বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনায় এখন পযযন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫!
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
বেইলি রোডের বহুতল ভবনে আগুনের ঘটনায় এখন পযযন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫!
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৫ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৫ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে কী কী ছিল?
রাজধানীর বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া বহুতল ভবনটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ আহত এর সংখ্যা অনেক।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো ভবনটি পুড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার( ২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯:৫০ মিনিটে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উক্ত অগ্নিকাণ্ড পুরো বিল্ডিংটি পুড়ে যায়।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকার ভবনটিতে অধিকাংশ ফ্লোরে ছিল অনেকগুলো খাবারের দোকান। ভবনটিতে পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন,খানাসহ অনেকগুলো রেষ্টুরেন্ট ছিল।
সাত তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায়”” কাচ্চি ভাই”” নামে খাবারের দোকান ছিল। এছাড়া এছাড়া তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া সবকয়টি ফ্লোরে খাবারের দোকান ছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় যমতো।অনেক মানুষই তাদের ও পরিজন নিয়ে এখানে খেতে আসতো।
প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় অন্তত ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও ৪২ জনকে। একই পরিবারের পাঁচজনসহ মারা গেছেন ৪৫ জন। এর মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ৩১, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি মরদেহ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অপরদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন মারা গেছেন। পরে আরও দু’জন মারা গেছেন। আর যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছেন তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান সেলি শুক্রবার (১ মার্চ) জানান, বেইলি রোডের ওই বহুতল ভবনটিতে কোনো ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া ভবনে ফায়ার ইক্যুয়েপমেন্টও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ধোঁয়ার কারণেই বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৯টা ৫৬ মিনিটে। পরে আগুনের ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়লে আরও ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে পুলিশ, আনসার, র্যাব ও এনএসআই। ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।