ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শাল্লায় জাতীয় নাগরিক পার্টী(এনসিপি’র) দো’আ ও ইফতার- মাহফিল কালিগঞ্জে মাদক বিরোধী সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ সেবনের সরঞ্জামাদি সহ আটক ২ নীলফামারীতে ইনসাফ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যত্রম জাতীয়করণ না করে আউটসোসিং করার প্রতিবাদে মানববন্ধন সাতক্ষীরা শ্যামনগরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বড় ভাইদের হাতে ছোট ভাই খুন জলদস্যুতা নানামূখী অপরাধীদের ঈদ উপহার বিশেষ মতবিনিময় সভা :র‌্যাব-৭ পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শহীদ কোকিল এর বাসায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার মোবাইল কেড়ে নেয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন রাজাপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিল মণিরামপুরে দখলবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বহিষ্কার

বগুড়ায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড।

স্টাফ রিপোর্ট

বগুড়ার শাজাহানপুরে স্কুলছাত্র অপহরণের দায়ে সুজন সরকার (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় দেন।

দণ্ডিত সুজন সরকার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোলা গ্রামের জাফর সরকারের ছেলে।

স্কুলছাত্র বুলবুল হোসেন বিজয় ওই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে। সে লক্ষীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নিহত শিশু বুলবুল হোসেন বিজয় একই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে এবং মাদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর বুলবুল নিখোঁজ হয়। পরে ১১ অক্টোবর সকালে তার লাশ এলাকার একটি ইটভাটার চিমনি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত (পিপি) মো. নাছিমুল করিম হলি জানান, ৫ অক্টোবর সকালে বুলবুল ও সুজন মাছের টোপ খুঁজতে যায় এলাকার বাঁশ ঝাঁড়ে। যাওয়ার পথে সুজরেন মায়ের নামে খারাপ কথা বলে বুলবুল। তখন রাগান্বিত হয়ে বুলবুলের গলা টিপে ধরে সুজন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে সেখানে মারা যায় বুলবুল। কিন্তু সে অজ্ঞান হয়েছে মনে করে সেখান থেকে চলে আসে সুজন। পরে সন্ধ্যার দিকে বুলবুলের খোঁজে মাইকিং শুনে সুজন আবার বাঁশ ঝাড়ে যান। সেখানে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তখন বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে বুলবুলের হাত-পায়ের রগ কেটে দেন। আর লাশ নিয়ে গ্রামের পাশের পরিত্যক্ত ইটের ভাটার চিমনিতে ফেলে দেন। এরপর চিমনির ঢাকনা লাগিয়ে পালিয়ে আসেন।

অতিরিক্ত পিপি আরও জানান, ছয় দিন পর লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ১১ অক্টোবর সকালে তার লাশ উদ্ধার করে। বুলবুলের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে তার বাবা সাইদুল ইসলাম শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর আগে ঘটনাস্থলে তদন্তকালে সুজনের গতিবিধি সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে পরের দিন ১২ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি দেন সুজন।

আইনজীবী আরো বলেন, মামলায় সবশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে দুপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের পর রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক হাবিবা মন্ডল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বগুড়ায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড।

আপডেট সময় : ০৫:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

বগুড়ায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড।

স্টাফ রিপোর্ট

বগুড়ার শাজাহানপুরে স্কুলছাত্র অপহরণের দায়ে সুজন সরকার (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় দেন।

দণ্ডিত সুজন সরকার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোলা গ্রামের জাফর সরকারের ছেলে।

স্কুলছাত্র বুলবুল হোসেন বিজয় ওই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে। সে লক্ষীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নিহত শিশু বুলবুল হোসেন বিজয় একই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে এবং মাদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর বুলবুল নিখোঁজ হয়। পরে ১১ অক্টোবর সকালে তার লাশ এলাকার একটি ইটভাটার চিমনি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত (পিপি) মো. নাছিমুল করিম হলি জানান, ৫ অক্টোবর সকালে বুলবুল ও সুজন মাছের টোপ খুঁজতে যায় এলাকার বাঁশ ঝাঁড়ে। যাওয়ার পথে সুজরেন মায়ের নামে খারাপ কথা বলে বুলবুল। তখন রাগান্বিত হয়ে বুলবুলের গলা টিপে ধরে সুজন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে সেখানে মারা যায় বুলবুল। কিন্তু সে অজ্ঞান হয়েছে মনে করে সেখান থেকে চলে আসে সুজন। পরে সন্ধ্যার দিকে বুলবুলের খোঁজে মাইকিং শুনে সুজন আবার বাঁশ ঝাড়ে যান। সেখানে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তখন বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে বুলবুলের হাত-পায়ের রগ কেটে দেন। আর লাশ নিয়ে গ্রামের পাশের পরিত্যক্ত ইটের ভাটার চিমনিতে ফেলে দেন। এরপর চিমনির ঢাকনা লাগিয়ে পালিয়ে আসেন।

অতিরিক্ত পিপি আরও জানান, ছয় দিন পর লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ১১ অক্টোবর সকালে তার লাশ উদ্ধার করে। বুলবুলের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে তার বাবা সাইদুল ইসলাম শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর আগে ঘটনাস্থলে তদন্তকালে সুজনের গতিবিধি সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে পরের দিন ১২ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি দেন সুজন।

আইনজীবী আরো বলেন, মামলায় সবশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে দুপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের পর রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক হাবিবা মন্ডল।