ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অন্ধকারে আলোর পথ দেখালেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নেই সোলার লাইট স্থাপন এস আলমের ২০০ একর জমি ক্রোকের আদেশ দিনাজপুরে সংগঠিত হয়ে গেল রংপুর বিভাগীয় কমিটির কর্মীসভা মনিরামপুরে বিএনপির ঐতিহাসিক ঐক্য: একক প্রার্থীর পক্ষে একতাবদ্ধ নেতা-কর্মীরা নেকমরদ সরকারি কলেজের প্রাচীর ঘেঁষে ঘর নির্মাণ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি’র অভিযানে মাদক ও অস্ত্র সহ ৪ জন গ্ৰেফতার শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ০২ জন জলদস্যু গ্রেফতার চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু, আক্রান্ত বাড়ছে ধীরে ধীরে রংপুর জেলার গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় খেজুর বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিষপানে গৃহবধূর মৃত্যু

যশোরে ১২৮৯ প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ৬০৩ জনই ভারপ্রাপ্ত

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪ ১৫১ বার পড়া হয়েছে

যশোরে ১২৮৯ প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ৬০৩ জনই ভারপ্রাপ্ত
মো:আরিফুল ইসলাম
যশোর জেলা প্রতিনিধি।
যশোরে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমছে। অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা করা যাচ্ছে না শৃঙ্খলাও। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা মানছেন না সহকারীরা। এই অবস্থা এক হাজার ২৮৯ স্কুলের মধ্যে ৬০৩ টিতেই। এসব স্কুলে পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক নেই। চলছে চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে।
এসব স্কুলের কর্মরত শিক্ষকরা নির্দেশনা মানবেনই বা কেন! সবাইতো সহকারী শিক্ষক। কেবল যোগদানের জ্যেষ্ঠতার কারণে চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। এসব চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেশিরভাগই স্কুল চালাতে ‘অযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন খোদ শিক্ষকরাই।
বেশ কয়েকজন প্রধান ও সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যারা চলতি দায়িত্ব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের বেশিরভাগ কাজের প্রতি আন্তরিক না। তাদের একটাই চিন্তা-পুর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক আসলে তাদেরতো চেয়ার ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে খামাখা কেন বেশি কাজ করতে যাবেন! ফলে, সহকারী শিক্ষকরা ইচ্ছেমতো চলাফেরা করেন। আবার সহকারী শিক্ষকদের কোনোকিছু বলতে গেলে অনেকেই তা আমলে নিতে চান না। তাদের মানসিকতা, সবাইতো সহকারী শিক্ষক! তাহলে কেন চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্তের কথায় তারা চলতে যাবেন।
আবার অনেক ক্ষেত্রে চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েই অনেকেই সহকারী শিক্ষকদের উপর ইচ্ছেমতো ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করেন। আর তখনই বাধে বিপত্তি। অনেক সহকারী শিক্ষক এই ছড়ি ঘোরানো পছন্দ করেন না। তারা প্রধান শিক্ষকের চেয়ে নিজেকে কম যোগ্য মনে করেন না। এসব কারণে জেলার অর্ধেকের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান দিনদিন নিম্নমুখি হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ পুর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া। আর পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রশাসনিক কারণে দেরি হলে চলতি দায়িত্ব এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের অদলবদল করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যশোরের আট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের মোট পদ রয়েছে এক হাজার ২৮৯ টি। এরমধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৬৮৬ জন। চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক ৩৩২ জন। এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ২৭১ জন। এরমধ্যে অধিকাংশ নারী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যশোরে ১২৮৯ প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ৬০৩ জনই ভারপ্রাপ্ত

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

যশোরে ১২৮৯ প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ৬০৩ জনই ভারপ্রাপ্ত
মো:আরিফুল ইসলাম
যশোর জেলা প্রতিনিধি।
যশোরে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমছে। অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা করা যাচ্ছে না শৃঙ্খলাও। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা মানছেন না সহকারীরা। এই অবস্থা এক হাজার ২৮৯ স্কুলের মধ্যে ৬০৩ টিতেই। এসব স্কুলে পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক নেই। চলছে চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে।
এসব স্কুলের কর্মরত শিক্ষকরা নির্দেশনা মানবেনই বা কেন! সবাইতো সহকারী শিক্ষক। কেবল যোগদানের জ্যেষ্ঠতার কারণে চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। এসব চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেশিরভাগই স্কুল চালাতে ‘অযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন খোদ শিক্ষকরাই।
বেশ কয়েকজন প্রধান ও সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যারা চলতি দায়িত্ব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের বেশিরভাগ কাজের প্রতি আন্তরিক না। তাদের একটাই চিন্তা-পুর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক আসলে তাদেরতো চেয়ার ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে খামাখা কেন বেশি কাজ করতে যাবেন! ফলে, সহকারী শিক্ষকরা ইচ্ছেমতো চলাফেরা করেন। আবার সহকারী শিক্ষকদের কোনোকিছু বলতে গেলে অনেকেই তা আমলে নিতে চান না। তাদের মানসিকতা, সবাইতো সহকারী শিক্ষক! তাহলে কেন চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্তের কথায় তারা চলতে যাবেন।
আবার অনেক ক্ষেত্রে চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েই অনেকেই সহকারী শিক্ষকদের উপর ইচ্ছেমতো ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করেন। আর তখনই বাধে বিপত্তি। অনেক সহকারী শিক্ষক এই ছড়ি ঘোরানো পছন্দ করেন না। তারা প্রধান শিক্ষকের চেয়ে নিজেকে কম যোগ্য মনে করেন না। এসব কারণে জেলার অর্ধেকের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান দিনদিন নিম্নমুখি হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ পুর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া। আর পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রশাসনিক কারণে দেরি হলে চলতি দায়িত্ব এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের অদলবদল করার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যশোরের আট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের মোট পদ রয়েছে এক হাজার ২৮৯ টি। এরমধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৬৮৬ জন। চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক ৩৩২ জন। এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ২৭১ জন। এরমধ্যে অধিকাংশ নারী।