ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শরীফ থেকে শরীফার’ গল্প বাদ দিতে সুপারিশ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে আলোচিত শরীফার গল্প বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে কমিটির সদস্যরা গল্পে ব্যবহৃত ১৯টি শব্দ ‘ইসলাম ধর্ম’ ও ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থার’ সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মত দিয়েছেন। তার পরিবর্তে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে মানবিক গল্প পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে বিশেষজ্ঞ কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ওই গল্পের ১৯টি শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তি তুলেছেন। আবার ওই শব্দগুলো বাদ দিলে গল্পই থাকে না। সেজন্য গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এর পরিবর্তে হিজড়াদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে মানবিক গল্প সংযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।তবে বিষয়টি নিয়ে কমিটির কেউই সরাসরি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি। কমিটির প্রধান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, আমরা প্রতিবেদন তৈরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে কি সুপারিশ করা হয়েছে, তা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন।জানতে চাইলে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। সুপারিশের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।আলোচিত শরীফার গল্পে আসলে কী আছে
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি কল কেটে দেন।তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার কালবেলাকে বলেন, আমরা শরীফার গল্পের লাইন বাই লাইন পড়েছি। সেখানে কী কী অসংগতি রয়েছে, সেগুলো দেখেছি। এরপর সেখানে কী কী সংশোধনী আনা যায় তা সুপারিশ করেছি। সরকার এখন বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে, এটুকু জানি। কিন্তু প্রতিবেদনে কী আছে তা আমার জানা নেই। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হবে, আমরা শুধু তা বাস্তবায়ন করব।বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরিফার গল্প’ নামের গল্পটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে গত ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যে এই কমিটিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে আহ্বায়ক করা হয়ে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

শরীফ থেকে শরীফার’ গল্প বাদ দিতে সুপারিশ

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশরাফ

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে আলোচিত শরীফার গল্প বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে কমিটির সদস্যরা গল্পে ব্যবহৃত ১৯টি শব্দ ‘ইসলাম ধর্ম’ ও ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থার’ সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মত দিয়েছেন। তার পরিবর্তে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে মানবিক গল্প পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে বিশেষজ্ঞ কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ওই গল্পের ১৯টি শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তি তুলেছেন। আবার ওই শব্দগুলো বাদ দিলে গল্পই থাকে না। সেজন্য গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এর পরিবর্তে হিজড়াদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে মানবিক গল্প সংযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।তবে বিষয়টি নিয়ে কমিটির কেউই সরাসরি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি। কমিটির প্রধান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, আমরা প্রতিবেদন তৈরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানে কি সুপারিশ করা হয়েছে, তা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন।জানতে চাইলে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রশীদ কালবেলাকে বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে তা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। সুপারিশের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।আলোচিত শরীফার গল্পে আসলে কী আছে
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি কল কেটে দেন।তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার কালবেলাকে বলেন, আমরা শরীফার গল্পের লাইন বাই লাইন পড়েছি। সেখানে কী কী অসংগতি রয়েছে, সেগুলো দেখেছি। এরপর সেখানে কী কী সংশোধনী আনা যায় তা সুপারিশ করেছি। সরকার এখন বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে, এটুকু জানি। কিন্তু প্রতিবেদনে কী আছে তা আমার জানা নেই। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হবে, আমরা শুধু তা বাস্তবায়ন করব।বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরিফার গল্প’ নামের গল্পটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে গত ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যে এই কমিটিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে আহ্বায়ক করা হয়ে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।