ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বহমান বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য শিক্ষাবিদ মো. জিয়াউর রহমান’র ওফাতে গভীর শোক প্রকাশ সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর) আসনে এবি পার্টির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি ঔষধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সাপলেজা বাজার বা হাট ভুমি দস্যুদের হিংস্র থাবায় স্হাপনা তৈরী করে বেহাল দশা ঐতিহ্য বাহী জমিদার বাড়ী আজ ময়লা আবর্জনায় পরিত্যাক্ত পরিবেশ দুষনের হুমকি সৈয়দপুর সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত চাকরি ছাড়ায় মিথ্যা মামলা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী লালু ও তার ছেলে সৌরভের বিরুদ্ধে নকল মোবাইল বিক্রির অভিযোগ রাজাপুরে (পিএফজি)-এর জেন্ডার সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত নোবিপ্রবি সাহিত্য সংগঠন “শব্দকুটির” এর নতুন নেতৃত্বে নাঈম ও অর্পিতা

বৃষ্টির ছোঁয়ায় স্নিগ্ধতা স্বস্তি মানুষের জীবন যাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

লেখক: মিলন বৈদ্য,শুভ

বৃষ্টি প্রকৃতির সেই চিরচেনা দৃশ্য, যা হঠাৎ করেই গাছের পাতায়, মাটির গন্ধে আর মানুষের মনে নামিয়ে আনে এক নির্মল প্রশান্তি। কাশবন দুলে ওঠে, শহরের কংক্রিট রাস্তাগুলো ধুয়ে মুছে যায়, শিশুদের চোখে খেলে ওঠে আনন্দের ঝিলিক। এমন এক স্নিগ্ধ অভিজ্ঞতা যার কোনো বিকল্প নেই।

কিন্তু এই বৃষ্টিই আবার কখনো কখনো রূপ নেয় দুর্ভোগে, বিষাদে। তাই আজকের এই কলমে আমরা খুঁজে দেখতে চাই বৃষ্টির সেই দুই রূপ— আশীর্বাদ ও অভিশাপ, উপকারিতা ও অপকারিতা,
প্রকৃতির পরশ যেখানে বৃষ্টি আশীর্বাদ,
বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। বৃষ্টি আমাদের জন্য কেবল সৌন্দর্যের উপাদান নয়, বরং জীবনচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। ধান, পাট, শাকসবজি সবকিছুই অনেকাংশে নির্ভরশীল বৃষ্টির পানির উপর। সেচ খরচ বাঁচে, জমিতে সহজে চাষাবাদ করা যায়।

শুধু ফসল নয়, বৃষ্টি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রিচার্জ করে আমাদের সুপেয় জলের উৎস টিকিয়ে রাখে। গাছপালা ধুয়ে যায়, প্রকৃতি ফিরে পায় তার নিজের রঙ। দূষণে ভারাক্রান্ত বাতাস বৃষ্টির ঝরে ধুয়ে যায়—নতুন করে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ মেলে শহরবাসীর।

মানুষের মনও যেন বৃষ্টির ফোঁটায় একটু স্থির হয়, স্নিগ্ধ হয়। বৃষ্টি যে কেবল প্রকৃতিকে নয়, আমাদের হৃদয়কেও ধুয়ে দেয়—এই সত্যিই এক অলৌকিক অনুভব।
বৃষ্টির ভেজা পাতায় লুকিয়ে থাকা বিপদগুলো,
তবে বৃষ্টির এই রূপটি চিরকাল ইতিবাচক থাকে না।
একটানা বৃষ্টিতে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো শহরগুলোতে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। স্কুলগামী শিশু, কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা—সবাই পড়ে চরম দুর্ভোগে। যানজটে নাকাল হয় শহর, ছড়িয়ে পড়ে জলবাহিত রোগ।

কৃষিজগতেও বৃষ্টির অতিরিক্ত উপস্থিতি আনে ক্ষতি। অসময়ে বৃষ্টি ধানের জমি ডুবিয়ে দেয়, নষ্ট হয় বীজতলা। এছাড়া, পর্বতাঞ্চলে ভূমিধ্বস এবং নদীতীরে নদীভাঙন বাড়ায় বিপদ।

স্বাস্থ্যখাতে দেখা যায় ডেঙ্গু, সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব। জমে থাকা পানিতে জন্ম নেয় মশা, যার পরিণতি অনেক সময় হয় মরণঘাতী।

বৃষ্টি আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আনন্দ বয়ে আনে, তেমনি করে দুঃখের কারণ। কিন্তু আমরা যদি এর জন্য প্রস্তুত থাকি—পরিকল্পিত নগরায়ণ করি, জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করি, জনসচেতনতা গড়ে তুলি—তাহলে এই বৃষ্টি হয়ে উঠবে শুধুই আশীর্বাদ।

আকাশ যখন কালো মেঘে ঢেকে যায়, তখন শুধুই ভয় নয়, আনন্দের আশাও থাকে। সেই আশার বৃষ্টি হোক আমাদের নতুন জীবনের বার্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “বৃষ্টির ছোঁয়ায় স্নিগ্ধতা স্বস্তি মানুষের জীবন যাপন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বৃষ্টির ছোঁয়ায় স্নিগ্ধতা স্বস্তি মানুষের জীবন যাপন

আপডেট সময় : ০৩:০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

লেখক: মিলন বৈদ্য,শুভ

বৃষ্টি প্রকৃতির সেই চিরচেনা দৃশ্য, যা হঠাৎ করেই গাছের পাতায়, মাটির গন্ধে আর মানুষের মনে নামিয়ে আনে এক নির্মল প্রশান্তি। কাশবন দুলে ওঠে, শহরের কংক্রিট রাস্তাগুলো ধুয়ে মুছে যায়, শিশুদের চোখে খেলে ওঠে আনন্দের ঝিলিক। এমন এক স্নিগ্ধ অভিজ্ঞতা যার কোনো বিকল্প নেই।

কিন্তু এই বৃষ্টিই আবার কখনো কখনো রূপ নেয় দুর্ভোগে, বিষাদে। তাই আজকের এই কলমে আমরা খুঁজে দেখতে চাই বৃষ্টির সেই দুই রূপ— আশীর্বাদ ও অভিশাপ, উপকারিতা ও অপকারিতা,
প্রকৃতির পরশ যেখানে বৃষ্টি আশীর্বাদ,
বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। বৃষ্টি আমাদের জন্য কেবল সৌন্দর্যের উপাদান নয়, বরং জীবনচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। ধান, পাট, শাকসবজি সবকিছুই অনেকাংশে নির্ভরশীল বৃষ্টির পানির উপর। সেচ খরচ বাঁচে, জমিতে সহজে চাষাবাদ করা যায়।

শুধু ফসল নয়, বৃষ্টি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রিচার্জ করে আমাদের সুপেয় জলের উৎস টিকিয়ে রাখে। গাছপালা ধুয়ে যায়, প্রকৃতি ফিরে পায় তার নিজের রঙ। দূষণে ভারাক্রান্ত বাতাস বৃষ্টির ঝরে ধুয়ে যায়—নতুন করে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ মেলে শহরবাসীর।

মানুষের মনও যেন বৃষ্টির ফোঁটায় একটু স্থির হয়, স্নিগ্ধ হয়। বৃষ্টি যে কেবল প্রকৃতিকে নয়, আমাদের হৃদয়কেও ধুয়ে দেয়—এই সত্যিই এক অলৌকিক অনুভব।
বৃষ্টির ভেজা পাতায় লুকিয়ে থাকা বিপদগুলো,
তবে বৃষ্টির এই রূপটি চিরকাল ইতিবাচক থাকে না।
একটানা বৃষ্টিতে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো শহরগুলোতে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। স্কুলগামী শিশু, কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা—সবাই পড়ে চরম দুর্ভোগে। যানজটে নাকাল হয় শহর, ছড়িয়ে পড়ে জলবাহিত রোগ।

কৃষিজগতেও বৃষ্টির অতিরিক্ত উপস্থিতি আনে ক্ষতি। অসময়ে বৃষ্টি ধানের জমি ডুবিয়ে দেয়, নষ্ট হয় বীজতলা। এছাড়া, পর্বতাঞ্চলে ভূমিধ্বস এবং নদীতীরে নদীভাঙন বাড়ায় বিপদ।

স্বাস্থ্যখাতে দেখা যায় ডেঙ্গু, সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব। জমে থাকা পানিতে জন্ম নেয় মশা, যার পরিণতি অনেক সময় হয় মরণঘাতী।

বৃষ্টি আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আনন্দ বয়ে আনে, তেমনি করে দুঃখের কারণ। কিন্তু আমরা যদি এর জন্য প্রস্তুত থাকি—পরিকল্পিত নগরায়ণ করি, জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করি, জনসচেতনতা গড়ে তুলি—তাহলে এই বৃষ্টি হয়ে উঠবে শুধুই আশীর্বাদ।

আকাশ যখন কালো মেঘে ঢেকে যায়, তখন শুধুই ভয় নয়, আনন্দের আশাও থাকে। সেই আশার বৃষ্টি হোক আমাদের নতুন জীবনের বার্তা।