ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, দশজন আহত ঢাকা সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে নতুন অধ্যক্ষের যোগদান সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে — মির্জা আলমগীর ডাক্তার শহিদুল আলমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জি এম আব্বাস উদ্দিন ঢাকা সাভারে জামিনে বের হয়ে বাদীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ২৫ দেশে প্রথমবারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা পুলিশ যশোরের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ব্যাতিক্রমধর্মী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

শাল্লায় বিষ দিয়ে মাছধরে স্হানীয় বাজারে বিক্রয়

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে

তৌফিকুর রহমান তাহের,দিরাই শাল্লা উপজেলা প্রতিনিধিঃ-

(সুনামগঞ্জ) শাল্লা উপজেলা বিভিন্ন হাওরে বিষদিয়ে মাছধরে স্হানীয় বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাছ বিক্রয় খবর পাওয়া গেছে। আটগাঁও ইউনিয়নের নিজগাঁও বাজারকান্দি মিলন বাজারে।উক্ত বাজারের সভাপতি জনাব এলিমউদ্দীন বলেন প্রতিটি বিল,হাওরে,ডোবায়, বিষদিয়ে মাছে মারছে প্রতিনিয়ত,এমন কি আমার বাড়ির কয়েকটি হাসও এসব বিষখেয়ে মারা গেছে।সুমেস সমাজপতি বলেন প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনা ঘটেই চলছে।আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মাছে-ভাতে বাঙালি প্রবাদটি মাঝে মাঝে পত্রপত্রিকায় শোনা যায়। বাস্তব অবস্থা এখন একেবারেই ভিন্ন। একটা সময় ছিল যখন বাঙালির খাবারের তালিকায় স্বাদু পানির নানা রকম মাছ অবশ্যই থাকত, আর এখন বিভিন্ন প্রজাতির হাইব্রিড মাছ ছাড়া বাজারে কিছু পাওয়া যায় না।কিন্তু দেশি মাছের প্রতি বাঙালির টানথাকা সত্ত্বেও আজ একদল অসৎচক্র ভিন্নপথে মাছ ধরার উপায় বেঁচে নিয়েছে বিশদিয়ে মাছ ধরা।যা জনমনে মানুষের মনে অশান্তির সৃষ্টি করে।
তারপরও গ্রামাঞ্চলে কিছু দেশি প্রজাতির মাছ এখনো আছে। ছোট ছোট মুক্ত জলাশয়,পুকুরে সেগুলো পাওয়া যায়।
কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর খবর হচ্ছে, এসব মাছ ধরতে এখন জাল বা প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে না। একধরনের অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর,শিশুদের মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।
এই ট্যাবলেট পানিতে ফেললে মাটির নিচের মাছসহ সব মাছ মারা যায়, এরপর তা পানিতে ভেসে ওঠে। আর জেলেরা তা ধরে বাজারে বিক্রি করে। অর্থাৎ জেলেদের আর পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। এতে সব মাছ মারা যাচ্ছে, বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে দেশি মৎস্যকুল।
এই পরিস্থিতিতে শুধু বিষের ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়, বরং প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আর যারা এসব কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ফরমালিন থেকে আমরা অনেকটা রেহাই পেয়েছি। এবার আমাদের ফসফাইড বিষের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

শাল্লায় বিষ দিয়ে মাছধরে স্হানীয় বাজারে বিক্রয়

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

তৌফিকুর রহমান তাহের,দিরাই শাল্লা উপজেলা প্রতিনিধিঃ-

(সুনামগঞ্জ) শাল্লা উপজেলা বিভিন্ন হাওরে বিষদিয়ে মাছধরে স্হানীয় বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাছ বিক্রয় খবর পাওয়া গেছে। আটগাঁও ইউনিয়নের নিজগাঁও বাজারকান্দি মিলন বাজারে।উক্ত বাজারের সভাপতি জনাব এলিমউদ্দীন বলেন প্রতিটি বিল,হাওরে,ডোবায়, বিষদিয়ে মাছে মারছে প্রতিনিয়ত,এমন কি আমার বাড়ির কয়েকটি হাসও এসব বিষখেয়ে মারা গেছে।সুমেস সমাজপতি বলেন প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনা ঘটেই চলছে।আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মাছে-ভাতে বাঙালি প্রবাদটি মাঝে মাঝে পত্রপত্রিকায় শোনা যায়। বাস্তব অবস্থা এখন একেবারেই ভিন্ন। একটা সময় ছিল যখন বাঙালির খাবারের তালিকায় স্বাদু পানির নানা রকম মাছ অবশ্যই থাকত, আর এখন বিভিন্ন প্রজাতির হাইব্রিড মাছ ছাড়া বাজারে কিছু পাওয়া যায় না।কিন্তু দেশি মাছের প্রতি বাঙালির টানথাকা সত্ত্বেও আজ একদল অসৎচক্র ভিন্নপথে মাছ ধরার উপায় বেঁচে নিয়েছে বিশদিয়ে মাছ ধরা।যা জনমনে মানুষের মনে অশান্তির সৃষ্টি করে।
তারপরও গ্রামাঞ্চলে কিছু দেশি প্রজাতির মাছ এখনো আছে। ছোট ছোট মুক্ত জলাশয়,পুকুরে সেগুলো পাওয়া যায়।
কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর খবর হচ্ছে, এসব মাছ ধরতে এখন জাল বা প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে না। একধরনের অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর,শিশুদের মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।
এই ট্যাবলেট পানিতে ফেললে মাটির নিচের মাছসহ সব মাছ মারা যায়, এরপর তা পানিতে ভেসে ওঠে। আর জেলেরা তা ধরে বাজারে বিক্রি করে। অর্থাৎ জেলেদের আর পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। এতে সব মাছ মারা যাচ্ছে, বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে দেশি মৎস্যকুল।
এই পরিস্থিতিতে শুধু বিষের ব্যবহার নিষিদ্ধ নয়, বরং প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আর যারা এসব কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ফরমালিন থেকে আমরা অনেকটা রেহাই পেয়েছি। এবার আমাদের ফসফাইড বিষের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে হবে।