ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই সাতক্ষীরায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বসত ভিটে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে গোল্ডেন লাইন এবং ইতি পরিবহন ইল্লা বাস স্ট্যান্ড মুখোমুখি সংঘর্ষ বাংলাদেশ জামাতের ইসলামী তানোর উপজেলার সেক্রেটারি মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে গুরুতর আহত ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা দলে দলে ফিরছে মানুষ, ঢাকাও ছাড়ছেন অনেকে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তিরোধান দিবস চট্টগ্রামে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপিত চট্টগ্রামের দুই সন্তানের জননী কে নিয়ে পালালো এক যুবক

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মো. নুরুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সান্ধ্যকালীন এমবিএ ১৩ ব্যাচের (২০১৮ সেশনের) শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এরপর ঢাকা মেডিকেলে অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ও মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হতে থাকে রাত ১২টার আগে থেকে। তবে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মৃত। সেখানেই সারি সারি মরদেহের মধ্যে বন্ধুরা খুঁজে পান নুরুল ইসলামের লাশ। কাঁদতে কাঁদতে তারা ছোটাছুটি করছিলেন, চেষ্টা করছিলেন রাতের মধ্যে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে।

এ বিষয়ে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন বলেন, নুরুল ইসলাম আমার সরাসরি ছাত্র ছিলেন। সে পাস করে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। মুহুর্তের মধ্যেই যেন তাজা প্রাণ ঝরে গেলো। নুরুল ইসলামের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের সেই বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে পৌঁছেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হতো।

শোক প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছে দেশ। অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার জন্যই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা বারবার ঘটে। নুরুল ইসলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার এই অকাল মৃত্যু আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশ একজন সুযোগ্য নাগরিককে হারালো। শোকার্ত পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:৩০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবির সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মো. নুরুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সান্ধ্যকালীন এমবিএ ১৩ ব্যাচের (২০১৮ সেশনের) শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এরপর ঢাকা মেডিকেলে অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ও মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হতে থাকে রাত ১২টার আগে থেকে। তবে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মৃত। সেখানেই সারি সারি মরদেহের মধ্যে বন্ধুরা খুঁজে পান নুরুল ইসলামের লাশ। কাঁদতে কাঁদতে তারা ছোটাছুটি করছিলেন, চেষ্টা করছিলেন রাতের মধ্যে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে।

এ বিষয়ে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন বলেন, নুরুল ইসলাম আমার সরাসরি ছাত্র ছিলেন। সে পাস করে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। মুহুর্তের মধ্যেই যেন তাজা প্রাণ ঝরে গেলো। নুরুল ইসলামের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের সেই বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে পৌঁছেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হতো।

শোক প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছে দেশ। অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার জন্যই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা বারবার ঘটে। নুরুল ইসলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার এই অকাল মৃত্যু আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশ একজন সুযোগ্য নাগরিককে হারালো। শোকার্ত পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।