ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মানিকগঞ্জে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা, ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত তৎপরতায় প্রাণে রক্ষা ভোমরা স্থলবন্দর প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানকে ক্রেস প্রদান সাতক্ষীরায় শহীদ আসিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত করে শিবির উঁকি দিচ্ছে ধানের শীষ স্বপ্ন দেখছেন হরিপুরের আমন চাষীরা মানিকগঞ্জে অবৈধ দোকানে দখলদারিত্ব: জনদুর্ভোগ চরমে

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ছাত্রী অপহরণের মামলা এজহার নথিভুক্ত না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:-

রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অপহরণের মামলা না নেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন অপহৃত পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়,গত ১৩ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলের পথে রওয়ানা দিলে, কুর্শারঘাট ব্রিজের কাছে যাওয়া মাত্র পুর্বপরিকল্পনামতো অজ্ঞাতনামা সিএনজিতে টানাহেঁচড়া করে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন দেখে ভুক্তভোগীর পরিবারকে জানানো হলে, ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন জায়্গায় খোজাখুজি করে না পেলে, নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলীকে বিষয়টি অবগত করেন।
আরো জানা যায় যে , এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার এর বাবা- মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। তাসলিমা আক্তার লেখাপড়া জন্য নানীর কাছে নোহালী ইউনিয়নে থাকেন। এবিষয়ে নানী বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন।
পরীক্ষার্থী নানী জরিনা বেগম বলেন, চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় থানায় এজাহার দাখিল করি। এজাহার দাখিলের সময় ওসি আমার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে নাই। গরিব মানুষ হিসেবে ওসির কাছে অনুরোধ করি আমার নাতনি কে যেনো উদ্ধার করে দেয়। পরে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আমার নাতনিতে থানায় ডাকেন। আমি ও ইউপি চেয়ারম্যান থানা আসলে ওসি বলেন , আফতাব চেয়ারম্যান (আলমবিদিতর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান) মেয়ে নিয়ে আসে কথা ছিল আসেন নাই। আমি ও আশরাফ চেয়ারম্যান ওসির কাছে জানতে চাই তাহলে মেয়ে উদ্ধার হবেনা বা মামলা এন্ট্রি হবেনা। তখন ওসি আবার দমক দিয়ে বলে জান দেখি কি করা যায়। আমার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান থাকার পরও ওসি দমক দিয়ে কথা বলায় দুজন সাংবাদিকের সহযোগিতা চেয়ে তাদের খরচ দেই। সে সাংবাদিক দুজনে টাকা নিয়ে তারাও ওসি আর আফতাব চেয়ারম্যানের পক্ষে কথা বলেন। এছাড়া অপহরণের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত উদ্ধার করেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে অপহৃত পরিবার দ্রুত মামলা এন্ট্রিসহ অপহারণের সাথে জড়িত গ্রেপ্তার করে দেন অপহৃতকে উদ্ধার দাবি জানান।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমুর রহমান কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন,এখনো মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি।অপহারিতা মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল, অফিস, রংপুর) বলেন,আপনারা বাস্তবতা তুলে ধরে রিপোর্ট করেন । কোন অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ছাত্রী অপহরণের মামলা এজহার নথিভুক্ত না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:-

রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অপহরণের মামলা না নেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন অপহৃত পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়,গত ১৩ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলের পথে রওয়ানা দিলে, কুর্শারঘাট ব্রিজের কাছে যাওয়া মাত্র পুর্বপরিকল্পনামতো অজ্ঞাতনামা সিএনজিতে টানাহেঁচড়া করে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন দেখে ভুক্তভোগীর পরিবারকে জানানো হলে, ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন জায়্গায় খোজাখুজি করে না পেলে, নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলীকে বিষয়টি অবগত করেন।
আরো জানা যায় যে , এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার এর বাবা- মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। তাসলিমা আক্তার লেখাপড়া জন্য নানীর কাছে নোহালী ইউনিয়নে থাকেন। এবিষয়ে নানী বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন।
পরীক্ষার্থী নানী জরিনা বেগম বলেন, চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় থানায় এজাহার দাখিল করি। এজাহার দাখিলের সময় ওসি আমার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে নাই। গরিব মানুষ হিসেবে ওসির কাছে অনুরোধ করি আমার নাতনি কে যেনো উদ্ধার করে দেয়। পরে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আমার নাতনিতে থানায় ডাকেন। আমি ও ইউপি চেয়ারম্যান থানা আসলে ওসি বলেন , আফতাব চেয়ারম্যান (আলমবিদিতর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান) মেয়ে নিয়ে আসে কথা ছিল আসেন নাই। আমি ও আশরাফ চেয়ারম্যান ওসির কাছে জানতে চাই তাহলে মেয়ে উদ্ধার হবেনা বা মামলা এন্ট্রি হবেনা। তখন ওসি আবার দমক দিয়ে বলে জান দেখি কি করা যায়। আমার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান থাকার পরও ওসি দমক দিয়ে কথা বলায় দুজন সাংবাদিকের সহযোগিতা চেয়ে তাদের খরচ দেই। সে সাংবাদিক দুজনে টাকা নিয়ে তারাও ওসি আর আফতাব চেয়ারম্যানের পক্ষে কথা বলেন। এছাড়া অপহরণের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত উদ্ধার করেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে অপহৃত পরিবার দ্রুত মামলা এন্ট্রিসহ অপহারণের সাথে জড়িত গ্রেপ্তার করে দেন অপহৃতকে উদ্ধার দাবি জানান।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমুর রহমান কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন,এখনো মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি।অপহারিতা মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল, অফিস, রংপুর) বলেন,আপনারা বাস্তবতা তুলে ধরে রিপোর্ট করেন । কোন অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।