রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে উত্তপ্ত বাকৃবি

- আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৬১ বার পড়া হয়েছে

বাকৃবি প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কোটা সংস্কার এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ৫ম দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।এর আগে দুপুর ৩ দিকে বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কে.আর মার্কেট হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।সকল গ্রেডে (৯ম-২০তম) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে, সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্য তম মাত্রায় এনে সংসদে জরুরি অধিবেশন আহবান এবং সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রেললাইনে আগেই অবস্থান করেছিলো বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। আন্দোলনকারীরা রেললাইন অবরোধ করতে চাইলে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ছাড়াই রেললাইন থেকে চলে যায়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন আটকে দেয়। শিক্ষার্থীরা রেললাইনে বসে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মালিহা মাশরাত বলেন, আজকে যৌক্তিক আন্দোলনে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝড়তেছে, আমার বোনের রক্ত ঝড়তেছে। এ কেমন স্বাধীনতা এই কেমন বাংলাদেশ। আন্দোলনে রক্ত ঝড়ায় দেশের পতাকার সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। যেই ভাই আজকে মাথায় পতাকা বেধে আন্দোলন করছে তার মাথায় আঘাত করা হচ্ছে, পিটুনি করা হচ্ছে। যৌক্তিক দাবিতে তাদের দেহের রক্ত ঝড়তেছে। আজকে একদম স্পষ্ট করে বলতে চাই আর একজনের দেহের রক্ত যদি ঝড়ে এই বাকৃবি ছাত্র সমাজ, সারা বাংলার ছাত্র সমাজ জিরো টলারেন্স নীতিতে দাঁড়াবে।কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ওয়াহিদা আঞ্জুম রিস্তা বলেন, আমি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সদস্য হিসেবে গর্বিত ছিলাম। কিন্তু আমার এখন লজ্জা লাগতেছে যে আমার জন্য আমার ভাইয়েদের রক্ত ঝড়তেছে। আমি আমার ভাইদের অধিকার, বোনদের অধিকার হরণ করে এই কোটা চাই না। আমি চাই এর একটা বিহিত হোক, কোটা সংস্কার হোক।