ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ ছাতকে নিরাপত্তাহীনতায় কানাডা প্রবাসীর স্ত্রী সুমি বেগম,থানায় জিডি রাস্তার বেহাল অবস্থা চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসি বলুর মেলা থেকে ভুয়া হিজড়া আটক ৪ বৃহৎ জনস্বার্থে চট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ফেনীতে মাদ্রাসা বোর্ড প্রধানের সাথে মাদ্রাসা প্রধানদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, সোনাগাজী পৌর শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি

শহীদ মুগ্ধে’র ভাইয়ের নোবিপ্রবিতে আগমন ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ 

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:-
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত দশটার দিকে নোয়াখালীর বন্যার্ত অসহায় মানুষের সাথে সাক্ষাৎ শেষে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আসেন মীর স্নিগ্ধ। এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে  শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকালে  ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত থাকার অভিযোগ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল সাড়ে ১১টায় সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে শহীদ মীর মুগ্ধর রক্তের সাথে বেইমানী সদৃশ কাজ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের এমন হীন কাজকে জাতি ও শহীদের রক্তের সাথে মশকরা বলে উল্লেখ করে।
জানা যায়, স্নিগ্ধের আগমনের সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলেন্টিয়াররা ও কয়েকজন শিক্ষক তাকে স্বাগত জানায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে এসময় উপস্থিত ছিলো নোবিপ্রবি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাব্বির। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সেই সাক্ষাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেউ উপস্থিত ছিলো না বলে জানা যায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে  ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া বলেন, ‘গতকালকের ঘটনায় আমরা দেখতে পেয়েছি শহীদের হারানোর বেদনা প্রকাশ করা হয়েছে খুনীর সামনে। আমরা সাথে সাথে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজকে সকালে যখন স্নিগ্ধ ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন তিনি কল্পনাই করতে পারেননি উনাকে ভুল তথ্য দিয়ে, মিস লিডিং করে এভাবে খুনীর সামনে তাকে বসানো হয়েছে। এই ক্যাম্পাস রক্তে অর্জিত ক্যাম্পাস। এখানে ছাত্রলীগের কোন অস্তিত্ব বরদাস্ত করা হবে না। ছাত্রলীগের দোসর, স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা যারা এখন সাধারণ শিক্ষার্থী বেশে ক্যাম্পাসকে নোংরা করছে তাদেরকে আমরা সমূলে উৎখাত করবো।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান দুর্জয় বলেন, ‘স্বৈরাচারকে উৎখাতের আন্দোলনে আমাদের অসংখ্য ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। শহীদ মীর মুগ্ধ ছিলো তাদেরই একজন। ‘পানি লাগবে, পানি’ এই কথাটি আজও আমাদের কানে শুনি। শহীদ মুগ্ধ ভাইয়ের স্নেহের ভাই মীর স্নিগ্ধ গতকাল আমাদের ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসে। যেখানে ছাত্রলীগের পদধারী নেতা আমার শহীদ মুগ্ধ ভাইকে হারানোর শোক প্রকাশ করতে যায়। স্বাধীন দেশে ছাত্রলীগের এই কর্মকাণ্ড আমাদের বিক্ষুব্ধ করেছে। যাদের হাতে আমার শত শত ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে তারা কিনা আসছে শোক প্রকাশ করতে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ক্লাব তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছে। তাই আমরা দাবি জানাবো অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের সকল নেতা ও দোসরদের বিতাড়িত করতে হবে। প্রয়োজনে সকল ক্লাব থেকে ছাত্রলীগের এজেন্ডা যারা বাস্তবায়নে যারা লিপ্ত আছে তাদেরকেও চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
মানববন্ধন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিতে বলা হয়, 

১. “সারা বাংলায় খবর দে এক দফার কবর দে” পক্ষে যারা জাতীয় আকাঙ্খার বিরুদ্ধে  প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিল এবং ফ্যাসিবাদের পক্ষে থেকে ছাত্রজনতাকে দমন ও হয়রানিতে লিপ্ত ছিলো  তারা কোন ক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে না।

২. ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করার পর যারা নতুনভাবে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা ও পুনর্বাসন  অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. অতীতে ছাত্র নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ততা ও ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে যেসব শিক্ষার্থী হলে অবৈধ দখলদারিত্ব কায়েম করে রেখেছে তাদের ৩ দিনের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে হল ছাড়তে হবে।  

৪. যারা সরাসরি হামলা ও হয়রানিতে অংশ গ্রহণ করেছে তাদের তদন্ত পূর্বক সাময়িক বহিষ্কার করতে হবে।

৫. সমন্বয়ক ও অন্যান্য দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ট্যাগিং ও হয়রানিসহ  আধিপত্যবাদী কর্মকাণ্ড  বন্ধ করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ঐ নেতার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি ত্রাণের বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। শুনেছি সেখানে সমন্বয়হীনতার অভাবে সুষম বণ্টন হচ্ছে না। অনেক জায়গায় কয়েকবার যাচ্ছে আবার অনেক জায়গায় যাচ্ছে না। ইচ্ছে ছিলো যদি সম্ভব হয় সরকারি কিছু ত্রান নিয়ে আমি নিজ এলাকায় যাবো। তখন ক্যাম্পাসে  স্নিগ্ধ ভাই আসে। এরপর যেটি ঘটেছে সেজন্য আমি লজ্জিত। এখন হয়তো আমি আর ক্যাম্পাসে মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবো না, এলাকায় কাজ করতে হবে।’

এদিকে  উল্লেখিত ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে নোবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (২৮ আগস্ট) শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধকে নিয়ে যে রাজনৈতিক নোংরা খেলা হলো, তা শহীদের রক্তকে অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই হীনস কাজের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শহীদ মুগ্ধে’র ভাইয়ের নোবিপ্রবিতে আগমন ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত থাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ 

আপডেট সময় : ১০:০০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:-
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত দশটার দিকে নোয়াখালীর বন্যার্ত অসহায় মানুষের সাথে সাক্ষাৎ শেষে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আসেন মীর স্নিগ্ধ। এসময় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে  শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকালে  ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত থাকার অভিযোগ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল সাড়ে ১১টায় সচেতন ছাত্রসমাজের ব্যানারে শহীদ মীর মুগ্ধর রক্তের সাথে বেইমানী সদৃশ কাজ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের এমন হীন কাজকে জাতি ও শহীদের রক্তের সাথে মশকরা বলে উল্লেখ করে।
জানা যায়, স্নিগ্ধের আগমনের সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলেন্টিয়াররা ও কয়েকজন শিক্ষক তাকে স্বাগত জানায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে এসময় উপস্থিত ছিলো নোবিপ্রবি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সাব্বির। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এদিকে, সেই সাক্ষাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেউ উপস্থিত ছিলো না বলে জানা যায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে  ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া বলেন, ‘গতকালকের ঘটনায় আমরা দেখতে পেয়েছি শহীদের হারানোর বেদনা প্রকাশ করা হয়েছে খুনীর সামনে। আমরা সাথে সাথে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। আজকে সকালে যখন স্নিগ্ধ ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন তিনি কল্পনাই করতে পারেননি উনাকে ভুল তথ্য দিয়ে, মিস লিডিং করে এভাবে খুনীর সামনে তাকে বসানো হয়েছে। এই ক্যাম্পাস রক্তে অর্জিত ক্যাম্পাস। এখানে ছাত্রলীগের কোন অস্তিত্ব বরদাস্ত করা হবে না। ছাত্রলীগের দোসর, স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা যারা এখন সাধারণ শিক্ষার্থী বেশে ক্যাম্পাসকে নোংরা করছে তাদেরকে আমরা সমূলে উৎখাত করবো।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান দুর্জয় বলেন, ‘স্বৈরাচারকে উৎখাতের আন্দোলনে আমাদের অসংখ্য ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। শহীদ মীর মুগ্ধ ছিলো তাদেরই একজন। ‘পানি লাগবে, পানি’ এই কথাটি আজও আমাদের কানে শুনি। শহীদ মুগ্ধ ভাইয়ের স্নেহের ভাই মীর স্নিগ্ধ গতকাল আমাদের ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসে। যেখানে ছাত্রলীগের পদধারী নেতা আমার শহীদ মুগ্ধ ভাইকে হারানোর শোক প্রকাশ করতে যায়। স্বাধীন দেশে ছাত্রলীগের এই কর্মকাণ্ড আমাদের বিক্ষুব্ধ করেছে। যাদের হাতে আমার শত শত ভাইয়ের রক্ত লেগে আছে তারা কিনা আসছে শোক প্রকাশ করতে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ক্লাব তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছে। তাই আমরা দাবি জানাবো অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের সকল নেতা ও দোসরদের বিতাড়িত করতে হবে। প্রয়োজনে সকল ক্লাব থেকে ছাত্রলীগের এজেন্ডা যারা বাস্তবায়নে যারা লিপ্ত আছে তাদেরকেও চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
মানববন্ধন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিতে বলা হয়, 

১. “সারা বাংলায় খবর দে এক দফার কবর দে” পক্ষে যারা জাতীয় আকাঙ্খার বিরুদ্ধে  প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিল এবং ফ্যাসিবাদের পক্ষে থেকে ছাত্রজনতাকে দমন ও হয়রানিতে লিপ্ত ছিলো  তারা কোন ক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে না।

২. ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করার পর যারা নতুনভাবে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা ও পুনর্বাসন  অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. অতীতে ছাত্র নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ততা ও ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে যেসব শিক্ষার্থী হলে অবৈধ দখলদারিত্ব কায়েম করে রেখেছে তাদের ৩ দিনের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে হল ছাড়তে হবে।  

৪. যারা সরাসরি হামলা ও হয়রানিতে অংশ গ্রহণ করেছে তাদের তদন্ত পূর্বক সাময়িক বহিষ্কার করতে হবে।

৫. সমন্বয়ক ও অন্যান্য দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ট্যাগিং ও হয়রানিসহ  আধিপত্যবাদী কর্মকাণ্ড  বন্ধ করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ঐ নেতার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি ত্রাণের বিষয়ে খোঁজখবর নিতেই ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। শুনেছি সেখানে সমন্বয়হীনতার অভাবে সুষম বণ্টন হচ্ছে না। অনেক জায়গায় কয়েকবার যাচ্ছে আবার অনেক জায়গায় যাচ্ছে না। ইচ্ছে ছিলো যদি সম্ভব হয় সরকারি কিছু ত্রান নিয়ে আমি নিজ এলাকায় যাবো। তখন ক্যাম্পাসে  স্নিগ্ধ ভাই আসে। এরপর যেটি ঘটেছে সেজন্য আমি লজ্জিত। এখন হয়তো আমি আর ক্যাম্পাসে মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবো না, এলাকায় কাজ করতে হবে।’

এদিকে  উল্লেখিত ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে নোবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (২৮ আগস্ট) শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধকে নিয়ে যে রাজনৈতিক নোংরা খেলা হলো, তা শহীদের রক্তকে অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই হীনস কাজের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।