ভাণ্ডারা এবং বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ ও ভারতীয় শিল্পীদের সম্মানয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
শ্রীশ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু আশ্রম ও মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বন্ধু প্রীতম ব্রহ্মচারী বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ চার দিনব্যাপী শ্রীশ্রী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠাসহ নানান আয়োজনের বিশাল কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশ ভারতসহ বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যোগ দেন।