ফেসবুকে বক্তব্য ভারাইল জেলা পুলিশে ক্ষোভ শৈলকুপার ওসিকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়ণের হুমকী পৌর মেয়রের

- আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

মো: রাসেল হোসেন,নিজস্ব প্রতিনিধি৷
ঝিনাইদহের শৈলকুপা পেলসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকী দেন। এ সময় হাজারো জনতার সামনে মেয়র আরো বলেন, এই দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই অতিস্বত্তর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা নাহলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করবো”। পৌর মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মহুর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় ওসির বিরুদ্ধে এমন হুমকীমুলক বক্তব্য প্রদান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, একজন ওসির বিরুদ্ধে পৌর মেয়র এভাবে জনসভায় হুমকী দিতে পারেন না। তাছাড়া তার ছেলেও এই পুলিশেরই একজন পদস্থ কর্মকর্তা। এই বয়সে তাকে আরো সংযত আচরণ করা উচিৎ বলে তারা মন্তব্য করেন।
ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দার জানান, মেয়র সাহেবের বক্তব্যকে আমি সমর্থন করতে পারছিনা। হাজার হাজার নেতাকর্মীর সামনে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ কর্মকর্তাকে এভাবে হেনস্তা করা তার ঠিক হয়নি।
শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন শনিবার বিকালে জানান, ওসির কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র এমন কথা বললেন বা তিনি ক্ষুদ্ধ হলেন তা আমার জানা নেই। তবে এমন পাবলিক প্লেসে এমন ভাবে বলা তার মতো বয়স্ক মানুষের ঠিক হয়নি।
মেয়রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মন জানান, এখনো আমরা তেমন কিছু ভাবছি না।
উল্লেখ্য শৈলকুপা পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের ছেলে কাজী আশরাফুল আজিম বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন।