রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতি

- আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতি
স্টাফ রিপোটার
চাল ডাল আর মরিচে ঝাল বেড়েছে ঝাল, ঝালের চোটে পুরে গেলো টকটকে গাল। ঠিক যেনো কবিতার মতোই দ্রব্যের বাজার। রমজান উপলক্ষে তেমনিই যেনো বাজারে দ্রব্যমূল্য দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার করতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এ যেনো দ্রব্যমূল্যের মাধ্যমে জনগনের কাছ থাকে পকেট কেটে নিচ্ছে এক শ্রেণি অসাধু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী।
ফলে বাজারে হতে বাজার বিমুখী হতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রধান বিষয় এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি। রমজানকে উপলক্ষকরে বাজারে যেনো ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধিপাচ্ছে এসব পণ্যের দাম।।
দেখা যায় যে, কিছু কিছু পণ্যের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছেন। যা মানুষের ক্রায় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছেন। বিশেষ করে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের অধিক পরিমানে কষ্ঠ হয়ে গেছেন বাজার করতে। রমজান মাসকে সামনে রেখে গত কয়েকমাসের চেয়ে এখন পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেয়েছে। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ বেশি দুর্ভোগ চরম সিমানায় পৌঁছেছে।
যদিও বাংলাদের আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, টিসিবি পণ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যেমন: ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুরি ডাল, ১ কেজি সোলা বুট যার মূল্য ৫২৫ টাকায় পাওয়া যায়। তবে এগুলো সাধারণত যাদের টিসিবি কার্ডের আওতায় তারা পেয়ে থাকেন।
যানা যায়, প্রতি রমজানকে সামনে রেখে খেজুর, আপেল, আংগুরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম অধিক পরিমানে বৃদ্ধি পায়। যা একজন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত আয় সাথে মূল্যবৃদ্ধির কোন সামঞ্জস্য নেই বলে যানা যায়।
গত বছরে জানুয়ারি মাসে ২৩ সালে চিনি ১২০ টাকা, ছোলা ৮৬ টাকা, খেজুর ১৬০-৪৫০ টাকা, পেয়াজ ২৮- ৩৫ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫২ টাকা। কিন্তু এ বছর জানুয়ারি মাসে ২৪ সালে চিনি ১৪৫ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, খেজুর ২৬০-৪১০ টাকা, পেয়াজ ৭০- ৮০ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫২ টাকা।
১১ মার্চ হতে রমজান মাস শুরু হয় তাতেই বাজারে দ্রব্যমূল্য উপর বিরুপ প্রভাব পরেছে। বাজারে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে যানা য়ায় যে, দেশের বাজারে যে পরিমাণ ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি। তাতে বাজার করাই অনেক সমস্যা বলে যানা যায়। আরোও বলেন আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। প্রতিটি সবজির কেজিতে ৩ টাকা ৫ টাকা বা তার চেয়েও বেশি পরিমাণের বেড়েছে। এতে প্রায় দিশাহারা শ্রমজীবী মানুষ। আবার যে পরিবারে সদস্যের সংখ্যা বেশি তাদের বাজার করতে যেয়ে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পরেছে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের উপর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে সাধারণ মানুষের জন্য খেজুরের দাম নির্ধারণ করেন। প্রতি কেজি ১৫০ – ১৬৫ টাকা, এবং জায়দি খেজুর ১৭০-১৮০ টাকা