ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুন্ডুমালা বাজারে অব্যবস্হাপনায় ও যানজটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেই সংযোগ সড়ক,২৭ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে নোয়াখালী সংগঠকদের নিয়ে এবি পাটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় দুমকীতে গাঁজা সেবনে বৃদ্ধকে এক মাসের কারাদণ্ড দুমকীতে ডেঙ্গুর ছোবলে প্রাণ হারালেন ছাত্র হিজবুল্লাহ নেতা জাকারিয়া র‌্যাবের অভিযানে নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক অভিযুক্ত গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান/২৫ উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা বিশ্ব নদী দিবসে সাতক্ষীরায় নৌকায় মানববন্ধন শৈলকূপায় হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র! ৮০টি কেন্দ্রের মেগা প্রকল্পে ভিআইপি অগ্রাধিকার ঝিনাইদহে

বাকৃবিতে বাংলাদেশ-নেপালের কৃষির উন্নয়নে যৌথ কর্মশালা

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ-নেপালের কৃষির উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টায় কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে “উন্নয়ন দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের সম্পর্ক: বাংলাদেশ এবং নেপালে উন্নত প্রযুক্তি ভিত্তিক শহর এবং এর আশেপাশে উদ্যান কৃষি” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্পটি অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর হর্টিকালচার’ ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)। প্রকল্পের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেপাল রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষের আশা, প্রত্যাশা, প্রতিকূলতা ও সম্ভাবনা একই রকমের। নেপাল ও বাংলাদেশের চমৎকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা ও কৃষিতে আরো উন্নয়ন করা সম্ভব। এছাড়া বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।

এসময় রাষ্ট্রদূত নেপালের প্রেক্ষাপটে শহর ও এর আশেপাশে ফল ও সবজি চাষের অবস্থা, সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

প্রকল্পের কো. পি. আই অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছরই আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শহর ও এর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ফল ও সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেপালে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশের নারী ও যুব সমাজকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নেপালের চারটি অঞ্চল ও বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। ১লা মার্চ ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প দেশের ঢাকা ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে চালু রয়েছে যা ৩১ আগষ্ট ২০২৬ পর্যন্ত চলমান থাকবে।

এ সময় নেপালের এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণী মিশ্র ত্রিপাঠী নেপালে প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপাল রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী । এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হুমনাথ ভান্ডারী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মোঃ এনায়েত উল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাকৃবিতে বাংলাদেশ-নেপালের কৃষির উন্নয়নে যৌথ কর্মশালা

আপডেট সময় : ১১:৫৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

নিজেস্ব প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ-নেপালের কৃষির উন্নয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টায় কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে “উন্নয়ন দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের সম্পর্ক: বাংলাদেশ এবং নেপালে উন্নত প্রযুক্তি ভিত্তিক শহর এবং এর আশেপাশে উদ্যান কৃষি” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকল্পটি অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর হর্টিকালচার’ ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড)। প্রকল্পের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেপাল রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষের আশা, প্রত্যাশা, প্রতিকূলতা ও সম্ভাবনা একই রকমের। নেপাল ও বাংলাদেশের চমৎকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা ও কৃষিতে আরো উন্নয়ন করা সম্ভব। এছাড়া বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।

এসময় রাষ্ট্রদূত নেপালের প্রেক্ষাপটে শহর ও এর আশেপাশে ফল ও সবজি চাষের অবস্থা, সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

প্রকল্পের কো. পি. আই অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছরই আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শহর ও এর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ফল ও সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেপালে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশের নারী ও যুব সমাজকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নেপালের চারটি অঞ্চল ও বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। ১লা মার্চ ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প দেশের ঢাকা ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে চালু রয়েছে যা ৩১ আগষ্ট ২০২৬ পর্যন্ত চলমান থাকবে।

এ সময় নেপালের এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণী মিশ্র ত্রিপাঠী নেপালে প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপাল রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী । এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হুমনাথ ভান্ডারী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মোঃ এনায়েত উল্লাহ।