মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবিকে অভিনন্দন জানিয়ে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৮:০১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: :ভোমরা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকাবাসী ও সুধীজনেরা বিজিবিকে অভিনন্দন জানিয়ে মানববন্ধন করেছে। সোমবার (৯ জুন) বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খাদিজা খাতুন, শীলা খাতুন, মেঘনা খাতুন, আরাফাত হোসেন, সামিরা, মিলন হোসেন, আলামিন হোসেন, আলতাফ হোসেন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন “পারিবারিক মাদক সিন্ডিকেটের হোতা আরশাদ আলী ওরফে ভৈদর ছেলে ফেন্সি শামীম মাদকসহ বিজিবির হাতে গ্রেফতার এবং এখন জেল হাজতে রয়েছে। পিতা ও সন্তানসহ পরিবারের নারী সদস্য সহ পারিবারিক মাদক সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে । ০৮ জুন রাতে বিজিবির বিশেষ আভিযানিক দল ‘ফেন্সি শামীম’ নামে পরিচিত কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়। ভোমরা সীমান্তে চিহ্নিত মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে জেলা শীর্ষ মাদক চোরাকারবারী ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আরশাদ আলী ওরফে ভৈদ। আরশাদ আলী ওরফে ভৈদর ছেলে শামীম (বিজিবি কর্তৃক ধৃত), দুই মেয়ে ও জামাই এরা সবাই পেশাদার মাদক চোরাকারবারী। এছাড়াও আরশাদ আলী ওরফে ভৈদ একাধীক মাদক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে পুলিশের ভয়ে গত ৮ বছর ভারতে পালিয়ে থাকার পর ৩ বছর আগে দেশে ফিরে আসে। আরশাদ আলী ওরফে ভৈদ ও তার ছেলে শামীম (বিজিবি কর্তৃক ধৃত), তার মেয়ে মোসাঃ আফরোজা পারভীন ওরফে লিপি খাতুন (৪১), পাপিয়া খাতুন এবং জামাই হালিম মাষ্টার পারিবারিক মাদক সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত রয়েছে এবং আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী শামীম এর পিতা মোঃ আরশাদ আলী ও বোনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে সাতক্ষীরা সদর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
তারা আরো বলেন, ফেন্সি শামীম’ নামে পরিচিত কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ীকে বিজিবি কর্তৃক আটকের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও সুধীজন উচ্ছাস প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও সুধীজন বিজিবির এরুপ সমাজ হিতৈসী কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে ৯ জুন ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় এবং সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সম্মুখে বিজিবিকে অভিনন্দন জানানোর জন্য জড়ো হয়। এ সময়ে উপস্থিত লোকজনের হাতে থাকা ব্যানারে বিজিবির এরুপ কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকার কথা লেখা প্রদর্শিত হয়। এরকম মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিজিবি সহ সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকলে সমাজে মাদকের কুফল অনেকাংশে কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করেন তারা।