মমতা ব্যানার্জীর দুর্গে এবার ফাটল ধরাতে পারবে মোদীর বিজেপি?

- আপডেট সময় : ০৩:৫৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক:
সন্দেশখালি, তৃণমূলের নেতা-সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত, বেকারত্ব, নেতাদের দল-বদল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়া, অনুপ্রবেশ পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সংঘাতের বিষয়ের অভাব নেই।
কিন্তু এমন অনেক মানুষ পাবেন, যারা আপনাকে বলবেন, যেকোনও লোকসভা আসনে প্রার্থী যিনিই হোন না কেন, এবারের নির্বাচন হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী বনাম মমতা ব্যানার্জী।
পশ্চিমবঙ্গ দিদির রাজ্য। যেদিকেই তাকাবেন, সবদিকেই তাকেই দেখতে পাবেন।
প্রায় ১৩ বছর আগে, ২০১১ সালে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বাম সরকারের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় পাওয়া মমতা ব্যানার্জী ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪টিতে জিতেছিলেন। তারপরে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে নিজের স্থান আরও শক্তপোক্ত করতে সমর্থ হন তিনি।
কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জিতে সবাইকে চমকে দিয়েছিল।
আর এবছরের নির্বাচনে এনডিএ-র ৪০০ গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে যে বিজেপি, তারা কি এবারও পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯-এর মতো জয় ছিনিয়ে আনতে পারবে? বিশেষ করে একটি জনমত সমীক্ষায় বিজেপি ২৫টি আসন পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আর অন্য একটি সমীক্ষা বলছে তারা ১৯টি আসন পেতে পারে। তৃতীয় একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে বিজেপি ২০টি আসনে জয়ী হতে পারে।
বিবিসির সঙ্গে কথোপকথনে নির্বাচন বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর বলেছেন যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ভাল ফল করতে পারে, অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস ৩০-৩৫টি আসন পাবে।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দলের টার্গেট ৩৫ বলে জানালেও সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেসের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মইদুল ইসলাম মনে করেন না যে “বিজেপি তার অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবে।“
‘ইন্ডিয়া’ জোট থেকে বেরিয়ে এসে ৪২টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ হল, যে সমালোচকদের এটা প্রমাণ করে দেখানো, যে তারা একাই প্রধানমন্ত্রী মি. মোদীকে আটকাতে পারে।
যদি দলটি তা করতে পারে, তা হলে দেশের বিরোধী নেতাদের মধ্যে মমতা ব্যানার্জীর মর্যাদা বাড়বে। তবে তা যদি না করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে নেতাদের দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন তৈরি হবে, তেমনই পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে। সন্দেশখালি, দুর্নীতি ও বেকারত্বের মতো বড় ইস্যু রয়েছে?
(সূত্র বিবিসি)