ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন পালন গোমদন্ডী দরবারে জিকরে মোস্তফা সম্মেলন সোমবার জামালপুর মাদারগঞ্জে তারতাপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গৌ- মইদৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা আশুলিয়ায় হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন, বাৎসরিক ওরশ শরীফে বাঁধা ও চাঁদার দাবি বিবেকানন্দ ষ্টাডি এন্ড ফিলানফ্রপিক সেন্টার অব নিউইয়র্ক উদ্যোগ কম্বল বিতরণ যশোরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উদযাপন নীলফামারীতে আন্তঃজেলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকীতে বাকৃবিতে নিম গাছ রোপণ সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস ঢাকা সাভারে পুলিশের অভিযানে সোয়া ২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

রংপুরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির,বিপাকে ক্রেতারা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে

রংপুরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির,বিপাকে ক্রেতারা।

সেলিম চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি,রংপুর

পবিত্র রমজানে রংপুরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। এতে বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা। রংপুর নগরীর সিটি বাজার, ধাপ বাজার, সিও বাজার, কামাল কাছনা, লালবাগহাট, মডার্ন মোড়, চকবাজার, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা ও বুড়িরহাটসহ বিভিন্ন হাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম চড়া।

বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো নজরদারি নেই বলে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষজন জানিয়েছেন।

এবার রমজানেও সবজির বাজার চড়া। একদিনের ব্যবধানে দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে চিকন বেগুন ৭০ টাকা, মাঝারি ও গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৩০-৪০, গাজর ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ১৩০-১৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৮০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতিটি পণ্যের দাম ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এছাড়াও বাজারে কার্ডিনাল আলু ৩০ টাকা, শিল আলু ৫০ টাকা, বগুড়ার সাদা পাকরি আলু ৪০ টাকা ও গ্রানুলা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ৬০ থেকে এক লাফে ৯০ টাকা টাকা ও দেশি আদার কেজি ২২০-২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতারা বলেন, রমজান মাসে বেগুনের চাহিদা বেড়ে যায়, কিন্তু আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনি ১৪৫-১৫০ টাকা, প্যাকেট আটা আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৪৮-৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯৫-১০০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৭০-১৮০ টাকা ও বুটডাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়ে ৩১০-৩২০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা ও দেশি ৪৮০-৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫২০-৫৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর চকবাজার এলাকার মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমলেও অন্য জাতের মুরগির দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন আগের মতোই ১৭৩ টাকা ও দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। রমজান মাসে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রংপুরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির,বিপাকে ক্রেতারা

আপডেট সময় : ১০:০১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

রংপুরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির,বিপাকে ক্রেতারা।

সেলিম চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি,রংপুর

পবিত্র রমজানে রংপুরে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। এতে বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা। রংপুর নগরীর সিটি বাজার, ধাপ বাজার, সিও বাজার, কামাল কাছনা, লালবাগহাট, মডার্ন মোড়, চকবাজার, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা ও বুড়িরহাটসহ বিভিন্ন হাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম চড়া।

বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো নজরদারি নেই বলে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষজন জানিয়েছেন।

এবার রমজানেও সবজির বাজার চড়া। একদিনের ব্যবধানে দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে চিকন বেগুন ৭০ টাকা, মাঝারি ও গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৩০-৪০, গাজর ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ১৩০-১৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৮০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতিটি পণ্যের দাম ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এছাড়াও বাজারে কার্ডিনাল আলু ৩০ টাকা, শিল আলু ৫০ টাকা, বগুড়ার সাদা পাকরি আলু ৪০ টাকা ও গ্রানুলা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ ৬০ থেকে এক লাফে ৯০ টাকা টাকা ও দেশি আদার কেজি ২২০-২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতারা বলেন, রমজান মাসে বেগুনের চাহিদা বেড়ে যায়, কিন্তু আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনি ১৪৫-১৫০ টাকা, প্যাকেট আটা আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৪৮-৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯৫-১০০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৭০-১৮০ টাকা ও বুটডাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়ে ৩১০-৩২০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা ও দেশি ৪৮০-৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫২০-৫৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর চকবাজার এলাকার মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমলেও অন্য জাতের মুরগির দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন আগের মতোই ১৭৩ টাকা ও দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। রমজান মাসে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।