ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন পালন গোমদন্ডী দরবারে জিকরে মোস্তফা সম্মেলন সোমবার জামালপুর মাদারগঞ্জে তারতাপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী গৌ- মইদৌড় খেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা আশুলিয়ায় হিজড়া সম্প্রদায়ের মানববন্ধন, বাৎসরিক ওরশ শরীফে বাঁধা ও চাঁদার দাবি বিবেকানন্দ ষ্টাডি এন্ড ফিলানফ্রপিক সেন্টার অব নিউইয়র্ক উদ্যোগ কম্বল বিতরণ যশোরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উদযাপন নীলফামারীতে আন্তঃজেলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকীতে বাকৃবিতে নিম গাছ রোপণ সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস ঢাকা সাভারে পুলিশের অভিযানে সোয়া ২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

যশোর মণিরামপুরে মাটি খুড়তেই বেরিয়ে এলো প্রাচীন স্থাপনা

মোঃ রায়হান সুলতান - সম্পাদক ও প্রকাশক
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২২৭ বার পড়া হয়েছে

 

যশোরের মণিরামপুরের উপজেলার ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়নের দোনাহার গ্রামের ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ চলমান রয়েছে । জানা যায়। এই দম দমের পাসে। ছোট বাচ্চা দের শিক্ষা দানের জন্য সরকারী থেকে বরাদ্দ দেওয়া মক্তব তৈরি করার সময় পাসে থাকা উঁচু মাটির ঢিবি থেকে মাটি খুঁড়তেই দেখা মিলে প্রাচীন কালের ছোট কক্ষ । পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা বিষয়টা আমলে নিয়ে উঁচু ঢিবি টি খুড়ার আদেশ প্রদান। করেন।পরে যতই খোঁড়া হয় ততোই ছোট ছোট ছাদ বিহীন কক্ষের দেখা মিলতে থাকে। এ সময় ওইখানে সার্বিক দায়িত্ব রত থাকা। মোঃ মুজিবুর রহমান ৫৫ । জানান। এইখানে উঁচু ঢিবির পর দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করলে ঢপ ঢপ শব্দ হয় তারপর থেকে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে দম দম পীরের ঢিবি। কখনো কোনদিন এইখানে কোন পীর ছিল কিনা সেটা মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আমার বাপ দাদার কাছ থেকেও কোনদিন শুনেনি এখানে কোন পীর ছিল। তবে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে বলেন ।দমদম পীরের ঢিবি
সভ্যতাটি প্রায় ১৮শ বছর আগের প্রাচীন। ২০০৪থেকে ২০০৫ সালে সরকারি ভাবে প্রথম খনন করা হয় এই ঢিবি কে। মনন কালোদা বিহীন ৮ টি পর্নাক বাবিষ্কৃত হয়। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট কক্ষ পাওয়া যায় ১৮টি। তবে এ ধরণের এটি বাদে আরো দুই টির সন্ধান পাওয়া যায়। সেটা হলো। উপজেলার খেদাপাড়া অঞ্চলের ধনপোতা ঢিবি । ও কেশবপুর থানাধীন। ভরতভায়না। গ্রামে অপর একটি। এগুলাতে খননকাজের সময় পাওয়া। গেছে মৃৎপাত্র, পাথরের টুকরা, বাটি, জ্বালানো প্রদীপ, পশুর হাড় ও লোহার পেরেক সহ ছোট ছোট আরও অনেক কিছু। এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের দল বলছে, দোনার ঢিবিতে পাওয়া ইটের সঙ্গে কেশবপুরের ভরতভায়নার ভরতের দেউল এবং মণিরামপুরের ধনপোতা এলাকার ঢিবির ইটের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

যশোর মণিরামপুরে মাটি খুড়তেই বেরিয়ে এলো প্রাচীন স্থাপনা

আপডেট সময় : ০২:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

যশোরের মণিরামপুরের উপজেলার ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়নের দোনাহার গ্রামের ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ চলমান রয়েছে । জানা যায়। এই দম দমের পাসে। ছোট বাচ্চা দের শিক্ষা দানের জন্য সরকারী থেকে বরাদ্দ দেওয়া মক্তব তৈরি করার সময় পাসে থাকা উঁচু মাটির ঢিবি থেকে মাটি খুঁড়তেই দেখা মিলে প্রাচীন কালের ছোট কক্ষ । পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা বিষয়টা আমলে নিয়ে উঁচু ঢিবি টি খুড়ার আদেশ প্রদান। করেন।পরে যতই খোঁড়া হয় ততোই ছোট ছোট ছাদ বিহীন কক্ষের দেখা মিলতে থাকে। এ সময় ওইখানে সার্বিক দায়িত্ব রত থাকা। মোঃ মুজিবুর রহমান ৫৫ । জানান। এইখানে উঁচু ঢিবির পর দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করলে ঢপ ঢপ শব্দ হয় তারপর থেকে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে দম দম পীরের ঢিবি। কখনো কোনদিন এইখানে কোন পীর ছিল কিনা সেটা মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আমার বাপ দাদার কাছ থেকেও কোনদিন শুনেনি এখানে কোন পীর ছিল। তবে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে বলেন ।দমদম পীরের ঢিবি
সভ্যতাটি প্রায় ১৮শ বছর আগের প্রাচীন। ২০০৪থেকে ২০০৫ সালে সরকারি ভাবে প্রথম খনন করা হয় এই ঢিবি কে। মনন কালোদা বিহীন ৮ টি পর্নাক বাবিষ্কৃত হয়। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট কক্ষ পাওয়া যায় ১৮টি। তবে এ ধরণের এটি বাদে আরো দুই টির সন্ধান পাওয়া যায়। সেটা হলো। উপজেলার খেদাপাড়া অঞ্চলের ধনপোতা ঢিবি । ও কেশবপুর থানাধীন। ভরতভায়না। গ্রামে অপর একটি। এগুলাতে খননকাজের সময় পাওয়া। গেছে মৃৎপাত্র, পাথরের টুকরা, বাটি, জ্বালানো প্রদীপ, পশুর হাড় ও লোহার পেরেক সহ ছোট ছোট আরও অনেক কিছু। এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের দল বলছে, দোনার ঢিবিতে পাওয়া ইটের সঙ্গে কেশবপুরের ভরতভায়নার ভরতের দেউল এবং মণিরামপুরের ধনপোতা এলাকার ঢিবির ইটের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান তারা।