ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সোনাগাজী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষসহ ১৭টি শিক্ষক পদ শুন্য, কর্মচারী না থাকায় প্রশাসনিক কাজে জটিলতা সোনাগাজী পৌরসভায় নারীর ক্ষমতায়নে ধানের শীষের প্রচারনা শীর্ষক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জামায়াতের এমপি পদপ্রার্থী মুজিবুর রহমানের কুশল বিনিময় ও গণ সংযোগ চট্টগ্রামে যুবদের “উদ্ভাবনী চিন্তা ও টেকসই রুপায়নে যুবদের ভাবনা ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত বিশ্ব এনেসথেসিয়া দিবস চমেক ও বিএসএ-সিসিপিপি উদ্যোগে পালিত  চট্টগ্রামে ইপিজেডে কারখানার সাত ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, কাজ করছে ১৯টি ইউনিট জুলাই সনদে বিএনপি স্বাক্ষর করবে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন অপেক্ষা করুন: মির্জা ফখরুল সবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে- প্রো-ভিসি ড. হেমায়েত জাহান সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ, এইচএসসি ফলাফলে ধস ভিগো প্রেমের পরিণতি: ভারতে পাচারের পথে আটক গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা থেকে উদ্ধার সংসারছাড়া গৃহবধূ

বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২১৩ বার পড়া হয়েছে

||বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

বরগুনার তালতলীতে জমিজমার জন্য আপন খালাকে হত্যা করে কানের রিং বিক্রি করে সহযোগী খুনিকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন মালেক (৩৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ।

এ ঘটনায় সকালে মালেককে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘদিন পরে হত্যার রহস্য উন্মোচন হওয়ায় সঠিক বিচারের দাবি পরিবারের।

শনিবার সকালে উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁনকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করা হয়।

ডিবিকে করিম খান জানায়, মালেকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল সাফিয়া বেগমের। সেই জমি দখল করতে আমাকে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন মালেক। পরে সাফিয়া বেগম সন্ধ্যার দিকে তার বাড়ির সামনে আসলে পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতের নিয়ে যাই। সেখানে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে আ. মালেক ও করিম খানের সহায়তায় সাফিয়া বেগমকে হত্যা করে খালে পুঁতে রাখা হয়। পরে আ. মালেক নিহত সাফিয়ার কানের স্বর্ণের রিং বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা দেয় ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও ৫ হাজার টাকা দেয়। বাকী ১৫ হাজার টাকা আর দেয় নাই। আমি যেন ভারতে পালিয়ে যাই।

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. বশির আলম বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া বেগম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আ. মালেক পালিয়ে যাবার সময় আজ সকালে কচুপাত্রা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

আপডেট সময় : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

||বরগুনায় খালাকে হত্যা করে সহযোগীকে পালাতে টাকা দিলেন গ্রাম পুলিশ|

বরগুনার তালতলীতে জমিজমার জন্য আপন খালাকে হত্যা করে কানের রিং বিক্রি করে সহযোগী খুনিকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন মালেক (৩৮) নামের এক গ্রাম পুলিশ।

এ ঘটনায় সকালে মালেককে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘদিন পরে হত্যার রহস্য উন্মোচন হওয়ায় সঠিক বিচারের দাবি পরিবারের।

শনিবার সকালে উপজেলার কচুপাত্রা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁনকে মোংলা পৌরসভা এলাকা থেকে আটক করা হয়।

ডিবিকে করিম খান জানায়, মালেকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল সাফিয়া বেগমের। সেই জমি দখল করতে আমাকে ৪০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন মালেক। পরে সাফিয়া বেগম সন্ধ্যার দিকে তার বাড়ির সামনে আসলে পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতের নিয়ে যাই। সেখানে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে আ. মালেক ও করিম খানের সহায়তায় সাফিয়া বেগমকে হত্যা করে খালে পুঁতে রাখা হয়। পরে আ. মালেক নিহত সাফিয়ার কানের স্বর্ণের রিং বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা দেয় ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও ৫ হাজার টাকা দেয়। বাকী ১৫ হাজার টাকা আর দেয় নাই। আমি যেন ভারতে পালিয়ে যাই।

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. বশির আলম বলেন, বিভিন্ন সোর্স ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে তালতলীর সাফিয়া বেগম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধী করিম খাঁকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী গ্রাম পুলিশ আ. মালেক পালিয়ে যাবার সময় আজ সকালে কচুপাত্রা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হচ্ছে।