ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উদ্বোধনে “মির্জা ফখরুল” দুমকিতে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠিত কুতুবদিয়ায় গাঁজা ও ইয়াবা নিয়ে দুইগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৩ ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের পথসভা চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইক চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শারীরিক শিক্ষার মধ্যেই লুকিয়ে আছে নেতৃত্বের বীজ-পবিপ্রবি ভিসি ড.রফিকুল ইসলাম দেবহাটার নির্বাহী কর্মকর্তা মিলন সাহা’র সাথে সাহিত্য পরিষদের মতবিনিময় চাকসুতে ছাত্র শিবিরের স্মরণীয় বিজয় ভিপি-জিএস’সহ ২৬-এ ২৪ পদে বিজয়ী উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইউসুফ তালুকদারের পিতার ৮ ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন বকশীগঞ্জে বিজিবির অভিযানে ৯৩ পিস ইয়াবাসহ একজন আটক

লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা শিশুদের পাঠদান চলছে মহা সংকট

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ হানিফ,স্টাফ রিপোর্টার ফেনী জেলা:লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা শিশুদের পাঠদান চলছে মহা সংকটের মধ্যে। অবকাঠামোগত ভাবে সংকটে পাঠদান চলছে পুরাতন চেয়ার টেবিল। ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে পুরাতন ও নষ্ট হয়ে যাওয়া চেয়ার-টেবিল ও অবকাঠামো দিয়ে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যালয় ভবন ও আসবাবপত্রের বেহাল অবস্থা শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষগুলোর চেয়ার-টেবিল পুরাতন ও ভাঙাচোরা, দেওয়ালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এবং রং উঠে গেছে। বিদ্যালয়ে দুটি ভবন রয়েছে—একটি টিনশেড, অন্যটি পাকা ছাদ ঢালাই ভবন। টিনশেড ভবনের অধিকাংশ টিন মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে, বারান্দা ভেঙে পড়ার উপক্রম। অন্যদিকে পাকা ভবনের পেছনে বাঁশঝাড় ও গাছপালার কারণে দেওয়ালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

শিক্ষকদের অফিসকক্ষেও নেই ভালো মানের চেয়ার-টেবিল; বিদ্যমান আসবাবগুলো সম্পূর্ণ পুরাতন ও অচলপ্রায়।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অতীতে বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য অনুদান এলেও তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি।

তৎকালীন আওয়ামী কমিটির কিছু ব্যক্তি নামমাত্র কাজ দেখিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি কমিটিবিহীন অবস্থায় ‘এতিমের মতো’ চলছে বলে অভিমত দিয়েছেন এলাকাবাসী।

ছাত্রসংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গেছে, এলাকায় গড়ে ওঠা ‘লেমুয়া একাডেমি কিন্ডারগার্টেন’-এর প্রতি অভিভাবকদের আগ্রহ বেড়েছে।

অনেকেই মনে করেন, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার মান ভালো; ফলে তারা সন্তানদের সরকারি স্কুলে না পাঠিয়ে সেখানে ভর্তি করাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, “আমরা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি খুব মনোযোগী। নিয়মিত অভিভাবক সভা করে তাদের সন্তানদের পড়ালেখা ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।

তবে ভবন ও আসবাবপত্রের সংস্কার জরুরি—তা হলে শিক্ষার পরিবেশ আরও উন্নত হবে।”

স্কুল ভবনটির সংস্কার এবং আসবাবপত্রের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা শিশুদের পাঠদান চলছে মহা সংকট

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

মোহাম্মদ হানিফ,স্টাফ রিপোর্টার ফেনী জেলা:লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা শিশুদের পাঠদান চলছে মহা সংকটের মধ্যে। অবকাঠামোগত ভাবে সংকটে পাঠদান চলছে পুরাতন চেয়ার টেবিল। ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মধ্যম চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে পুরাতন ও নষ্ট হয়ে যাওয়া চেয়ার-টেবিল ও অবকাঠামো দিয়ে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যালয় ভবন ও আসবাবপত্রের বেহাল অবস্থা শিক্ষার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষগুলোর চেয়ার-টেবিল পুরাতন ও ভাঙাচোরা, দেওয়ালগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এবং রং উঠে গেছে। বিদ্যালয়ে দুটি ভবন রয়েছে—একটি টিনশেড, অন্যটি পাকা ছাদ ঢালাই ভবন। টিনশেড ভবনের অধিকাংশ টিন মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে, বারান্দা ভেঙে পড়ার উপক্রম। অন্যদিকে পাকা ভবনের পেছনে বাঁশঝাড় ও গাছপালার কারণে দেওয়ালের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

শিক্ষকদের অফিসকক্ষেও নেই ভালো মানের চেয়ার-টেবিল; বিদ্যমান আসবাবগুলো সম্পূর্ণ পুরাতন ও অচলপ্রায়।

বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অতীতে বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যালয় সংস্কারের জন্য অনুদান এলেও তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়নি।

তৎকালীন আওয়ামী কমিটির কিছু ব্যক্তি নামমাত্র কাজ দেখিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি কমিটিবিহীন অবস্থায় ‘এতিমের মতো’ চলছে বলে অভিমত দিয়েছেন এলাকাবাসী।

ছাত্রসংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গেছে, এলাকায় গড়ে ওঠা ‘লেমুয়া একাডেমি কিন্ডারগার্টেন’-এর প্রতি অভিভাবকদের আগ্রহ বেড়েছে।

অনেকেই মনে করেন, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার মান ভালো; ফলে তারা সন্তানদের সরকারি স্কুলে না পাঠিয়ে সেখানে ভর্তি করাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, “আমরা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি খুব মনোযোগী। নিয়মিত অভিভাবক সভা করে তাদের সন্তানদের পড়ালেখা ও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।

তবে ভবন ও আসবাবপত্রের সংস্কার জরুরি—তা হলে শিক্ষার পরিবেশ আরও উন্নত হবে।”

স্কুল ভবনটির সংস্কার এবং আসবাবপত্রের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।