ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নাঙ্গলমোড়া উচ্চ বিদ্যালয়”র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মা দিবস ও অভিভাবক সমাবেশ পটিয়ায় দক্ষিণ জেলা তরুণ দলের পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জীবননগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা গ্রেপ্তার রাণীশংকৈলে যুবলীগ নেতা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার জীবননগর সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক ১৪ জন রহমতের আলম হজ্ব কাফেলার হজ্ব প্রশিক্ষণ-২৫ অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: ইতিহাসের মোড় ঘোরানো এক অধ্যায় শার্শা ১ বাগুড়ি বেলতলা আম বাজার কে কেন্দ্র করে সাংবাদিক আসাদ কে- বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত শ্রী শ্রী মা মগধেশ্বরী জাগ্রত মন্দিরের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব সম্পন্ন রুপগঞ্জ শাখা মানবাধিকার অফিসের বর্তমান কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত – মোঃ রাশেদ মিয়াকে

মাদারীপুরে এতিম ভাতিজার ৫১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে জেল হাজতে চাচা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯২ বার পড়া হয়েছে

 

মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি

মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রণ ক্ষতিপূরণের ৫১ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে চাচা মোঃ হাবিবুর রহমান। বিষয়টি বুঝতে পেরে মাদারীপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন ভাতিজা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এই মামলায় মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ আসামি হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানাযায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০৬ নং মহিষেরচর মৌজায় এস এ ১৬৫১ নং খতিয়ানে ২৬২৩ ও ২৬২৪ দাগের রেকর্ডের মালিক আব্দুল মোতালেব পড়ে আব্দুল মোতালেব মারা গেলে এই সম্পত্তির মালিক হয় তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এছাড়া একই দাগে দুই দলিলে ১৮.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। পৈতৃক সম্পত্তি ও ক্রয় কিত জমি মিলে এই দুই দাগের মোট ৪৭.৫০ শতাংশ জমির মালিক হন মিজানুর রহমান। মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগর জন্য জমি অধিগ্রহণ করলে সেখানে মিজানুর রহমানের ওই দুই দাগের ২৮ শতাংশ জমির অধিগ্রহণ হয়।অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরনের টাকা কিভাবে তুলতে হবে বিষয়টি না জানায় চাচা হাবিবুর রহমানের সহযোগিতা ন্যায় এতিম ভাতিজা মিজানুর রহমান। আর এই সুযোগে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অধিগ্রণকৃত নিজের জমির সাথে মিজানুর রহমানের অধিগ্রণনকৃত জমির বিল একসাথে উঠানোর কথা বলে চাচা হাবিবুর রহমান। এতে মিজান রাজি হয়ে জমির টাকা উঠানের জন্য ক্ষমতা পত্র তার চাচার কাছে দেন। নিজের জমির সাথে ক্ষমতা পত্রের বলে ভাতিজার ৫১ লক্ষ টাকার বিল তুলেনেন চাচা হাবিবুর রহমান। ভাতিজাকে কোনো টাকা নাদিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন চাচা হাবিব। টাকার জন্য চাচার পিছনে দীর্ঘদিন ঘুরেও টাকা না পেয়ে মাদারীপুর চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ভাতিজা মিজানুর রহমান। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে গ্রেফতারের পরোয়ানর নির্দেশ জারি করেন। এরপর জেলা পুলিশ শনিবার ১৭ ই ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাবিবুর রহমান কে গ্রেফতার করে পরে আদালতে প্রেরণ করেন

মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস এম সালাউদ্দিন হোসেন বলেন এন আই অ্যাট একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা পেয়ে হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মাদারীপুরে এতিম ভাতিজার ৫১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে জেল হাজতে চাচা

আপডেট সময় : ০৩:৫০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি

মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রণ ক্ষতিপূরণের ৫১ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে চাচা মোঃ হাবিবুর রহমান। বিষয়টি বুঝতে পেরে মাদারীপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন ভাতিজা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এই মামলায় মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ আসামি হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানাযায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০৬ নং মহিষেরচর মৌজায় এস এ ১৬৫১ নং খতিয়ানে ২৬২৩ ও ২৬২৪ দাগের রেকর্ডের মালিক আব্দুল মোতালেব পড়ে আব্দুল মোতালেব মারা গেলে এই সম্পত্তির মালিক হয় তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এছাড়া একই দাগে দুই দলিলে ১৮.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। পৈতৃক সম্পত্তি ও ক্রয় কিত জমি মিলে এই দুই দাগের মোট ৪৭.৫০ শতাংশ জমির মালিক হন মিজানুর রহমান। মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগর জন্য জমি অধিগ্রহণ করলে সেখানে মিজানুর রহমানের ওই দুই দাগের ২৮ শতাংশ জমির অধিগ্রহণ হয়।অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরনের টাকা কিভাবে তুলতে হবে বিষয়টি না জানায় চাচা হাবিবুর রহমানের সহযোগিতা ন্যায় এতিম ভাতিজা মিজানুর রহমান। আর এই সুযোগে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অধিগ্রণকৃত নিজের জমির সাথে মিজানুর রহমানের অধিগ্রণনকৃত জমির বিল একসাথে উঠানোর কথা বলে চাচা হাবিবুর রহমান। এতে মিজান রাজি হয়ে জমির টাকা উঠানের জন্য ক্ষমতা পত্র তার চাচার কাছে দেন। নিজের জমির সাথে ক্ষমতা পত্রের বলে ভাতিজার ৫১ লক্ষ টাকার বিল তুলেনেন চাচা হাবিবুর রহমান। ভাতিজাকে কোনো টাকা নাদিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন চাচা হাবিব। টাকার জন্য চাচার পিছনে দীর্ঘদিন ঘুরেও টাকা না পেয়ে মাদারীপুর চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ভাতিজা মিজানুর রহমান। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে গ্রেফতারের পরোয়ানর নির্দেশ জারি করেন। এরপর জেলা পুলিশ শনিবার ১৭ ই ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাবিবুর রহমান কে গ্রেফতার করে পরে আদালতে প্রেরণ করেন

মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস এম সালাউদ্দিন হোসেন বলেন এন আই অ্যাট একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা পেয়ে হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।