ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

বোতলজাতকরণ ব্যবসা তুলে নিচ্ছে কোকা কোলা

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

নিজেদের ব্র্যান্ড ও পণ্যগুলোর গুণগত মানের দিকে নজর দিতে বোতলজাতকরণের ব্যবসা থেকে সরে আসছে বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক কোকা-কোলা। বিশ্বজুড়ে নিজেদের পানীয়গুলোর বোতলজাতকরণের ব্যবসা বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (বিআইজি) নামে একটি অধীনস্থ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করতো কোকা-কোলা।

প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ এক নোটের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বিআইজির করপোরেট অফিস ৩০ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও তারা স্বাধীনভাবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

বিআইজির করপোরেট অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বোতলজাতকরণের কার্যক্রম কোকা-কোলার অভ্যন্তরীণ বোর্ডের হাতে চলে যাবে।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (বিআইজি)। এটি সম্পর্কে কোকা-কোলার ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অংশে আমাদের বোতলজাতকরণের কার্যক্রম রয়েছে। তবে ‘সঠিক সময়ে, সঠিক মূল্য প্রস্তাবসহ সঠিক অংশীদার’ খোঁজার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বোতলজাতকারক হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কোকা-কোলা ইন্ডিয়ার মালিকানাধীন বোতলজাতকারক কোম্পানি হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেস (এইচসিসিবি)। কোম্পানিটিকে এতদিন নিয়ন্ত্রণ করতো বিআইজি।

ভারত ছাড়াও বিআইজির অন্য বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ওমান এবং আফ্রিকা।

এইচসিসিবি’র কী হবে?

১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেস ভারতজুড়ে সাড়ে তিন হাজার পরিবেশকের মাধ্যমে ২৫ লাখ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে নিজেদের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। ভারতে তাদের মোট ১৬টি কারখানা ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয় তারা। এ থেকে প্রায় ২ হাজার ৪২০ কোটি কোটি রুপি আয় করে সংস্থাটি।

কেন বোতলজাতকরণ থেকে সরে আসছে কোকা-কোলা?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোকা-কোলা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিআইজির আকার ছোট করার চেষ্টা করছে। ধীরে ধীরে বোতলজাতকরণ কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে তারা। ব্র্যান্ডটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা এবং বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য কোকা-কোলা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বোতলজাতকরণ ব্যবসা তুলে নিচ্ছে কোকা কোলা

আপডেট সময় : ০৬:১১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রিয়াজ মিয়া

নিজেদের ব্র্যান্ড ও পণ্যগুলোর গুণগত মানের দিকে নজর দিতে বোতলজাতকরণের ব্যবসা থেকে সরে আসছে বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক কোকা-কোলা। বিশ্বজুড়ে নিজেদের পানীয়গুলোর বোতলজাতকরণের ব্যবসা বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (বিআইজি) নামে একটি অধীনস্থ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করতো কোকা-কোলা।

প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ এক নোটের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বিআইজির করপোরেট অফিস ৩০ জুন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও তারা স্বাধীনভাবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

বিআইজির করপোরেট অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বোতলজাতকরণের কার্যক্রম কোকা-কোলার অভ্যন্তরীণ বোর্ডের হাতে চলে যাবে।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বটলিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ (বিআইজি)। এটি সম্পর্কে কোকা-কোলার ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অংশে আমাদের বোতলজাতকরণের কার্যক্রম রয়েছে। তবে ‘সঠিক সময়ে, সঠিক মূল্য প্রস্তাবসহ সঠিক অংশীদার’ খোঁজার মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বোতলজাতকারক হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

কোকা-কোলা ইন্ডিয়ার মালিকানাধীন বোতলজাতকারক কোম্পানি হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেস (এইচসিসিবি)। কোম্পানিটিকে এতদিন নিয়ন্ত্রণ করতো বিআইজি।

ভারত ছাড়াও বিআইজির অন্য বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ওমান এবং আফ্রিকা।

এইচসিসিবি’র কী হবে?

১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেস ভারতজুড়ে সাড়ে তিন হাজার পরিবেশকের মাধ্যমে ২৫ লাখ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে নিজেদের পণ্য সরবরাহ করে থাকে। ভারতে তাদের মোট ১৬টি কারখানা ছিল। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয় তারা। এ থেকে প্রায় ২ হাজার ৪২০ কোটি কোটি রুপি আয় করে সংস্থাটি।

কেন বোতলজাতকরণ থেকে সরে আসছে কোকা-কোলা?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোকা-কোলা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিআইজির আকার ছোট করার চেষ্টা করছে। ধীরে ধীরে বোতলজাতকরণ কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে তারা। ব্র্যান্ডটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা এবং বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য কোকা-কোলা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।