ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার আর নেই সাতক্ষীরায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন বসত ভিটে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে গোল্ডেন লাইন এবং ইতি পরিবহন ইল্লা বাস স্ট্যান্ড মুখোমুখি সংঘর্ষ বাংলাদেশ জামাতের ইসলামী তানোর উপজেলার সেক্রেটারি মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে গুরুতর আহত ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা দলে দলে ফিরছে মানুষ, ঢাকাও ছাড়ছেন অনেকে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তিরোধান দিবস চট্টগ্রামে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপিত চট্টগ্রামের দুই সন্তানের জননী কে নিয়ে পালালো এক যুবক

বাকৃবিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

 

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দিবসটি
উপলক্ষে ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। খালিপায়ে প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও আবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি বের করা হয়। সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাকৃবি উপাচার্য। এসময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১ টায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়াও মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন কারিকুলাম বিস্তারণ উপপরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা।
শহীদদের স্মরণে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, মহান একুশ আমাদের মুখের ভাষা দিয়েছে, আবেগ দিয়েছে, অহংকার দিয়েছে আর দিয়েছে চারিত্রিক দৃঢ়তা। সেই সেই দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনের পিছনে ছিল এই একুশের চেতনা। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে সেই চেতনা ধারণ করার। আজকে যে শপথ করেছি এই শপথ নিজের রক্তের মধ্যে ধারণ করে দেশ বির্নিমানে যে যেখান থেকে কাজ করছে তাদের সাহায্য করা।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে ভাষা শহীদদের আমরা ভুলে যাইনি। ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের মাঝে নেই। তারা যদি শহীদ না হতেন হয়তো অনেকদিন বেঁচে থাকতেন। তবে ভাষা আন্দোলনে তাদের ত্যাগ আমাদের মাঝে অমর করে দিয়েছে। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে বাংলা ভাষা থাকবে ততদিন বাঙালি জাতি তাদের স্মরণ করবে। কোন ত্যাগী বৃথা যায় না। সকল ত্যাগ মানুষের কাছে কোন না কোন ভাবে মূল্যায়িত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বাকৃবিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসের প্রথম প্রহরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দিবসটি
উপলক্ষে ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। খালিপায়ে প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান ও আবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি বের করা হয়। সকাল আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাকৃবি উপাচার্য। এসময় ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১১ টায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: মাতৃভাষার সঠিক চর্চা ও প্রয়োগে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়াও মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন কারিকুলাম বিস্তারণ উপপরিচালক ড. কুদরত-ই-হুদা।
শহীদদের স্মরণে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, মহান একুশ আমাদের মুখের ভাষা দিয়েছে, আবেগ দিয়েছে, অহংকার দিয়েছে আর দিয়েছে চারিত্রিক দৃঢ়তা। সেই সেই দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জনের পিছনে ছিল এই একুশের চেতনা। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে সেই চেতনা ধারণ করার। আজকে যে শপথ করেছি এই শপথ নিজের রক্তের মধ্যে ধারণ করে দেশ বির্নিমানে যে যেখান থেকে কাজ করছে তাদের সাহায্য করা।

তিনি আরও বলেন, আজকে এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে ভাষা শহীদদের আমরা ভুলে যাইনি। ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের মাঝে নেই। তারা যদি শহীদ না হতেন হয়তো অনেকদিন বেঁচে থাকতেন। তবে ভাষা আন্দোলনে তাদের ত্যাগ আমাদের মাঝে অমর করে দিয়েছে। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে বাংলা ভাষা থাকবে ততদিন বাঙালি জাতি তাদের স্মরণ করবে। কোন ত্যাগী বৃথা যায় না। সকল ত্যাগ মানুষের কাছে কোন না কোন ভাবে মূল্যায়িত হয়।