রংপুরের কাউনিয়ায় পাকা সড়কে বাঁশের সাঁকো : যান চলাচলে দূর্ভোগ
- আপডেট সময় : ০২:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
সেলিম চৌধুরী, জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:-
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের আরাজি খোর্দ্দভুতছাড়া শান্তবাজার থেকে আরাজি হরিশ্বর মৌলভীবাজার সড়কের বাঁধের রাস্তা সংলগ্ন পাকা সড়কের ওপর বাশেঁর সাঁকো দিয়ে চলছে ৬ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানাগেছে গত প্রায় তিন বছর আগে বন্যায় পাকা সড়কের এই স্থানটিতে পানি তোরে ভাঙ্গে যায়, তখন বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় রাস্তার নিচে সিমেন্টের পাইপ দিয়ে সড়কটি সংস্কার ও মেরামত করে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে। এরপর গত বন্যায় রাস্তাটি আবারও ভেঙ্গে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো তৈরী করে কোনমতে যোগাযোগ সাভাবিক করে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যার পরপরই বলা হয়েছিল এখানে একটি পাকা সেতু নির্মান করা হবে। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে আজও সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ফলে কৃষি প্রধান গ্রাম গুলোর মানুষ তাদের উৎপাদিত পন্য তকিপল হাটে নিয়ে যেতে চরম বিরম্বনায় পরতে হচ্ছে। স্থানীয় বাহাদুর জানান, পাকা সড়কে পাকা সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকোতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ এলাকায় স্কুুল, কলেজ, মাদরাসা ও স্থানীয় লোকজনের যাতায়াতের জন্যে বর্তমানে বাশেঁ সাকোঁই ভরসা। এই রাস্তা দিয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর থেকে শুরু করে ৬টি গ্রামের মানুষ যাতায়ত করে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে রিক্সা ভ্যান চলাচল করলেও ভারি যানাবাহন চলাচল করতে পাচ্ছে না। ফলে কৃষক তাদের উৎপাদিত পন্যার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। বিগত ৪বছর ধরে অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার কাজ বা পাকা সেতু নির্মান না করায় এটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীসহ লোকজন যাতায়াতের জন্য বাশেঁর সাকোঁই ব্যবহার করচ্ছেন। পাকা সেতু নির্মানের আশ্বাস ইউএনও সাহেব দিলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি। স্থানীয় নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই। ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, এলাকার বামনডাঙ্গা দোলার প্রায় ১০০ একর জমির পানি বের হওয়ার জন্য সেতু নির্মান খুবই জরুরী। অতিগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে পাকা সেতু নির্মানের জন্য মাসিক সমন্বয় মিটিংএ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছি, আশা করছি খুব দ্রুত সেতু নির্মান হবে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, গুরুত্বপূর্ন সড়কটিতে পাকা সেতু নির্মানের টেন্ডার প্রক্রিয়া ইজিপিতে আছে, আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ হবে। এলাকাবাসী পাকা সড়কে পাকা সেতু নির্মানের দাবী জানিয়েছেন।