ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলার গ্রেফতার ২ শ্যামনগরে নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন রাণীশংকৈলে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দূর্গা পূজা পালন করা হবে সহকারী পুলিশ সুপার পুলিশ অপকর্ম অপরাধে জড়িয়েছেন -ডিসি মাসুদ রাউজান ডাবুয়ায় শ্রীশ্রী লোকনাথ বাবার আবির্ভাব দিবস উদযাপিত ফেনীর শহীদ মিনার হকার মাদক ব্যবসায়ী কিশোর গ্যাং এর দখলে দুর্নীতি ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত শ্যামনগর থানার কনস্টেবল সানি নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ বাণিজ্য: কালিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের বিকাশ নাম্বারে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ রাণীশংকৈলে বিএনপি ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

মুক্তি পেলেন মামুনুল হক

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি :

জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে

হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মামুনুল হকের ছেলে জিমামুল হক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আব্বু মুক্তি পেয়েছেন।

২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কয়েকটি দল বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়। ওই সময় ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সহিংস ঘটনায় আলোচিত ছিলেন মামুনুল হক। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

ওই ঘটনার পর পরই রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে নতুন করে বিতর্কে জড়ান মামুনুল হক। তুমুল বিতর্কের মধ্যেই ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক রিসোর্টে তিনি এক নারী সঙ্গীকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। সঙ্গে থাকা নারী সঙ্গীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেন। এর পর তাঁর অনুসারীরা হামলা করে মামুনুলকে সেখান থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়। ১৫ দিন পর পুলিশ মোহাম্মদপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। খেলাফত মজলিস ও মামুনুল হকের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ছিল। সবগুলোতে তিনি জামিনে ছিলেন। ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আরও ৩০টি মামলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মুক্তি পেলেন মামুনুল হক

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে

হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। মামুনুল হকের ছেলে জিমামুল হক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আব্বু মুক্তি পেয়েছেন।

২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক কয়েকটি দল বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয়। ওই সময় ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে সহিংস ঘটনায় আলোচিত ছিলেন মামুনুল হক। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

ওই ঘটনার পর পরই রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে নতুন করে বিতর্কে জড়ান মামুনুল হক। তুমুল বিতর্কের মধ্যেই ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক রিসোর্টে তিনি এক নারী সঙ্গীকে নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। সঙ্গে থাকা নারী সঙ্গীকে নিজের স্ত্রী দাবি করেন। এর পর তাঁর অনুসারীরা হামলা করে মামুনুলকে সেখান থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়। ১৫ দিন পর পুলিশ মোহাম্মদপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। খেলাফত মজলিস ও মামুনুল হকের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ছিল। সবগুলোতে তিনি জামিনে ছিলেন। ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আরও ৩০টি মামলা হয়।