ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই সনদ নিয়ে সমঝোতায় আসতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা সূফীকথা’র ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ রাণীশংকৈলে নারী ও কন্যাশিশুদের মানবাধিকার রক্ষার্থে গণ শুনানি শ্যামনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনি খাতুনের বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন আগৈলঝাড়ায় ৭শ পিচ ইয়াবা ও ১ কেজি ৮শ গ্রাম গাঁজা ব্যবসায়ীসহ ৩ জন আটক বরিশালের গৌরনদীতে ৮ মাসে কোরআনে হাফেজ ১০ বছরের শিশু আবদুল্লাহ দুমকি প্রেসক্লাব পরিবর্তনের অঙ্গীকারে-নতুন কমিটি গঠন দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের ছুটি যশোরে জাল ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ইউপি প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরে ড্রোন প্রযুক্তি মাদকবিরোধী অভিযানে এএসআই শহীদুলের নতুন ধারা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুরঃ যশোরের মনিরামপুর থানায় মাদকবিরোধী অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শহীদুল ইসলাম। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে এসে তিনি প্রথমবারের মতো ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরতে শুরু করেছেন। তার এই উদ্যোগে ইতিমধ্যেই এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক সাড়া।

ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তার এলাকাকে মাদকমুক্ত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অপরাধীর পরিচয় নয়, অপরাধই তার কাছে মুখ্য—এই মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন নিরলসভাবে।

এএসআই শহীদুল ইসলাম বলেন,
আমি যতদিন ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি ততদিন কোনো মাদক ব্যবসায়ী বা অপরাধীর ঠাঁই হবে না। প্রয়োজন হলে আরও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করবো। ঢাকুরিয়ায় অপরাধ করতে চাইলে তার আগে আমাকে পার হতে হবে।

ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে তিনি ঢাকুরিয়া এলাকার বিভিন্ন সন্দেহভাজন স্থানে নজরদারি করছেন। অজানা গলিপথ, ফাঁকা মাঠ, বাগান ও জনবিরল স্থানে মাদক সেবন ও বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করছেন সরাসরি আকাশপথে। এই প্রযুক্তিগত তৎপরতার ফলে মাদক সেবন ও বিক্রির মতো অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা এখন আতঙ্কে আছে।

তিনি মনিরামপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই একের পর এক মাদকবিরোধী অভিযানে সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক মাদক কারবারি ধরা পড়েছে এবং একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে। তার নেতৃত্বে ঢাকুরিয়ায় মাদক নির্মূলে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।

সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় সমাজকর্মীরা বলছেন, শহীদুল ইসলামের মতো অফিসারদের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হচ্ছে, তেমনি সমাজেও ফিরছে স্বস্তি। একজন অফিসার যখন সাহস, নিষ্ঠা ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মাঠে নামেন—তখন সমাজ সত্যিকার অর্থেই লাভবান হয়।
ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন
আগে মাদক নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কেউ সাহস করে আর মাদক নিয়ে ঘোরেনা। শহীদুল স্যারের মতো অফিসার থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটা নিরাপদ সমাজ পাবে।

এএসআই শহীদুল ইসলামের এই কর্মকাণ্ড এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে। প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

যশোরে ড্রোন প্রযুক্তি মাদকবিরোধী অভিযানে এএসআই শহীদুলের নতুন ধারা

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এমদাদুল হক ক্রাইম রিপোর্টার মনিরামপুরঃ যশোরের মনিরামপুর থানায় মাদকবিরোধী অভিযানে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শহীদুল ইসলাম। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে এসে তিনি প্রথমবারের মতো ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরতে শুরু করেছেন। তার এই উদ্যোগে ইতিমধ্যেই এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক সাড়া।

ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তার এলাকাকে মাদকমুক্ত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অপরাধীর পরিচয় নয়, অপরাধই তার কাছে মুখ্য—এই মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন নিরলসভাবে।

এএসআই শহীদুল ইসলাম বলেন,
আমি যতদিন ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি ততদিন কোনো মাদক ব্যবসায়ী বা অপরাধীর ঠাঁই হবে না। প্রয়োজন হলে আরও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ নির্মূল করবো। ঢাকুরিয়ায় অপরাধ করতে চাইলে তার আগে আমাকে পার হতে হবে।

ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে তিনি ঢাকুরিয়া এলাকার বিভিন্ন সন্দেহভাজন স্থানে নজরদারি করছেন। অজানা গলিপথ, ফাঁকা মাঠ, বাগান ও জনবিরল স্থানে মাদক সেবন ও বিক্রির তথ্য সংগ্রহ করছেন সরাসরি আকাশপথে। এই প্রযুক্তিগত তৎপরতার ফলে মাদক সেবন ও বিক্রির মতো অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা এখন আতঙ্কে আছে।

তিনি মনিরামপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই একের পর এক মাদকবিরোধী অভিযানে সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক মাদক কারবারি ধরা পড়েছে এবং একাধিক মামলাও দায়ের হয়েছে। তার নেতৃত্বে ঢাকুরিয়ায় মাদক নির্মূলে এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।

সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় সমাজকর্মীরা বলছেন, শহীদুল ইসলামের মতো অফিসারদের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হচ্ছে, তেমনি সমাজেও ফিরছে স্বস্তি। একজন অফিসার যখন সাহস, নিষ্ঠা ও প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মাঠে নামেন—তখন সমাজ সত্যিকার অর্থেই লাভবান হয়।
ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন
আগে মাদক নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কেউ সাহস করে আর মাদক নিয়ে ঘোরেনা। শহীদুল স্যারের মতো অফিসার থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটা নিরাপদ সমাজ পাবে।

এএসআই শহীদুল ইসলামের এই কর্মকাণ্ড এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে। প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।