ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রায়পুরায় নির্বাচনপূর্ব শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় চরাঞ্চলে কেন্দ্র পরিদর্শক দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনে পবিপ্রবিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত  টেকসই কৃষির চাবিকাঠি প্রযুক্তি -পবিপ্রবি উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম শিশু আফিয়া কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা হাটহাজারীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : ১০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ পুনরুদ্ধার দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে জরুরি আলোচনা সভা বিএনপির ১১৩ আসনে প্রার্থী বদলে রেকর্ড: শীর্ষ আলোচিত সর্ব মহলে আগৈলঝাড়ায় সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে ৬ বছরেরও উদ্বোধন হয়নি মডেল মসজিদ

ফরিদপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে! লাখ টাকা জরিমানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ

শিশুখাদ্য ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর শহরের মামুদপুর এলাকায়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মোহাম্মদ লিটন মিয়া। সেখান থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে আদালত।
তৈরীকৃত মালামাল

অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে দিকে ফরিদপুর পৌর শহরের মাহমুদপুর এলাকায় জুসের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম।

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের মধ্যে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই চলছে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে জুস তৈরি। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল এবং রঙ ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কেমিক্যাল দিয়ে জুস বানিয়ে ফলের জুস হিসেবে বাজারজাত করছে পৌরশহরের মাহমুদপুর এলাকার একটি বাড়ির গোপন কারখানায়।

অভিযানকালে ওই বাড়িতে উপস্থিত হলে দেখা যায়, ভেতর থেকে বাড়ির দরজা আটকানো। দরজায় কড়া নাড়লেও খোলা হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর দরজা খোলার পর ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেলো কয়েকজন নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন।

নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস। জুসের বোতলে বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর লেভেল লাগানো হচ্ছে। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক এ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ঔষধও বোতলজাত করা হচ্ছে।

কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে আসেন রাতে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় ০৪ ড্রাম ভর্তি পানীয়, ৭ হাজার লেভেল, খালী বোতল ৫ হাজার, ৪ হাজার চকলেট, রোবো লেভেল ৩ হাজার, স্পিড রোবো লেভেল ১০ হাজার সহ বিপুল পরিমান নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে জব্দকৃত মালামাল। এছাড়া কিছু মেশিনারিজ রয়েছে সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানার মালিক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এই পত্রিকার মূল স্লোগান হলো "সত্য প্রকাশে আপোষহীন"।আমরা এ দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কথা বলি।একজন অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে অন্যায় প্রতিরোধে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।দৈনিক বাংলাদেশের চিত্র পত্রিকা গনমানুষের কথা বলে।
ট্যাগস :

ফরিদপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে! লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ১০:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ

শিশুখাদ্য ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর শহরের মামুদপুর এলাকায়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মোহাম্মদ লিটন মিয়া। সেখান থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে আদালত।
তৈরীকৃত মালামাল

অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে দিকে ফরিদপুর পৌর শহরের মাহমুদপুর এলাকায় জুসের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম।

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের মধ্যে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই চলছে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে জুস তৈরি। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল এবং রঙ ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কেমিক্যাল দিয়ে জুস বানিয়ে ফলের জুস হিসেবে বাজারজাত করছে পৌরশহরের মাহমুদপুর এলাকার একটি বাড়ির গোপন কারখানায়।

অভিযানকালে ওই বাড়িতে উপস্থিত হলে দেখা যায়, ভেতর থেকে বাড়ির দরজা আটকানো। দরজায় কড়া নাড়লেও খোলা হচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর দরজা খোলার পর ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেলো কয়েকজন নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন।

নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস। জুসের বোতলে বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর লেভেল লাগানো হচ্ছে। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক এ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ঔষধও বোতলজাত করা হচ্ছে।

কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে আসেন রাতে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় ০৪ ড্রাম ভর্তি পানীয়, ৭ হাজার লেভেল, খালী বোতল ৫ হাজার, ৪ হাজার চকলেট, রোবো লেভেল ৩ হাজার, স্পিড রোবো লেভেল ১০ হাজার সহ বিপুল পরিমান নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে জব্দকৃত মালামাল। এছাড়া কিছু মেশিনারিজ রয়েছে সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানার মালিক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।