রাতে এক পশলা বৃষ্টি দিনে ৪১.২ ডিগ্রিতে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

- আপডেট সময় : ০৩:১২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-চুয়াডাঙ্গায় ১৪ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপমাত্রা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎ চমকানো ও দমকা হাওয়ার সঙ্গে সামান্য এক পশলা বৃষ্টি কিছুটা জনমনে স্বস্তি আনলেও দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বেলা যত বাড়তে থাকে সূর্যের চোখ রাঙানিও ততো বাড়তে থাকে।বুধবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৩ শতাংশ। তাপমাত্রা আরো বেড়ে বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২১ শতাংশ।
এর আগে, রাত ১টা ২০ মিনিটে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয় এবং দমকা হাওয়া বয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এই ঝড়-বৃষ্টি। এ সময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার।বৃষ্টির আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বৃষ্টির পর এ জেলার তাপমাত্রা আরো দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি আছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে ওঠা-নামা করছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হিট অ্যালার্ট মেনে চলতে। যেহেতু হিটস্ট্রোক হচ্ছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেইসঙ্গে কৃষি আবাদ, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে।