ব্রিজ ভেঙে খালে ট্রাক, ভোগান্তিতে ৭ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী পর্যটক সহ ৫ গ্রামের মানুষ।

- আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

ব্রিজ ভেঙে খালে ট্রাক, ভোগান্তিতে ৭ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী পর্যটক সহ ৫ গ্রামের মানুষ।
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মম্বিপাড়া ও পৌরগোজা গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়হরপাড়া খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটির (সাধুর ব্রিজ নামে পরিচিতি) সম্পূর্ণ ভেঙে খালের ভেতর পড়ে গেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সমায় মালবাহী ট্রাক পার হতে চাইলে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটক সহ পাঁচ গ্রামের মানুষ। ও ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এর মধ্যে রয়েছে একটি কলেজ কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ, মিস্ত্রিপাড়া ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুসুল্লীয়াবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুসুলিয়া বাদ ফাজিল মাদ্রাসা, বাকিগুলো প্রাইমারি স্কুল।। মিশ্রি পারা ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব, মোঃ গোলাম মোস্তফা স্যার বলেন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর সংকট হতে পারে । ঊর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন যাতে করে ব্রিজ টি অতি শীঘ্রই নতুন করে নির্মিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো এই ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ ব্রিজটি কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়য়ারপাড়া, পৈরঘোজা এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ৫ থেকে ৭ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কুয়াকাটায় অগত পর্যটকরা মিশ্রিপারা বৌদ্ধ মন্দির দেখতে যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল এটি। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট চওড়া ব্রিজের সম্পূর্ণ অংশ ভেঙে খালে পড়ে আছে।
ডাঃশুকদেব সৈদ্যাল বলেন, এক বছর ধরেই আমরা এই ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে যাওয়া আসা করি। তবে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভাঙার কারণে এখন যাতায়াতে অনেক সমস্যা হবে। ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যেতে অনেক সমস্যা হবে। চরম ভোগান্তিতে পড়বে অসুস্থ রোগীরা।তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি খুব দ্রুত যাতে নতুন করে ব্রিজ তৈরি করে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ পাঁচ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে।