ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চট্টগ্রামে ‘উত্তম বাবুর্চি ক্যাটারিং সার্ভিস’ মানসম্মত খাবার পরিবেশের অঙ্গীকার ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সোনাগাজী টিমের প্রস্তুতি দেখতে মাঠে নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বিশেষ অভিযানে অবৈধ বেহুন্দী,চড়গড়া জাল জব্দ ও বিনষ্ট শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে অপহরণ মামলার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক ০৩ আসামী গ্রেফতার শ্যামনগরে বাগদা চিংড়িতে জেলি পুশের সময় আটক ১ ও জরিমানা আদায় রাউজানে আদ্যাপীঠ মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি সুনামগঞ্জের শাল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবিতে বিজয়-২৪ হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ছেলের চুরির অভিযোগের অপবাদে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫ সোনাগাজী মডেল থানায় ‘চুরি-ডাকাতি’ হয়, মামলা হয় না

মনিরামপুরে ফসলি জমি নষ্ট করে ঘের খনন, মাটি বিক্রি হচ্ছে ইট ভাটায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

যশোর মনিরামপুর উপজেলা ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা লংঘন করে এলাকায় চলছে ব্যাপক হারে মাটি বিক্রি। বহনকারী গাড়ি থেকে মাটি পড়ে নস্ট হচ্ছে প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে নস্ট হচ্ছে, ছোট ছোট সরু সড়ক গুলো। সিন্ডিকেটের কাছে এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি, ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকার
প্রভাবশালীরা নির্বিঘ্নে ফসলি উর্বর কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের নামে ব্যাপক হারে মাটি উত্তোলন করছে। ফলে এলাকার সাধারণ জমির মালিকেরা চরমভাবে হতাশ। ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার পর তা পরিবহনের জন্য পাকা ও কাঁচা সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটি বোঝাই যন্ত্রদানব ট্রাক্টর চলাচল করার কারণে রাস্তায় মাটি পড়ে হালকা বৃষ্টি নামলেই অন্যান্য যানবাহন গুলি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আর সড়কগুলো নষ্ট হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ মানুষ। অবৈধ্য ভাবে ফসলি জমির মাটি সাবাড় করলেও জোরালো কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে উপজেলা জুড়ে চলছে অবৈধ মাটি উত্তোলন।
এতে দিন দিন কমে আসছে আবাদি জমি। বিশেষ করে এক সময় কার তিন ফসলি জমি এখন দুই ফসলি তে নেমে আসলেও তার একটি ফসল পানি তে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বিরাজ করে কৃষকদের মাঝে। ফলে ঘের খনন করায় খাদ্য ফসল উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। মনিরামপুরে ধান চাষ খ্যাত একটি থানা। প্রতি বছরে দুইটি ধানের ফসল উৎপাদন হলেও এখন ঘের খনন করায় একটির আশা করে থাকেন কৃষকরা, অপর একটি ফসলের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন বলে জানা যায় । এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, প্রত্যেক দিন ৮০ থেকে ১০০ গাড়ি মাটি উত্তোলন করে সেই মাটি ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে নেওয়া হচ্ছে আশেপাশের বিভিন্ন ভাটায়। মাটি কাটার কারণে আমাদের ফসলি জমিগুলো বিনষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া মাটি বহনের সময় যে পরিমান ধুলো উড়ছে তাতে করে রাস্তাতে চলাচল করা খুবই মুশকিল হয়ে পড়ছে। রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ধুলোতে যেমন নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ আবার ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।
তারা আমাদের কোন কথায় কর্ণপাত না করে দিনরাত বিরতিহীন মাটি খনন করেই চলেছে। এভাবে মাটি কাটা চলতে থাকলে আমাদের জমিসহ আশেপাশের জমি ভেঙ্গে যাবে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন ভাটায়। এলাকায় যেন পুকুর বা ঘের খননের মহোৎসব চলছে। কৃষকরা না বুঝে যেমন হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন এক শ্রেণির প্রভাবশালী মাটি ব্যসায়ীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

মনিরামপুরে ফসলি জমি নষ্ট করে ঘের খনন, মাটি বিক্রি হচ্ছে ইট ভাটায়

আপডেট সময় : ০৯:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:-

যশোর মনিরামপুর উপজেলা ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা লংঘন করে এলাকায় চলছে ব্যাপক হারে মাটি বিক্রি। বহনকারী গাড়ি থেকে মাটি পড়ে নস্ট হচ্ছে প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে নস্ট হচ্ছে, ছোট ছোট সরু সড়ক গুলো। সিন্ডিকেটের কাছে এলাকার সাধারণ মানুষ জিম্মি, ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকার
প্রভাবশালীরা নির্বিঘ্নে ফসলি উর্বর কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের নামে ব্যাপক হারে মাটি উত্তোলন করছে। ফলে এলাকার সাধারণ জমির মালিকেরা চরমভাবে হতাশ। ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার পর তা পরিবহনের জন্য পাকা ও কাঁচা সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটি বোঝাই যন্ত্রদানব ট্রাক্টর চলাচল করার কারণে রাস্তায় মাটি পড়ে হালকা বৃষ্টি নামলেই অন্যান্য যানবাহন গুলি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আর সড়কগুলো নষ্ট হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ মানুষ। অবৈধ্য ভাবে ফসলি জমির মাটি সাবাড় করলেও জোরালো কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে উপজেলা জুড়ে চলছে অবৈধ মাটি উত্তোলন।
এতে দিন দিন কমে আসছে আবাদি জমি। বিশেষ করে এক সময় কার তিন ফসলি জমি এখন দুই ফসলি তে নেমে আসলেও তার একটি ফসল পানি তে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বিরাজ করে কৃষকদের মাঝে। ফলে ঘের খনন করায় খাদ্য ফসল উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। মনিরামপুরে ধান চাষ খ্যাত একটি থানা। প্রতি বছরে দুইটি ধানের ফসল উৎপাদন হলেও এখন ঘের খনন করায় একটির আশা করে থাকেন কৃষকরা, অপর একটি ফসলের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন বলে জানা যায় । এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, প্রত্যেক দিন ৮০ থেকে ১০০ গাড়ি মাটি উত্তোলন করে সেই মাটি ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে নেওয়া হচ্ছে আশেপাশের বিভিন্ন ভাটায়। মাটি কাটার কারণে আমাদের ফসলি জমিগুলো বিনষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া মাটি বহনের সময় যে পরিমান ধুলো উড়ছে তাতে করে রাস্তাতে চলাচল করা খুবই মুশকিল হয়ে পড়ছে। রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ধুলোতে যেমন নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ আবার ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।
তারা আমাদের কোন কথায় কর্ণপাত না করে দিনরাত বিরতিহীন মাটি খনন করেই চলেছে। এভাবে মাটি কাটা চলতে থাকলে আমাদের জমিসহ আশেপাশের জমি ভেঙ্গে যাবে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন ভাটায়। এলাকায় যেন পুকুর বা ঘের খননের মহোৎসব চলছে। কৃষকরা না বুঝে যেমন হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন এক শ্রেণির প্রভাবশালী মাটি ব্যসায়ীরা।