ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বলুর মেলা থেকে ভুয়া হিজড়া আটক ৪ বৃহৎ জনস্বার্থে চট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ফেনীতে মাদ্রাসা বোর্ড প্রধানের সাথে মাদ্রাসা প্রধানদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, সোনাগাজী পৌর শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক

রংপুর জেলার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

সেলিম চৌধুরী,জেলা প্রতিনিধি, রংপুর:-

রংপুর জেলার গ্ৰাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় জাতের খেজুরের গাছ।এক সময় রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক খেজুর গাছ দেখা গেলেও বর্তমানে আর তেমন একটা দেখা যায় না এ ফলের গাছটি। বাজারে আম,জাম,কাঁঠাল,লিচুসহ বিভিন্ন ধরনের রসালো ফলে ভর্তি থাকলেও আর তেমন একটা দেখা মেলেনা দেশীয় খেজুরের গাছ। দেশীয় খেজুরের খুব বেশি কদর না থাকলেও এ ফল নানা রকম পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ।

পুষ্টিবিদদের মতে,দেশীয় খেজুরের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম,সালফার, আয়রন,পটাসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ কপার,ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন বি-৬,ফলিক এ্যসিড,আমিষ ও শর্করা। এছাড়াও দেশি পাকা খেজুর খেতেও খুব সুস্বাদু।এক সময় পথে-প্রান্তরে,মাঠে-ঘাটে ছিল সারি সারি খেজুর গাছ।ঐ মৌসুমে যেদিকে চোখ যেত দেখা যেত গাছে ঝুলে থাকা থোকা থোকা খেজুর। জ্যৈষ্ঠের শেষ থেকে শ্রাবন মাস পর্যন্ত গাছ থেকে খেজুরের ছড়ি সংগ্রহের উৎসবে মেতে উঠত গ্রামের কিশোর-কিশোরীরা। বর্তমানে দিনদিন গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় খেজুর গাছ।খেজুর গাছে শীতের প্রথম ভাগে ফুল আসে।

পরে ফুল থেকে পরিপক্ক হতে সময় লাগে প্রায় চার মাস।আষাড়ের প্রথম ভাগে পাকতে শুরু করে দেশি খেজুর গুলো। সবুজ রং থেকে গাঢ় হলদে হলে পরিপক্ক হয়। থোকা কেটে লবন-পানিতে তিন থেকে চার ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে খেজুরগুলো পেকে যায়। এ খেজুরে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। খেজুর হার্টের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। খেজুর রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে।এছাড়াও ফলটি হজমবর্ধক এবং পাকস্থলি ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়।

আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারনে দিনদিন খেজুর গাছ মরে যাচ্ছে এবং অযত্ন-অবহেলায় যত্রতত্র বেড়ে ওঠা এ গাছ মানুষের অনেক উপকারে আসলেও তেমন একটা কদর নাই বললেই চলে। যে কারনে আর পূর্বের মতো এ গাছ দেখা যায় না। এছাড়া দিন দিন ইটভাটায় খেজুর গাছ জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার বৃদ্ধির কারনেও কমতে শুরু করেছে উপকারী এ গাছটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রংপুর জেলার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সেলিম চৌধুরী,জেলা প্রতিনিধি, রংপুর:-

রংপুর জেলার গ্ৰাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় জাতের খেজুরের গাছ।এক সময় রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক খেজুর গাছ দেখা গেলেও বর্তমানে আর তেমন একটা দেখা যায় না এ ফলের গাছটি। বাজারে আম,জাম,কাঁঠাল,লিচুসহ বিভিন্ন ধরনের রসালো ফলে ভর্তি থাকলেও আর তেমন একটা দেখা মেলেনা দেশীয় খেজুরের গাছ। দেশীয় খেজুরের খুব বেশি কদর না থাকলেও এ ফল নানা রকম পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ।

পুষ্টিবিদদের মতে,দেশীয় খেজুরের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম,সালফার, আয়রন,পটাসিয়াম,ম্যাঙ্গানিজ কপার,ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন বি-৬,ফলিক এ্যসিড,আমিষ ও শর্করা। এছাড়াও দেশি পাকা খেজুর খেতেও খুব সুস্বাদু।এক সময় পথে-প্রান্তরে,মাঠে-ঘাটে ছিল সারি সারি খেজুর গাছ।ঐ মৌসুমে যেদিকে চোখ যেত দেখা যেত গাছে ঝুলে থাকা থোকা থোকা খেজুর। জ্যৈষ্ঠের শেষ থেকে শ্রাবন মাস পর্যন্ত গাছ থেকে খেজুরের ছড়ি সংগ্রহের উৎসবে মেতে উঠত গ্রামের কিশোর-কিশোরীরা। বর্তমানে দিনদিন গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশীয় খেজুর গাছ।খেজুর গাছে শীতের প্রথম ভাগে ফুল আসে।

পরে ফুল থেকে পরিপক্ক হতে সময় লাগে প্রায় চার মাস।আষাড়ের প্রথম ভাগে পাকতে শুরু করে দেশি খেজুর গুলো। সবুজ রং থেকে গাঢ় হলদে হলে পরিপক্ক হয়। থোকা কেটে লবন-পানিতে তিন থেকে চার ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে খেজুরগুলো পেকে যায়। এ খেজুরে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। খেজুর হার্টের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। খেজুর রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে।এছাড়াও ফলটি হজমবর্ধক এবং পাকস্থলি ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়।

আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারনে দিনদিন খেজুর গাছ মরে যাচ্ছে এবং অযত্ন-অবহেলায় যত্রতত্র বেড়ে ওঠা এ গাছ মানুষের অনেক উপকারে আসলেও তেমন একটা কদর নাই বললেই চলে। যে কারনে আর পূর্বের মতো এ গাছ দেখা যায় না। এছাড়া দিন দিন ইটভাটায় খেজুর গাছ জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার বৃদ্ধির কারনেও কমতে শুরু করেছে উপকারী এ গাছটি।