ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঝালকাঠতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত ৯দিনের ছুটি শেষে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত পবিপ্রবি ক্যাম্পাস দেবহাটা বহেরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হেলাল উদ্দিন ও সাদিয়া অনৈতিক অবস্থায় জনগণের হাতে আটক স্বামীর লোভের কারনে আত্মহত্যার পথ বেচে নিল চট্টগ্রামের মেয়ে আবিদা তাসমিন আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ সরদার গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে জাল টাকা সহ আটক ১ রাউজানে শ্যামা সংঘের উদ্যোগে সর্বজনীন কালিপূজা ও ৪৩ তম বার্ষিক মহোৎসব রাণীশংকৈলে বিএনপি ও শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম রাণীশংকৈলে গলা টিপে হত্যা করতে না পেরে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা শ্যামনগরে বিএনপি নেতা সোলাইমান কবীরের বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

মুজিবনগরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের আলমগীর হোসেন আলম (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত ব্যক্তি তারানগর গ্রামের আগবত আলীর মেজ ছেলে।
সূত্র মারাফাতে জানা গেছে, মৃত আলমগীর হোসেন আলম তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ০৯ তারিখ শুক্রবার রাত অনুমানিক সাড়ে ৮ দিকে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিজ ঘরে এবং আলমগীর পাশের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে তার বড় মেয়ে শুকতারা খাতুন (১৮) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মৃতের স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৩৫ )এর সঙ্গে ঘরের বাইরে যেতে চাইলে তাদের রুমের ছিটকানী বাইরে থেকে আটকানো বুঝতে পেরে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা পিতাকর মৃতের বড় মেয়ে একাধিক বার জোরে জোরে ডাকতে থাকে।ডাকাডাকির এক পর্যায়ে সাড়া না পেয়ে মৃতের স্ত্রী বেদেনা খাতুন একই গ্রামে পূর্বপাড়ায় তার শশুর আগবত আলীকে ফোন দিয়ে তাদের রুমের দরজার বাইরে থেকে আলমগীরকে ডেকে সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি জানায়।তাৎক্ষনিকভাবে মৃতের বাবা ও মা আকলিমা খাতুন(৬২) ছেলে আলমগীরের বাড়িতে এসে ছেলের ঘরে গিয়ে ছেলে আলমগীরের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।অতঃপর তারা তাদের পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনী শুকতারা(১৮),ইকরামুল (১২)ও ইয়াসমিন(৭)দের রুমের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখে খুলে দেয়।শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশ হেফাজতে নেয় বর্তমানে লাশ মুজিবনগর থানায় হেফাজতে আছে।মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে লাশ হেফাজতে নেই। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাতনামা খুনি/খুনিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।তবে কি কারনে এই হত্যাকান্ড এখনি বলা যাচ্ছে না তদন্ত করার পরে জানা যাবে প্রকৃত কারন।লাশ ময়ন্তাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মুজিবনগরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০৫:০১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-
মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের আলমগীর হোসেন আলম (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত ব্যক্তি তারানগর গ্রামের আগবত আলীর মেজ ছেলে।
সূত্র মারাফাতে জানা গেছে, মৃত আলমগীর হোসেন আলম তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে ০৯ তারিখ শুক্রবার রাত অনুমানিক সাড়ে ৮ দিকে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিজ ঘরে এবং আলমগীর পাশের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে তার বড় মেয়ে শুকতারা খাতুন (১৮) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মৃতের স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৩৫ )এর সঙ্গে ঘরের বাইরে যেতে চাইলে তাদের রুমের ছিটকানী বাইরে থেকে আটকানো বুঝতে পেরে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা পিতাকর মৃতের বড় মেয়ে একাধিক বার জোরে জোরে ডাকতে থাকে।ডাকাডাকির এক পর্যায়ে সাড়া না পেয়ে মৃতের স্ত্রী বেদেনা খাতুন একই গ্রামে পূর্বপাড়ায় তার শশুর আগবত আলীকে ফোন দিয়ে তাদের রুমের দরজার বাইরে থেকে আলমগীরকে ডেকে সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি জানায়।তাৎক্ষনিকভাবে মৃতের বাবা ও মা আকলিমা খাতুন(৬২) ছেলে আলমগীরের বাড়িতে এসে ছেলের ঘরে গিয়ে ছেলে আলমগীরের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।অতঃপর তারা তাদের পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনী শুকতারা(১৮),ইকরামুল (১২)ও ইয়াসমিন(৭)দের রুমের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখে খুলে দেয়।শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশ হেফাজতে নেয় বর্তমানে লাশ মুজিবনগর থানায় হেফাজতে আছে।মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে গিয়ে লাশ হেফাজতে নেই। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাতনামা খুনি/খুনিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।তবে কি কারনে এই হত্যাকান্ড এখনি বলা যাচ্ছে না তদন্ত করার পরে জানা যাবে প্রকৃত কারন।লাশ ময়ন্তাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।