ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পূ’জা’র ছুটিতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ধর্মীয় সহনশীলতা ছাড়া রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার সম্ভব নয়’চেয়ারম্যান মঞ্জু আলমডাঙ্গায় পূজামণ্ডপে শামসুজ্জামান দুদু দুমকিতে মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রস্তুতিমূলক সভা  নিবন্ধন ব্যতীত সার মজুদ রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গাজীরহাট পূজা মন্ডপ পরিদর্শক ও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক সময় অপচয়: সফল জীবনের পথে সতর্কবার্তা ১৩ বছরে কোন পুঁজোয় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি নীলফামারীর সমিতার: তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে

বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগে আজ ৫২ টি দরিদ্র পেল ঈদ উপহার

নিজেস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

জিএমআবু জাফর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:-
রবিবার ০৭ এপ্রিল বিকাল চারটা সময়
বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগে আজ ঈদ উপহার হিসেবে ৫২ টি হত দরিদ্র পরিবার পেয়েছে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু। ঈদের আগে এসব উপহার পেয়ে খুশি উপজেলার বকচরা গ্রামের ইউনিয়নের উপহারভোগীরা।

বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন মো. আল আমিন ইমরানের নেতৃতে। রবিবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে বকচরা পশ্চিমপাড়া থেকে পূর্বপাড়া পর্যন্ত ৫২ গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসেবে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু বিতরণ করেন।

সমাজ কল্যান পরিষদের, আল আমিন জানান, পবিত্র ঈদে অসহায় ও গরিব-দুঃখীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আর উপহারভোগীরা বলছেন ঈদে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু। কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। ঈদের আগ মুহূর্তে এসব উপহার পেয়ে আবেগে আপ্লুত তারা।

স্থানীয় বিধবা নারী ওলিকা জানান, তার স্বামী নেই। আয়ের কোনো পথও নেই তার। রমজান মাসে খেয়ে না খেয়ে আছেন তিনি। তার কাছে ঈদের খরচ করার মতো কোনো টাকাও ছিল না। সমাজ কল্যাণ পরিষদ দেয়া লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু। পেয়ে অনেক খুশি তিনি। কথাগুলো বলতেই চোখ দিয়ে পানি আসে তার।

একইভাবে সত্তোর্ধ এক বৃদ্ধ ছরিমন জানান, দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। বয়সের ভারে এখন আর কাজেও বের হতে পারেন না তিনি। তার এখন আয়-ইনকাম নেই। তার উপর বিভিন্ন রোগ। এই ঈদে এতগুলো উপহার পেয়ে খুশি তিনি।

বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের ইমরান বলেন ইউনিয়নে ১৬ হাজার মানুষ রয়েছে। বকচরা ইউনিয়ন হওয়ায় এই এলাকায় দরিদ্র পরিবারের সংখ্যাই বেশি। এই ইউনিয়নের গরিব-দুঃখী মানুষ ঈদে কষ্টে থাকুক তা আমি চাই না। তাই তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। তবে সবাইকে আমার একার পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি বলে আমি দুঃখিত। এরপরও আমি আমার সাধ্যমতো ৫২টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলাম। বকচরা ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা পেলে পরবর্তীতে আমি আরও ব্যাপকহারে গরিব-দুঃখীদের পাশে থাকতে পারব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগে আজ ৫২ টি দরিদ্র পেল ঈদ উপহার

আপডেট সময় : ০৫:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

জিএমআবু জাফর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:-
রবিবার ০৭ এপ্রিল বিকাল চারটা সময়
বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগে আজ ঈদ উপহার হিসেবে ৫২ টি হত দরিদ্র পরিবার পেয়েছে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু। ঈদের আগে এসব উপহার পেয়ে খুশি উপজেলার বকচরা গ্রামের ইউনিয়নের উপহারভোগীরা।

বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের উদ্যোগে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন মো. আল আমিন ইমরানের নেতৃতে। রবিবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে বকচরা পশ্চিমপাড়া থেকে পূর্বপাড়া পর্যন্ত ৫২ গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী হিসেবে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু বিতরণ করেন।

সমাজ কল্যান পরিষদের, আল আমিন জানান, পবিত্র ঈদে অসহায় ও গরিব-দুঃখীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। আর উপহারভোগীরা বলছেন ঈদে লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু। কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। ঈদের আগ মুহূর্তে এসব উপহার পেয়ে আবেগে আপ্লুত তারা।

স্থানীয় বিধবা নারী ওলিকা জানান, তার স্বামী নেই। আয়ের কোনো পথও নেই তার। রমজান মাসে খেয়ে না খেয়ে আছেন তিনি। তার কাছে ঈদের খরচ করার মতো কোনো টাকাও ছিল না। সমাজ কল্যাণ পরিষদ দেয়া লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, নুডুলস, বাদাম, কিসমিস, সাবান, শাম্পু। পেয়ে অনেক খুশি তিনি। কথাগুলো বলতেই চোখ দিয়ে পানি আসে তার।

একইভাবে সত্তোর্ধ এক বৃদ্ধ ছরিমন জানান, দিনমজুরের কাজ করতেন তিনি। বয়সের ভারে এখন আর কাজেও বের হতে পারেন না তিনি। তার এখন আয়-ইনকাম নেই। তার উপর বিভিন্ন রোগ। এই ঈদে এতগুলো উপহার পেয়ে খুশি তিনি।

বকচরা সমাজ কল্যান পরিষদের ইমরান বলেন ইউনিয়নে ১৬ হাজার মানুষ রয়েছে। বকচরা ইউনিয়ন হওয়ায় এই এলাকায় দরিদ্র পরিবারের সংখ্যাই বেশি। এই ইউনিয়নের গরিব-দুঃখী মানুষ ঈদে কষ্টে থাকুক তা আমি চাই না। তাই তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। তবে সবাইকে আমার একার পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি বলে আমি দুঃখিত। এরপরও আমি আমার সাধ্যমতো ৫২টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলাম। বকচরা ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা পেলে পরবর্তীতে আমি আরও ব্যাপকহারে গরিব-দুঃখীদের পাশে থাকতে পারব।