বেদেপল্লীতে যুবক হত্যা: ওসির অপসারণের দাবিতে মহাসড়ক ও থানা অবরোধ

- আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেঁদেপল্লীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবু তালেব নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনার মামলা থেকে মাস্টারমাইন্ডকে বাদ দেওয়া ও সাদা কাগজে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে থানায় অবস্থান ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেঁদে পল্লীর বাসিন্দারা। এ সময় তারা কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বেঁদেপল্লীর প্রায় ২ শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানে তারা প্রায় ১ ঘণ্টা অবস্থান নেন। তারা ওসির সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাইলেও দেখা পাননি। এরপর তারা শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় রাস্তার দু’পাশে শতাধিক গাড়ি আটকে পড়ে। পরে তিনদিনের মধ্যে ওসির অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যায়।
কালীগঞ্জ থানায় গ্রামবাসীর অবস্থান-সড়ক অবরোধ, ওসির অপসারণ দাবি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেঁদেপল্লীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবু তালেব নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনার মামলা থেকে মাস্টারমাইন্ডকে বাদ দেওয়া ও সাদা কাগজে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে থানায় অবস্থান ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেঁদে পল্লীর বাসিন্দারা। এ সময় তারা কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল ভোররাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবু তালেব নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের ভাই আব্দুল আলীমকে থানায় ডেকে মামলার বাদী করানো হয়। কিন্তু এজাহারে কি লেখা আছে সেটি তিনি কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন। মামলায় রুবেল হোসেন নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে। যাকে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয়।
নিহতের ভাই ও মামলার বাদী মোহাম্মদ আব্দুল আলীম বলেন, ঘটনার দিন আমরা থানায় যাই। এপর্যায়ে থানার ওসি আমাদের সবাইকে বের করে দেন। পরে বাড়ি থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করেন। কিন্তু এজাহারে কি লেখা সেটি তারা জানেন না। ওসি নিজের মনমতো এজাহারে একজনকে আসামি করেছেন। কিন্তু হত্যার মাস্টারমাইন্ড সেলিম নামে একজন। সে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড সেলিমকে ওসি মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, কালীগঞ্জ থানার অনেক পুলিশ সদস্য বেঁদেপল্লীতে গিয়ে সেলিমের সঙ্গে বসে আড্ডা ও টাকা নেয়। আমরা দ্রুত এই ওসির অপসারণ চাই। এই ওসি অপসারণ না হলে আমার ভাই হত্যার বিচার পাবো না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।নিহত আবু তালেবের স্ত্রী জানেদা বেগম বলেন, তার তিনটা সন্তান। কিন্তু ওসি বলেছে এই সন্তান নাকি আবু তালেবের পক্ষের না। তুই অন্য কোনো স্থান থেকে এনেছিস। ওসি কিভাবে জানলো এই সন্তান আবু তালেবের না। আমি এখন এই তিনটা সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো। ওসি টাকার বিনিময়ে সেলিমের নাম বাদ দিয়েছে। এই ওসিকে কালীগঞ্জে চাই না।এ ব্যাপারে জানতে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের মোবাইলে ফোন দিলেও সাড়া মেলেনি।
এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া মুঠোফোনে বলেন, তিনি কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নড়াইলে আছেন। পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।