যৌতুকের জন্য গৃহবধূর দুই হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলায়, গুরুতর অসুস্থ – রমেকে ভর্তি

- আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি,রংপুর:-
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভেলাজান এলাকায় এক গৃহবধূর উপর নির্মম নির্যাতন ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ মোছাঃ এলিজা আক্তার বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন—স্বামী মোঃ বায়েজিদ মিয়া বাপ্পি, শ্বশুর মোঃ হোসেন আলী, শাশুড়ি মোছাঃ বিলকিছ বেগম, দেবর মোঃ হাছনাত হোসেন বাদন, মোঃ মাবির হোসেন বিচ্ছু ও আরো ১-৩ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
ভুক্তভোগীর ভাই মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত এজাহারে অভিযোগ করেন, তার বোনের সাথে পারিবারিকভাবে ২০১১ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পিতা-মাতা যৌতুক হিসেবে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মেয়ের সুখের কথা ভেবে দিতে বাধ্য হন। এরপর থেকে আসামিরা বিভিন্ন সময় আরও তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
গত ২২ জুন সকালে, পুনরায় এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তার ডান হাতের কনিষ্ঠা ও বাম হাতের দুইটি আঙুল কেটে ফেলা হয়। শাশুড়ি ধারালো দা দিয়ে তার চোখে আঘাত করে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেন।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় রংপুর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ১১(ক)/৩১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ ব্যাপারে রংপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ – মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।