শিল্পকলায় জবি নাট্যকলার ৩ দিন ব্যাপী প্রদর্শিত “তর্পণ বাহকেরা” নাটকের সমাপ্তি

- আপডেট সময় : ০৮:০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

জবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের তিন দিনব্যাপী নাট্য প্রদর্শনীর সমাপ্তি ঘটেছে।
প্রাচীন গ্রিক ট্রাজেডি নাট্যকার ইস্কিলাসের বিখ্যাত নাটক তর্পণ বাহকেরা গত ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ শে আগস্ট সমাপনী প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেষ হয় এ আয়োজন।
নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় এ নাটক।
সমাপনী দিনের প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম (পিএইচডি)। নাটক শেষে তিনি বলেন, “এর আগেও আমি নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনা দেখেছি, সত্যিই তারা অসাধারণ। প্রতিটি নাটক সুন্দর একটা বক্তৃতা নিয়ে আসে আমাদের জন্য, আমি সত্যিই আবেগ আপ্লুত, এই বিষয় গুলো আমার হৃদয় ছুয়ে যায়। আমার খুবই সৌভাগ্য যে আমি এখানে আসতে পেরেছি। নাট্যকলা বিভাগের জন্য শুভকামনা থাকবে যেনো তারা আমাদেরকে আরও ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে পারে।”
নাটকটির নির্দেশক ক্যাথরিন পিউরীফিকেশন বলেন, “সাম্প্রতিক বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নাটকটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেছি। কারণ “তর্পণ বাহকেরা” একটি রাজ পরিবারের হত্যাকান্ডের ঘটনাকে বিধৃত করে যেখানে হত্যাকারীরা ‘নিয়তির বিধানে’ নিজেদের পাপের শাস্তি ভোগ করে। বর্তমান সময়ে সবগুলো রাষ্ট্র আন্ত:দ্বন্ধ ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যা আমাদের সমূহ সম্ভাবনাকে সংকুচিত করছে বারংবার। সীমাবদ্ধ করছে আমাদের বোধের পরিমণ্ডল। একটি অস্থির সময় আমাদের মধ্যে তৈরি করে চলেছে বিছিন্নতা। এ এক ধরনের আত্মজিজ্ঞাসা, এর উত্তর সহজে মেলে না। তাই একদল তরুণকে সাথে নিয়ে অন্বেষণ করেছি এর উত্তর শিল্পের অবয়বে। পৃথিবী আবার ছন্দে ফিরে আসুক এই কামনা করি।”
দর্শকদের একজন বলেন, “নাটক হচ্ছে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি। এই নাটক হিংসা বিদ্বেষ প্রতিশোধ ইত্যাদির বিরুদ্ধে কথা বলে, অর্থাৎ এ গুলো কখনোই আমাদের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনবেনা। এই শিক্ষা গুলো নিয়েই আমরা সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনি।”
তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ছিলো দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। আয়োজনে নতুন প্রজন্মের মঞ্চনাট্য চর্চার সৃজনশীল সম্ভাবনার এক শক্তিশালী উপস্থিতি দেখা গেছে।