শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয় এর কাছে অনুরোধ করলেন ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ এরশাদ আলী ও তার মা-বাবা
- আপডেট সময় : ০৫:৫৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ২৪৮ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁর বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেন কর্তৃক মূল রেজুলেশন কাটাকাটি ও স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া নিয়োগ দানের রেকর্ড সৃষ্টি প্রমাণিত।
বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর বেতন আটকে থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শাস্তি থেকে বাঁচতে অধ্যক্ষের বর্তমানে পুনরায় অনিয়ম,নানা যড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার তুলে ধরা হলো।
অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন,
নওগাঁর ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত “বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ” এর বার বার বহু সমালোচিত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেনের বিভিন্ন্ অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বর্তমানে অধ্যক্ষ তাঁর নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য ও চাকরি বাচাঁতে পুনরায় কলেজে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, নানা ষড়যন্ত্র মিথ্যা অপবাদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেই যাচ্ছেন অভিযোগ কারি শিক্ষক মোঃ এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে।
অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হলোঃ
(১) গত ০১/০৪/২০১৫ তারিখে কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পত্রিকা দৈনিক সমকাল ও সানশাইনে উল্লেখিত বিষয় অধ্যক্ষ অশুভ উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে গোপনে পরিবর্তন করেছেন।
(২)শিক্ষক নিয়োগের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৮/০৬/২০১৫ তারিখের বৈধ মনোনয়ন চিঠি অধ্যক্ষ পরে গোপনে জালিয়তি করে চিঠি তৈরী করেছেন এবং বিষয় পরিবর্তন করেছেন।
(৩) ডিজি’র প্রতিনিধির গত ২৬/০৭/২০১৫ তারিখের চিঠি বৈধ চিঠি যেখানে তিনটি বিষয়ে নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ পরে গোপনে প্রকৃত চিঠির স্বাক্ষর জাল করে আটটি বিষয় বসিয়ে ভুয়া চিঠি তৈরী করেছেন।
(৪) গত ৩১/০৭/২০১৫ তারিখের C S কপি (সাক্ষাৎকার বোর্ডের ফলাফল সীট) অধ্যক্ষ পরে সকল স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া C S কপি তৈরী করেছেন অসৎ উদ্দেশ্যে।
(৫) কলেজ গভর্নিং বডির গত ২২/০৮/২০১৫ তারিখের মূল রেজুলেশন যেখানে তিনটি বিষয়ে নিয়োগের উল্লেখ ছিল। অধ্যক্ষ পরবর্তীতে ঐ মূল রেজুলেশন ব্যাপক কাটাকাটি করে তিনটির জায়গায় আটটি বিষয় বসিয়ে বিধিবহির্ভূত নিয়োগের উল্লেখ করেছে অর্থ লোভী অধ্যক্ষ যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
(৬) গত ৩১/০৮/২০১৫ তারিখের মোঃ এরশাদ আলীর সঠিক নিয়োগ পত্রের পদ অধ্যক্ষ পরে পরিবর্তন করেছেন অসৎ উদ্দেশ্যে।
(৭) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের গত ২৯/০৪/২০২০ তারিখের বৈধ স্মারক নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০০২.২০১৯(অংশ -৫).৮৩ এই স্মারক অধ্যক্ষ পরিবর্তন করে ৩৭.০২.০০০০.১০২.৯৯.০০১.২০.১৪ এই ভুয়া স্মারক লিখেছেন।
অধ্যক্ষের উপরোক্ত সকল জালিয়াতি রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের পরিচালক মহোদয় প্রমাণ পেয়েছেন ও লিখিত মন্তব্য করেছেন এবং অধ্যক্ষের শাস্তির জন্য মাউশি অধিদপ্তর নির্দেশনা চেয়েছেন।মাউশি অধিদপ্তরের শুনানিতেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এখন শুধু মাউশি অধিদপ্তর থেকে সর্বশেষ চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন অভিযোগ কারী ভুক্তভোগী প্রভাষক মো: এরশাদ আলী।
শাস্তি থেকে বাঁচতে বর্তমানে অধ্যক্ষের যড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার তুলে ধরা হলোঃ
জানা গেছে যে, অধ্যক্ষের জালিয়াতির বিষয়টি এখন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশিতে) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকায় কাজ চলমান রয়েছে। অধ্যক্ষের শাস্তি হবে তা জেনে অধ্যক্ষ এখন নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য ও নিজের চাকরি বাচাঁতে আইন ও নিয়মের সাথে না পেরে মাউশি অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে অবজ্ঞা করে বর্তমানে কলেজে বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলীর সাথে পুনরায় অনিয়ম, নানা ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।
জানা যায় প্রভাষক মোঃ এরশাদ আলী কলেজে উপস্থিত হওয়ার পরেও অধ্যক্ষ হাজিরা খাতা গোপন করেন এবং এরশাদ আলীকে স্বাক্ষর করতে বাধা প্রদান করেন স্বাক্ষর করতে দিচ্ছেন না কয়েক মাস যাবত। জানা যায় অধ্যক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাষক এরশাদ আলীকে কলেজের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। অধ্যক্ষ যড়যন্ত্র করে নানাভাবে এরশাদ আলীকে পাগল, মাথা টালমাতাল, অকথ্য ভাষা ও উস্কানিমূলক নানা কথাবার্তা বলছেন। অধ্যক্ষ যড়যন্ত্র করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরশাদ আলীর বিষয় (অর্থনীতিতে) ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে নিষেধ করছেন ও অর্থনীতিতে ভর্তি শুন্য করে দিচ্ছেন। এমন কি অর্থনীতিতে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীর নাম ভর্তি রেজিস্ট্রার থেকে লাল কালি দিয়ে গোপনে কেটে অধ্যক্ষ বাদ দিচ্ছেন।
এখন অধ্যক্ষ কলেজের অর্থ অপচয় ও নষ্ট করছেন এবং ছোটাছুটি করছেন শুধু নিজের চাকরি বাঁচাতে।
অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের স্হায়ী বরখাস্ত দাবি সহ বিভাগীয় আইনি ব্যবস্হা গ্রহনের দাবি করছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়, কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য কলেজ গভর্নিং বডি, অন্যান্য শিক্ষক/কর্মচারী, ছাত্র – ছাত্রী, অভিভাবক এবং কলেজ এলাকার আমজনতা।
সেই সাথে সকলে ভুক্তভোগী বৈধ প্রভাষক ( অর্থনাীতি) মোঃ এরশাদ আলীর ক্ষতি পুরন সহ বেতন ভাতা স্বল্প সময়ের মধ্যে চালুর জন্য মাউশি অধিদপ্তরের নিকট অনুরোধ করছেন কলেজের গভর্নিং বডি, উপাধ্যক্ষ, অন্যান্য সকল স্টাফ, ছাত্র- ছাত্রী ও কলেজ এলাকার আমজনতা এবং প্রভাষক মো: এরশাদ আলী নিজে ও তার মা বাবা।
উল্লেখ্য যে, মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয় এর রুমে সরাসরি শুনানিতেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং নীতিমালা অনুসারে অধ্যক্ষের শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। এখন মাউশি থেকে সর্বশেষ চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন অভিযোগ কারী ভুক্তভোগী প্রভাষক মো: এরশাদ আলী ও কলেজ এলাকার আমজনতা।