ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন কুঁড়ি ও মার্কস অলরাউন্ডার কৃতিত্বে ফেনীর দুই শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া কালী মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা রাজাপুরে ধানের শীষের পক্ষে গোলাম আজম সৈকতের গণসংযোগ শার্শায় সাংবাদিক মনি’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কাউখালি বেকুটিয়ায় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ইং পালিত শাল্লায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম’র উপজেলা শাখায় কমিটি গঠন করা হয় বিশ্ব নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গ্রীন ভয়েসের মানববন্ধন কুলিয়া চরবালিথা মুনষ্টার তরুণ সংঘের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা উজিরপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার: ধর্মীয় সম্প্রীতি ভাঙা ও কুকীর্তির গল্প শ্যামনগরে বিশ্ব নদী দিবসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

যে কারণে আশুরায় তওবা গুরুত্বপূর্ণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

মুহাররম চান্দ্রবছরের প্রথম মাস। সম্মানিত চার মাসের তৃতীয় মাস। হাদিসে এ মাসের অনেক ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা ও তাওবা ইস্তেগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে-

أَفْضَلُ الصِّيَامِ، بَعْدَ رَمَضَانَ، شَهْرُ اللهِ الْمُحَرّمُ، وَأَفْضَلُ الصَلَاةِ، بَعْدَ الْفَرِيضَةِ، صَلَاةُ اللَّيْلِ
অর্থাৎ, রমজানের পর সবথেকে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাসের রোজা, যে মাসকে তোমরা মুহাররম নামে চেন। আর ফরজ নামাজের পর সবথেকে উত্তম নামাজ হল রাতের নামাজ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)

মুহাররমের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফজিলত হলো, এর সঙ্গে তওবা কবুলের ইতিহাস যুক্ত। মুসনাদে আহমাদ ও জামে তিরমিজিতে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে- এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞেস করল,

আল্লাহর রাসূল! রমজানের পর আপনি আমাকে কোন মাসে রোজা রাখার নির্দেশ দেন? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

তুমি যদি রমজানের পর আরও কোনো মাসে রোজা রাখতে চাও তাহলে মুহাররমে রোজা রাখ। কেননা সেটি আল্লাহর মাস। সেই মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ তায়ালা অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও সেদিন আরও মানুষের তাওবা কবুল করবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৫১)

এই হাদিসে যেই দিনের দিকে ইশারা করা হয়েছে খুব সম্ভব সেটি আশুরার দিন। তবে বান্দার উচিত বছরের সব দিনেই তওবা ইস্তেগফারের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। বিশেষ করে এই মাসের প্রতিটি দিনেই তওবা ইস্তেগফারের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আর আশুরার দিন অনেক বেশি ইস্তেগফার করা।

ইস্তেগফারের জন্য সবথেকে উত্তম হলো কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত ইস্তেগফার বিষয়ক দোয়াগুলো বুঝে বুঝে মুখস্থ করা। সেই দোয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। তবে ইস্তেগফারের মধ্যে সব থেকে ছোট হলো “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলে যিকির করা।আবার কেউ নিজ ভাষায়ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। কারণ আল্লাহ সকল ভাষারই স্রষ্টা। তিনি সবার কথা বুঝেন। সবার আরজি কবুল করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যে কারণে আশুরায় তওবা গুরুত্বপূর্ণ

আপডেট সময় : ০৭:০০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

মুহাররম চান্দ্রবছরের প্রথম মাস। সম্মানিত চার মাসের তৃতীয় মাস। হাদিসে এ মাসের অনেক ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা ও তাওবা ইস্তেগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে-

أَفْضَلُ الصِّيَامِ، بَعْدَ رَمَضَانَ، شَهْرُ اللهِ الْمُحَرّمُ، وَأَفْضَلُ الصَلَاةِ، بَعْدَ الْفَرِيضَةِ، صَلَاةُ اللَّيْلِ
অর্থাৎ, রমজানের পর সবথেকে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাসের রোজা, যে মাসকে তোমরা মুহাররম নামে চেন। আর ফরজ নামাজের পর সবথেকে উত্তম নামাজ হল রাতের নামাজ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)

মুহাররমের গুরুত্বপূর্ণ একটি ফজিলত হলো, এর সঙ্গে তওবা কবুলের ইতিহাস যুক্ত। মুসনাদে আহমাদ ও জামে তিরমিজিতে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে- এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিজ্ঞেস করল,

আল্লাহর রাসূল! রমজানের পর আপনি আমাকে কোন মাসে রোজা রাখার নির্দেশ দেন? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

তুমি যদি রমজানের পর আরও কোনো মাসে রোজা রাখতে চাও তাহলে মুহাররমে রোজা রাখ। কেননা সেটি আল্লাহর মাস। সেই মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ তায়ালা অনেকের তওবা কবুল করেছেন। ভবিষ্যতেও সেদিন আরও মানুষের তাওবা কবুল করবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৫১)

এই হাদিসে যেই দিনের দিকে ইশারা করা হয়েছে খুব সম্ভব সেটি আশুরার দিন। তবে বান্দার উচিত বছরের সব দিনেই তওবা ইস্তেগফারের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। বিশেষ করে এই মাসের প্রতিটি দিনেই তওবা ইস্তেগফারের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া। আর আশুরার দিন অনেক বেশি ইস্তেগফার করা।

ইস্তেগফারের জন্য সবথেকে উত্তম হলো কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত ইস্তেগফার বিষয়ক দোয়াগুলো বুঝে বুঝে মুখস্থ করা। সেই দোয়াগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। তবে ইস্তেগফারের মধ্যে সব থেকে ছোট হলো “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলে যিকির করা।আবার কেউ নিজ ভাষায়ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। কারণ আল্লাহ সকল ভাষারই স্রষ্টা। তিনি সবার কথা বুঝেন। সবার আরজি কবুল করেন।