ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে — আলতাফ হোসেন চৌধুরী দুমকিতে গণছুটির কারণে বিদ্যুৎ অফিস অচল, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ কবর জিয়ারত ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত পরিবারের খোঁজখবর নিলেন দুমকি  উপজেলা বিএনপি ১২ই রবিউল আউয়াল আসলে আশেকদের মন উৎফুল্লতায় ভরে উঠে- মাওলানা মনসুর পটুয়াখালীতে জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কু পি য়ে জ-খ-ম চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সোনাগাজী টিমের প্রস্তুতি দেখতে মাঠে নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার

শাকিল হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার ২

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে শাকিল হত্যার রহস্য উদঘাটন ও গ্রেফতার ২ জন

ভিকটিম শাকিল (২৫), পিতাঃ মোঃ জহুরুল ইসলাম, সাং লাঙ্গলমোড়া, থানাঃ শেরপুর, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ অটো ভ্যান চালাইয়া জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সে গত ইং ২১/১০/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় বাড়ি হইতে অটো ভ্যান গাড়ি লইয়া ভাড়া খাটার জন্য বাহির হয়। শেরপুর থানধীন ৯নং সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বগুড়া বাজার এলাকা হইতে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন তাহার অটো মিশুক ভ্যান গাড়ি বিভিন্ন এলাকার দুর্গা পূজা মন্ডপ ভ্রমন করিবে মর্মে ভাড়া করে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিকটিম শাকিলকে হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দিয়ে তাহার অটো ভ্যান গাড়িটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শাকিলকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পাইয়া তার বাবা বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় শেরপুর থানার জিডি নম্বর ১২৫০, তারিখঃ ২২/১০/২০২৩ খ্রিঃ দায়ের করেন। ইং ২৩/১০/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় রায়গঞ্জ থানাধীন চান্দাইকোনা ইউনিয়নের চান্দাইকোনা পূর্বপাড়া সাকিনহ মোঃ নজর আলী এর বসত বাড়ির উত্তর পার্শ্বে ফুলজোড় নদীতে শাকিলের লাশটি পাওয়া যায়। উক্ত বিষয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি ক্লুলেস হত্যা মামলা দায়ের হয় এবং সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ ফিরোজকে (২৩) গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

উক্ত চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জনাব বিনয় কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রায়গঞ্জ সার্কেল স্যারের তত্ত্ব্যাবধানে অফিসার ইনচার্জ রায়গঞ্জ এর নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহয়াতায় তদন্তকারী অফিসার জনাব আব্দুল মজিদসহ সংগীয় অফিসার ফোর্স ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইং ২৮/০৪/২০২৪খ্রি. সন্ধিগ্ধ পলাতক আসামী মোঃ আশিক (১৯), পিতাঃ মোঃ বাদশা, সাং-নাকুয়া, থানাঃ শেরপুর, জেলাঃ বগুড়াকে গ্রেফতারপূর্বক থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে উক্ত আসামী ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে নিজেকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ধৃত আসামী মোঃ আশিক তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায় যে, সে এবং অপর আসামীদ্বয় মোঃ ফিরোজ ও মোমিন মিলে ভিকটিম আশিকের অটো ভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চান্দাইকোনা বাজারে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়ে ভিকটিম শাকিলের অটো রিক্সাটি মথুরাপুর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে। মথুরাপুর বাজারে গিয়ে আসামী আশিক একটি কোল্ডড্রিংস ক্রয় করে এবং কোল্ডড্রিংস এর অর্ধেক অংশ আগে আসামীরা নিজেরা খায়, বাকি অংশের ভেতরে আসামী মোমিন চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিম মোঃ শাকিলকে খাওয়ায়। শাকিল উক্ত ক্লোডড্রিংস খাওয়ার পর তার চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসলে আসামী ফিরোজ শাকিলকে পেছনের ছিটে অন্যান্য আসামীদের সাথে বসিয়ে ফিরোজ নিজে গাড়ি চালিয়ে ফুলজোড় নদীর পাড়ে যায়। নদীর পাড়ে গিয়ে আসামী ফিরোজ, আশিক ও মোমিন মিলে ভিকটিম শাকিলের হাত, পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফুলজোড় নদীর পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিম শাকিলের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে অটো ভ্যানটি নিয়ে মোমিনের বাড়িতে চলে যায়। পরের দিন অটো ভ্যানটির রং পরিবর্তন করে আসামী মোমিন তার নিকট আত্মীয়ের কাছে বিক্রয় করে। অটো ভ্যানটি বিক্রয়ের টাকা আসামীরা নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নেয়। উক্ত ঘটনায় রায়গঞ্জ থানা পুলিশ আসামী ফিরোজকে আটক করলে আসামী আশিক ও মোমিন পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। আসামী আশিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মধ্যে দিয়ে উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শাকিল হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার ২

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে শাকিল হত্যার রহস্য উদঘাটন ও গ্রেফতার ২ জন

ভিকটিম শাকিল (২৫), পিতাঃ মোঃ জহুরুল ইসলাম, সাং লাঙ্গলমোড়া, থানাঃ শেরপুর, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ অটো ভ্যান চালাইয়া জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সে গত ইং ২১/১০/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় বাড়ি হইতে অটো ভ্যান গাড়ি লইয়া ভাড়া খাটার জন্য বাহির হয়। শেরপুর থানধীন ৯নং সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বগুড়া বাজার এলাকা হইতে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন তাহার অটো মিশুক ভ্যান গাড়ি বিভিন্ন এলাকার দুর্গা পূজা মন্ডপ ভ্রমন করিবে মর্মে ভাড়া করে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিকটিম শাকিলকে হত্যা করে নদীতে লাশ ফেলে দিয়ে তাহার অটো ভ্যান গাড়িটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শাকিলকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পাইয়া তার বাবা বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় শেরপুর থানার জিডি নম্বর ১২৫০, তারিখঃ ২২/১০/২০২৩ খ্রিঃ দায়ের করেন। ইং ২৩/১০/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় রায়গঞ্জ থানাধীন চান্দাইকোনা ইউনিয়নের চান্দাইকোনা পূর্বপাড়া সাকিনহ মোঃ নজর আলী এর বসত বাড়ির উত্তর পার্শ্বে ফুলজোড় নদীতে শাকিলের লাশটি পাওয়া যায়। উক্ত বিষয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি ক্লুলেস হত্যা মামলা দায়ের হয় এবং সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ ফিরোজকে (২৩) গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

উক্ত চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় জনাব বিনয় কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রায়গঞ্জ সার্কেল স্যারের তত্ত্ব্যাবধানে অফিসার ইনচার্জ রায়গঞ্জ এর নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহয়াতায় তদন্তকারী অফিসার জনাব আব্দুল মজিদসহ সংগীয় অফিসার ফোর্স ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইং ২৮/০৪/২০২৪খ্রি. সন্ধিগ্ধ পলাতক আসামী মোঃ আশিক (১৯), পিতাঃ মোঃ বাদশা, সাং-নাকুয়া, থানাঃ শেরপুর, জেলাঃ বগুড়াকে গ্রেফতারপূর্বক থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে উক্ত আসামী ঘটনার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে নিজেকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ধৃত আসামী মোঃ আশিক তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায় যে, সে এবং অপর আসামীদ্বয় মোঃ ফিরোজ ও মোমিন মিলে ভিকটিম আশিকের অটো ভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চান্দাইকোনা বাজারে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়ে ভিকটিম শাকিলের অটো রিক্সাটি মথুরাপুর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে। মথুরাপুর বাজারে গিয়ে আসামী আশিক একটি কোল্ডড্রিংস ক্রয় করে এবং কোল্ডড্রিংস এর অর্ধেক অংশ আগে আসামীরা নিজেরা খায়, বাকি অংশের ভেতরে আসামী মোমিন চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিম মোঃ শাকিলকে খাওয়ায়। শাকিল উক্ত ক্লোডড্রিংস খাওয়ার পর তার চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসলে আসামী ফিরোজ শাকিলকে পেছনের ছিটে অন্যান্য আসামীদের সাথে বসিয়ে ফিরোজ নিজে গাড়ি চালিয়ে ফুলজোড় নদীর পাড়ে যায়। নদীর পাড়ে গিয়ে আসামী ফিরোজ, আশিক ও মোমিন মিলে ভিকটিম শাকিলের হাত, পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফুলজোড় নদীর পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিম শাকিলের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে অটো ভ্যানটি নিয়ে মোমিনের বাড়িতে চলে যায়। পরের দিন অটো ভ্যানটির রং পরিবর্তন করে আসামী মোমিন তার নিকট আত্মীয়ের কাছে বিক্রয় করে। অটো ভ্যানটি বিক্রয়ের টাকা আসামীরা নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নেয়। উক্ত ঘটনায় রায়গঞ্জ থানা পুলিশ আসামী ফিরোজকে আটক করলে আসামী আশিক ও মোমিন পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। আসামী আশিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মধ্যে দিয়ে উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হয়।