ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ঢাকা বিভাগে সবুজ দলকে ৩৫ রানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল দল কালিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে কেড়ে নিল ১ কৃষকের লক্ষ টাকার স্বপ্ন ঢাকা সাভার আশুলিয়ায় ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত, আটক ২ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে—- সাতক্ষীরায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত মাদক সেবনের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লার চঞ্চলসহ ৩জন গ্রেফতার হারুয়ালছড়ি বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার: বাকৃবির গবেষণা যে কারণে বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন স্বেচ্ছাসেবকরা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে স্বীকৃত – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজ ৭১ অনলাইন পোর্টালে”প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাজধানীর বেইলী অগ্নিকান্ডেয়ে ৪৬ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেইলি রোডে যে আগুনটা লাগলে, সেখানে একটা বহুতল ভবন, সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।
নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সবসময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের অনুরোধ করি, আপনারা অন্তত যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু যারা (ভবন) তৈরি করতে চায়, আর্কিটেক্টরাও ওরকম ডিজাইন ঠিকমতো করবে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ৪৬ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অথচ ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো, অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে বারবার আমরা নির্দেশ দিচ্ছি। সেটা কিন্তু মানে না। আর আমি জানি এখানে নিশ্চয়ই ইন্স্যুরেন্স নেই, কাজেই তারা কিছু পাবেও না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতাটা খুব বেশি প্রয়োজন।
এসময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগুন লাগিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করার বিষয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন ধরনের যে বিমা চালু করা হয়েছে আমি মনে করি এটা মানুষকে আরও নিরাপত্তা দেবে। অনেক সময় বিমা নিয়ে অনেকে নানা ধরনের ব্যবসা করে। হয়ত কোথাও একটু আগুন লেগেছে। ক্ষতির পরিমাণ যতটা না তারচেয়ে বেশি দাবি করে বসে থাকে। এই দাবি শুধু করে না, যারা যায় পরীক্ষা করতে তাদেরও ম্যানেজ করে ফেলে।
‘ফলে বিরাট অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যায়। এরকম দু’একটা কেস আমি নিজে ধরে ফেলেছি। তখন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে আমি বলেছি তদন্ত করে দেখব কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে এক ভয়াবহ চিত্র উঠে আসল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ভয়াবহ চিত্র হলো একটা গার্মেন্ট কারখানায় আগুন লেগেছে। প্রায়ই আমাদের বিভিন্ন গার্মেন্টে আগুন লাগত আপনারা জানেন। আমি বললাম বিষয়টা কি, এত ঘনঘন আগুন লাগার কারণ কি। এজন্য আমি বললাম এখন দেবেন না (বিমা দাবি), আমি একটু তদন্ত করি। আমরা তদন্ত শুরু করলাম। তদন্ত করতে গিয়ে কি বেরিয়ে এলো জানেন, দেখা গেল ওই গার্মেন্টের এক কর্মীকে দিয়ে, তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং একটা জায়গায় যেখানে কিছু্ ছিল না, যেখানে বসে নাস্তা-পানি খেতো সেখানে কিছু জিনিস ছিল। সেই জায়গাটায় আগুন দিয়ে পরে ৪০ কোটি টাকা দাবি করল।
তিনি বলেন, এখন তো আমাদের ফরেনসিক বিভাগের তদন্তের একটা সুযোগ আছে, আপনারা জানেন। কি কি জিনিস পুড়েছে এটার তদন্ত করতে হবে, এটা আমি বললাম। সব পরীক্ষা করা হলো। দেখা গেল কিছু আবর্জনা রেখে ওই ফ্লোরটায় আগুন দেওয়া হলো। তারপর ৪০ কোটি টাকা দাবি করা হলো। ৪০ কোটি টাকার সম্পদ তো এখানে পুড়েনি, তাহলে কেন এত টাকা দাবি করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপর দেখা গেল, এই আগুন লাগার ব্যাপারটা, এখানে খুব ঘনঘন আগুন লাগত। আপনারা হয়তোবা আন্দাজ করতে পারছেন। তারপর এ অবস্থাটা, সেখানে নিজেই আগুন লাগানো হতো পরে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হতো। আমি কথাটা এ কারণে বলছি, আপনারা এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দেবেন এবং এ ধরনের ঘটনা যেন কেউ ঘটাতে না পারে। যদিও এখন আমরা অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা করেছি কিন্তু মানুষ এত সচেতন না।
বিমার টাকা মানুষ যেন সহজে পায় সেই তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিমার দাবিগুলো যেন মানুষ সহজে পায়, দুই নম্বরি যারা করে তাদের কথা বলছি না। প্রকৃতপক্ষে যারা পায় তারা যেন সহজে পায়। দুই নম্বরি যারা করে তারা ম্যানেজ করে সহজে পায়, সেটা যেন না পায়। আর যারা প্রকৃত, যারা ম্যানেজ করতে পারে না, তারা যেন দ্রুত সময়ে পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেই দিকে দৃষ্টি দেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

রাজধানীর বেইলী অগ্নিকান্ডেয়ে ৪৬ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে?

আপডেট সময় : ০৩:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেইলি রোডে যে আগুনটা লাগলে, সেখানে একটা বহুতল ভবন, সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।
নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সবসময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের অনুরোধ করি, আপনারা অন্তত যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু যারা (ভবন) তৈরি করতে চায়, আর্কিটেক্টরাও ওরকম ডিজাইন ঠিকমতো করবে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ৪৬ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অথচ ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো, অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে বারবার আমরা নির্দেশ দিচ্ছি। সেটা কিন্তু মানে না। আর আমি জানি এখানে নিশ্চয়ই ইন্স্যুরেন্স নেই, কাজেই তারা কিছু পাবেও না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতাটা খুব বেশি প্রয়োজন।
এসময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগুন লাগিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করার বিষয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন ধরনের যে বিমা চালু করা হয়েছে আমি মনে করি এটা মানুষকে আরও নিরাপত্তা দেবে। অনেক সময় বিমা নিয়ে অনেকে নানা ধরনের ব্যবসা করে। হয়ত কোথাও একটু আগুন লেগেছে। ক্ষতির পরিমাণ যতটা না তারচেয়ে বেশি দাবি করে বসে থাকে। এই দাবি শুধু করে না, যারা যায় পরীক্ষা করতে তাদেরও ম্যানেজ করে ফেলে।
‘ফলে বিরাট অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যায়। এরকম দু’একটা কেস আমি নিজে ধরে ফেলেছি। তখন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে আমি বলেছি তদন্ত করে দেখব কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে এক ভয়াবহ চিত্র উঠে আসল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ভয়াবহ চিত্র হলো একটা গার্মেন্ট কারখানায় আগুন লেগেছে। প্রায়ই আমাদের বিভিন্ন গার্মেন্টে আগুন লাগত আপনারা জানেন। আমি বললাম বিষয়টা কি, এত ঘনঘন আগুন লাগার কারণ কি। এজন্য আমি বললাম এখন দেবেন না (বিমা দাবি), আমি একটু তদন্ত করি। আমরা তদন্ত শুরু করলাম। তদন্ত করতে গিয়ে কি বেরিয়ে এলো জানেন, দেখা গেল ওই গার্মেন্টের এক কর্মীকে দিয়ে, তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং একটা জায়গায় যেখানে কিছু্ ছিল না, যেখানে বসে নাস্তা-পানি খেতো সেখানে কিছু জিনিস ছিল। সেই জায়গাটায় আগুন দিয়ে পরে ৪০ কোটি টাকা দাবি করল।
তিনি বলেন, এখন তো আমাদের ফরেনসিক বিভাগের তদন্তের একটা সুযোগ আছে, আপনারা জানেন। কি কি জিনিস পুড়েছে এটার তদন্ত করতে হবে, এটা আমি বললাম। সব পরীক্ষা করা হলো। দেখা গেল কিছু আবর্জনা রেখে ওই ফ্লোরটায় আগুন দেওয়া হলো। তারপর ৪০ কোটি টাকা দাবি করা হলো। ৪০ কোটি টাকার সম্পদ তো এখানে পুড়েনি, তাহলে কেন এত টাকা দাবি করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপর দেখা গেল, এই আগুন লাগার ব্যাপারটা, এখানে খুব ঘনঘন আগুন লাগত। আপনারা হয়তোবা আন্দাজ করতে পারছেন। তারপর এ অবস্থাটা, সেখানে নিজেই আগুন লাগানো হতো পরে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হতো। আমি কথাটা এ কারণে বলছি, আপনারা এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দেবেন এবং এ ধরনের ঘটনা যেন কেউ ঘটাতে না পারে। যদিও এখন আমরা অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা করেছি কিন্তু মানুষ এত সচেতন না।
বিমার টাকা মানুষ যেন সহজে পায় সেই তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিমার দাবিগুলো যেন মানুষ সহজে পায়, দুই নম্বরি যারা করে তাদের কথা বলছি না। প্রকৃতপক্ষে যারা পায় তারা যেন সহজে পায়। দুই নম্বরি যারা করে তারা ম্যানেজ করে সহজে পায়, সেটা যেন না পায়। আর যারা প্রকৃত, যারা ম্যানেজ করতে পারে না, তারা যেন দ্রুত সময়ে পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেই দিকে দৃষ্টি দেবেন।