ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কালিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে কেড়ে নিল ১ কৃষকের লক্ষ টাকার স্বপ্ন ঢাকা সাভার আশুলিয়ায় ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত, আটক ২ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে—- সাতক্ষীরায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত মাদক সেবনের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লার চঞ্চলসহ ৩জন গ্রেফতার হারুয়ালছড়ি বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার: বাকৃবির গবেষণা যে কারণে বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন স্বেচ্ছাসেবকরা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে স্বীকৃত – স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজ ৭১ অনলাইন পোর্টালে”প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত আশাশুনির হাঁড়িভাঙ্গা বাজারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাকৃবিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০২ বার পড়া হয়েছে

 

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দিবসটি
উপলক্ষে ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। খালিপায়ে প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও আবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি বের করা হয়। সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাকৃবি উপাচার্য। এসময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১ টায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়াও মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন কারিকুলাম বিস্তারণ উপপরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা।
শহীদদের স্মরণে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, মহান একুশ আমাদের মুখের ভাষা দিয়েছে, আবেগ দিয়েছে, অহংকার দিয়েছে আর দিয়েছে চারিত্রিক দৃঢ়তা। সেই সেই দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনের পিছনে ছিল এই একুশের চেতনা। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে সেই চেতনা ধারণ করার। আজকে যে শপথ করেছি এই শপথ নিজের রক্তের মধ্যে ধারণ করে দেশ বির্নিমানে যে যেখান থেকে কাজ করছে তাদের সাহায্য করা।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে ভাষা শহীদদের আমরা ভুলে যাইনি। ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের মাঝে নেই। তারা যদি শহীদ না হতেন হয়তো অনেকদিন বেঁচে থাকতেন। তবে ভাষা আন্দোলনে তাদের ত্যাগ আমাদের মাঝে অমর করে দিয়েছে। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে বাংলা ভাষা থাকবে ততদিন বাঙালি জাতি তাদের স্মরণ করবে। কোন ত্যাগী বৃথা যায় না। সকল ত্যাগ মানুষের কাছে কোন না কোন ভাবে মূল্যায়িত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আমি এই প্লাটফর্মটি তৈরী করেছি এ দেশের সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে পরিচালিত করার জন্য।আমরা অবিরত থাকবো সততা নিয়ে সত্যের সাথে। দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা এ দেশের নির্যাতিত ও নিপীড়িত গনমানুষের কথা বলবে এবং সত্য প্রকাশে থাকবে আপোষহীন।
ট্যাগস :

বাকৃবিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দিবসটি
উপলক্ষে ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। খালিপায়ে প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও আবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি বের করা হয়। সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাকৃবি উপাচার্য। এসময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১ টায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়াও মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন কারিকুলাম বিস্তারণ উপপরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা।
শহীদদের স্মরণে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, মহান একুশ আমাদের মুখের ভাষা দিয়েছে, আবেগ দিয়েছে, অহংকার দিয়েছে আর দিয়েছে চারিত্রিক দৃঢ়তা। সেই সেই দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনের পিছনে ছিল এই একুশের চেতনা। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে সেই চেতনা ধারণ করার। আজকে যে শপথ করেছি এই শপথ নিজের রক্তের মধ্যে ধারণ করে দেশ বির্নিমানে যে যেখান থেকে কাজ করছে তাদের সাহায্য করা।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে ভাষা শহীদদের আমরা ভুলে যাইনি। ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের মাঝে নেই। তারা যদি শহীদ না হতেন হয়তো অনেকদিন বেঁচে থাকতেন। তবে ভাষা আন্দোলনে তাদের ত্যাগ আমাদের মাঝে অমর করে দিয়েছে। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে বাংলা ভাষা থাকবে ততদিন বাঙালি জাতি তাদের স্মরণ করবে। কোন ত্যাগী বৃথা যায় না। সকল ত্যাগ মানুষের কাছে কোন না কোন ভাবে মূল্যায়িত হয়।