রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ছাত্রী অপহরণের মামলা এজহার নথিভুক্ত না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০৬:১৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

সেলিম চৌধুরী
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:-
রংপুরের গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অপহরণের মামলা না নেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন অপহৃত পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়,গত ১৩ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুলের পথে রওয়ানা দিলে, কুর্শারঘাট ব্রিজের কাছে যাওয়া মাত্র পুর্বপরিকল্পনামতো অজ্ঞাতনামা সিএনজিতে টানাহেঁচড়া করে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন দেখে ভুক্তভোগীর পরিবারকে জানানো হলে, ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন জায়্গায় খোজাখুজি করে না পেলে, নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলীকে বিষয়টি অবগত করেন।
আরো জানা যায় যে , এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসলিমা আক্তার এর বাবা- মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। তাসলিমা আক্তার লেখাপড়া জন্য নানীর কাছে নোহালী ইউনিয়নে থাকেন। এবিষয়ে নানী বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন।
পরীক্ষার্থী নানী জরিনা বেগম বলেন, চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় থানায় এজাহার দাখিল করি। এজাহার দাখিলের সময় ওসি আমার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে নাই। গরিব মানুষ হিসেবে ওসির কাছে অনুরোধ করি আমার নাতনি কে যেনো উদ্ধার করে দেয়। পরে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আমার নাতনিতে থানায় ডাকেন। আমি ও ইউপি চেয়ারম্যান থানা আসলে ওসি বলেন , আফতাব চেয়ারম্যান (আলমবিদিতর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান) মেয়ে নিয়ে আসে কথা ছিল আসেন নাই। আমি ও আশরাফ চেয়ারম্যান ওসির কাছে জানতে চাই তাহলে মেয়ে উদ্ধার হবেনা বা মামলা এন্ট্রি হবেনা। তখন ওসি আবার দমক দিয়ে বলে জান দেখি কি করা যায়। আমার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান থাকার পরও ওসি দমক দিয়ে কথা বলায় দুজন সাংবাদিকের সহযোগিতা চেয়ে তাদের খরচ দেই। সে সাংবাদিক দুজনে টাকা নিয়ে তারাও ওসি আর আফতাব চেয়ারম্যানের পক্ষে কথা বলেন। এছাড়া অপহরণের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত উদ্ধার করেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে অপহৃত পরিবার দ্রুত মামলা এন্ট্রিসহ অপহারণের সাথে জড়িত গ্রেপ্তার করে দেন অপহৃতকে উদ্ধার দাবি জানান।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমুর রহমান কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন,এখনো মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি।অপহারিতা মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল, অফিস, রংপুর) বলেন,আপনারা বাস্তবতা তুলে ধরে রিপোর্ট করেন । কোন অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।