রানীশংকৈলে ঐতিহ্যবাহী রামরাই দিঘিকে আধুনিকায়ন রুপ দিতে ইইএনও র প্রচেষ্টা

- আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

একে আজাদ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
৩৫ তম বিসিএস প্রশাসনের এ কর্মকর্তা ইউএনও’র পাশাপাশি একাধারে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের প্রশাসক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) পৌর প্রশাসক, বিভিন্ন শিক্ষা পতিষ্ঠানের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ফাইলে চোখ রাখা, স্বাক্ষরের পর স্বাক্ষর,সভা সেমিনার,জনদূর্ভোগের অভিযোগ দিনভর এসব সামাল দেন তিনি। কিন্তু দিন শেষে তার ঠিকানা হয় রাণীসাগর (রামরায়) নেচার পাকে। সেখানে তিনি ইউএনও নন মনে হয় একজন ঠিকাদার অথবা শ্রমিক। সোমবার (৪ আগষ্ঠ) রাণীসাগর (রামরায়) নেচার পার্কে গিয়ে দেখাযায় বসানো হচ্ছে প্যান্ডেল বোট,শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন রকমারি খেলনার আইটেম।
শীত মৌসুমে প্রতিবছর এদিঘীতে অতিথি পাখি আসে আর পাখির কলকলানিতে মুখর হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এজন্য এবার পাখির বাসা তৈরিতে ৩শ মাটির হাড়ি টাংঙ্গানো হয়েছে বিভিন্ন গাছে। সেখানে বৃষ্ঠির পানি ও জমাবেনা, পাখির বংশবিস্তারে যেমনি হবে সহায়তা তৈরি হবে পাখির অভয়াশ্রম। এবার বিভিন্ন প্রজাতির ১হাজার গাছ রোপন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, রামরায়য়ের উন্নয়নটা করা হচ্ছে পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে।পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে খাবারের দোকান, ফটো কর্ণার, শিশুপার্ক, পানিতে নৌকা, প্যান্ডেল বোর্ড যেখানে মানুষ উঠবে। পাখি দেখবে, গাছ দেখবে। তবে এটা আমাদের ডাইনামিক প্লান,এজন্য টুরিসজম বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, রাণীসাগর (রামরায়)’কে পর্যায়ক্রমে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ঢেলে সাজানো হবে। আর এখান থেকে যা আয় হবে পার্কের খরব বাদ দিয়ে সব অর্থ ব্যয় হবে এ উপজেলার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের এবং অসহায় মানুষের জন্য।