ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় শিক্ষকের ওপর হামলায় আসামি নুর আলম গ্রেপ্তার নাঙ্গলমোড়া উচ্চ বিদ্যালয়”র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মা দিবস ও অভিভাবক সমাবেশ পটিয়ায় দক্ষিণ জেলা তরুণ দলের পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জীবননগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে যুবলীগ নেতা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার জীবননগর সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ১৪ জন রহমতের আলম হজ্ব কাফেলার হজ্ব প্রশিক্ষণ-২৫ অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: ইতিহাসের মোড় ঘোরানো এক অধ্যায় শার্শা ১ বাগুড়ি বেলতলা আম বাজার কে কেন্দ্র করে সাংবাদিক আসাদ কে- বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত শ্রী শ্রী মা মগধেশ্বরী জাগ্রত মন্দিরের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব সম্পন্ন

যশোর মণিরামপুরে মাটি খুড়তেই বেরিয়ে এলো প্রাচীন স্থাপনা

মোঃ রায়হান সুলতান - সম্পাদক ও প্রকাশক
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৮৫ বার পড়া হয়েছে

 

যশোরের মণিরামপুরের উপজেলার ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়নের দোনাহার গ্রামের ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ চলমান রয়েছে । জানা যায়। এই দম দমের পাসে। ছোট বাচ্চা দের শিক্ষা দানের জন্য সরকারী থেকে বরাদ্দ দেওয়া মক্তব তৈরি করার সময় পাসে থাকা উঁচু মাটির ঢিবি থেকে মাটি খুঁড়তেই দেখা মিলে প্রাচীন কালের ছোট কক্ষ । পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা বিষয়টা আমলে নিয়ে উঁচু ঢিবি টি খুড়ার আদেশ প্রদান। করেন।পরে যতই খোঁড়া হয় ততোই ছোট ছোট ছাদ বিহীন কক্ষের দেখা মিলতে থাকে। এ সময় ওইখানে সার্বিক দায়িত্ব রত থাকা। মোঃ মুজিবুর রহমান ৫৫ । জানান। এইখানে উঁচু ঢিবির পর দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করলে ঢপ ঢপ শব্দ হয় তারপর থেকে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে দম দম পীরের ঢিবি। কখনো কোনদিন এইখানে কোন পীর ছিল কিনা সেটা মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আমার বাপ দাদার কাছ থেকেও কোনদিন শুনেনি এখানে কোন পীর ছিল। তবে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে বলেন ।দমদম পীরের ঢিবি
সভ্যতাটি প্রায় ১৮শ বছর আগের প্রাচীন। ২০০৪থেকে ২০০৫ সালে সরকারি ভাবে প্রথম খনন করা হয় এই ঢিবি কে। মনন কালোদা বিহীন ৮ টি পর্নাক বাবিষ্কৃত হয়। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট কক্ষ পাওয়া যায় ১৮টি। তবে এ ধরণের এটি বাদে আরো দুই টির সন্ধান পাওয়া যায়। সেটা হলো। উপজেলার খেদাপাড়া অঞ্চলের ধনপোতা ঢিবি । ও কেশবপুর থানাধীন। ভরতভায়না। গ্রামে অপর একটি। এগুলাতে খননকাজের সময় পাওয়া। গেছে মৃৎপাত্র, পাথরের টুকরা, বাটি, জ্বালানো প্রদীপ, পশুর হাড় ও লোহার পেরেক সহ ছোট ছোট আরও অনেক কিছু। এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের দল বলছে, দোনার ঢিবিতে পাওয়া ইটের সঙ্গে কেশবপুরের ভরতভায়নার ভরতের দেউল এবং মণিরামপুরের ধনপোতা এলাকার ঢিবির ইটের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যশোর মণিরামপুরে মাটি খুড়তেই বেরিয়ে এলো প্রাচীন স্থাপনা

আপডেট সময় : ০২:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

যশোরের মণিরামপুরের উপজেলার ৩ নং ভোজগাতী ইউনিয়নের দোনাহার গ্রামের ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ চলমান রয়েছে । জানা যায়। এই দম দমের পাসে। ছোট বাচ্চা দের শিক্ষা দানের জন্য সরকারী থেকে বরাদ্দ দেওয়া মক্তব তৈরি করার সময় পাসে থাকা উঁচু মাটির ঢিবি থেকে মাটি খুঁড়তেই দেখা মিলে প্রাচীন কালের ছোট কক্ষ । পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা বিষয়টা আমলে নিয়ে উঁচু ঢিবি টি খুড়ার আদেশ প্রদান। করেন।পরে যতই খোঁড়া হয় ততোই ছোট ছোট ছাদ বিহীন কক্ষের দেখা মিলতে থাকে। এ সময় ওইখানে সার্বিক দায়িত্ব রত থাকা। মোঃ মুজিবুর রহমান ৫৫ । জানান। এইখানে উঁচু ঢিবির পর দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করলে ঢপ ঢপ শব্দ হয় তারপর থেকে এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে দম দম পীরের ঢিবি। কখনো কোনদিন এইখানে কোন পীর ছিল কিনা সেটা মুজিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আমার বাপ দাদার কাছ থেকেও কোনদিন শুনেনি এখানে কোন পীর ছিল। তবে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে বলেন ।দমদম পীরের ঢিবি
সভ্যতাটি প্রায় ১৮শ বছর আগের প্রাচীন। ২০০৪থেকে ২০০৫ সালে সরকারি ভাবে প্রথম খনন করা হয় এই ঢিবি কে। মনন কালোদা বিহীন ৮ টি পর্নাক বাবিষ্কৃত হয়। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট কক্ষ পাওয়া যায় ১৮টি। তবে এ ধরণের এটি বাদে আরো দুই টির সন্ধান পাওয়া যায়। সেটা হলো। উপজেলার খেদাপাড়া অঞ্চলের ধনপোতা ঢিবি । ও কেশবপুর থানাধীন। ভরতভায়না। গ্রামে অপর একটি। এগুলাতে খননকাজের সময় পাওয়া। গেছে মৃৎপাত্র, পাথরের টুকরা, বাটি, জ্বালানো প্রদীপ, পশুর হাড় ও লোহার পেরেক সহ ছোট ছোট আরও অনেক কিছু। এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের দল বলছে, দোনার ঢিবিতে পাওয়া ইটের সঙ্গে কেশবপুরের ভরতভায়নার ভরতের দেউল এবং মণিরামপুরের ধনপোতা এলাকার ঢিবির ইটের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান তারা।